পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংক্ষিপ্ত জীবনী q করিতেন, তখন র্তাহার সহপাঠিনী এক দরিদ্র বালিকা একদিন কাম বিধাইয়া, কানে সুত পরিয়া বিদ্যালয়ে আসিয়াছিল। কানে স্থত। রিবার কারণ জিজ্ঞাস করাতে বালিকা বলিল, “আমরা গরিব মানুষ, সোমার মাকড়ি পাব কোথা, ভাই, তোমাদের মত !” কথাটা বলিবার সময় বালিকার চোখ ছল ছল করিয়াছিল, তাহাতে সহৃদয় গিরীন্দ্রমোহিনী এমন বিচলিত হইলেন মে, তদণ্ডেই আপনার কর্ণ হইতে মুক্তার মাকড়ি খুলিয়া তিনি বালিকার কর্ণে পরাইয়া দেন । এমন করিয়া বিস্তর দরিদ্র বালিকাকে তিনি নুতন বস্ত্র জামা প্রভৃতি দান করিতেন ! এ বিষয়ে মা তার অনুজ্ঞার অপেক্ষাও রাখিতেন না । মাত ক্যার অতিরিক্ত দানশীলতায় বিরক্ত হইলে, বালিকা কস্তা করুণ কণ্ঠে কহিতেন, “আহা, ওদের ধে নাই ম৷ ” শৈশবে শিক্ষকের নিকট গিরীন্দ্রমোহিনী ফলিত জ্যোতিষ সম্বন্ধে কিঞ্চিং শিক্ষালাভ করিয়াছিলেন । বিজ্ঞান সম্বন্ধেও তিনি পিতার নিকট প্রাথমিক শিক্ষালাভ করেন । বিবাহের পর শ্বশুরালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যাঘাত হয় । সেই সময় ইংরাজী শিখিবার উদ্যোগ হয় । স্বামীর নিকট তিনি ইংরাজী পড়িতেন ; কিন্তু কিছুকাল পড়িয়াই পড়া ছাড়িয়া দিলেন । স্বামী অনুযোগ করিলে গিরীন্দ্রমোহিনী বলিলেন, “গুরু মহাশয়ের নিকট না পড়িলে বিদ্যাশিক্ষা হয় না ’ কবির দাম্পত্যজীবনের এ রহস্যটুকু কেমন মিষ্ট ও উপভোগ্য । শৈশবেই তাহার কাব্যাকুরাগ প্রস্ফুট হইয়াছিল । কেহ নাম জিজ্ঞাসা করিলে, বালিক। গিরীন্দ্রমোহিনী আধি আধি ভাষে বলিতেন, আমার নামটি বাবু চাদ । পার্থী মারি, ভাত খাই, চোখে লাগাই ধাধা !” গিরীন্দ্রমোহিনীর পিতা হারাণচন্দ্র মধ্যে মধ্যে ইংরাজী ভাষায় কবিতা লিখিতেন । গিরীন্দ্রমোহিনীর বয়স যখন দ্বাদশ বর্ষ, সেই সময় একদিন