পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-সেবা 8○ জষ্ঠ পরিষদের সংলগ্ন সাত কাঠা ভূমি দান করেন । অনেকেই অর্থমুকুল্য করিয়াছেন । বরোদাধিপতি সয়াজীরাও গায়কোয়াড় র্তাহার ভূতপূৰ্ব্ব কর্মচারীর স্মৃতিরক্ষায় পঞ্চ সহস্র মুদ্র দান করিয়াছেন। ১৩৩১ বঙ্গাব্দে রমেশ-ভবনের একতল ও ১৩৪৫ বঙ্গাব্দে দ্বিতলের নিৰ্ম্মণ কাৰ্য্য সমধি। ই ইয়াছে । সাহিত্য-(সব মধুসূদন দত্তের স্যায় রমেশচন্দ্রের প্রাথমিক রচনাগুলিও ইংরেজীতে লিপিত । তিনি সরকারী চাকুরীতে প্রবেশ করিয়া রে: লালবিহারী দে-সম্পাদিত Bengal Magazine ও শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়-সম্পাদিত Mookerjee's Magazine-4 “Arcydae” R. C. D.] & gol নামে ইংরেজীতে কলিতা ও প্রবন্ধাদি লিখিতে শুরু করেন । বঙ্কিমচন্দ্রই সৰ্ব্বপ্রথম তাহাকে মাতৃভাষার সেবায় উদ্বুদ্ধ করিয়াছিলেন। এ বিষয়ে রমেশচন্দ্রের নিজের উক্তি উদ্ধৃত করিতেছি – বঙ্কিমবাবু তথম ‘বঙ্গদর্শন’ বাহির করিবার উদ্যোগ করিতেছেন । ভবানীপুরে একটি ছাপাখান হইতে ঐ কাগজখানি প্রথমে বাহির হয়, তথায় বঙ্কিমবাবু সৰ্ব্বদা যাইতেন । সেই ছাপাখানার নিকটে আমার বাস ছিল, বলা বাহুল্য বঙ্কিমবাবু আসিলেই আমি সাক্ষাৎ করিতে যাইতাম । এক দিম বাঙ্গালা সাহিত্য সম্বন্ধে আমাদের কথা হুইল, আমি বঙ্কিমবাবুর উপন্যাসগুলির প্রশংসা করিলাম, তাহ বলা বাহুল্য । বঙ্কিমবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন,—“যদি বাঙ্গাল। পুস্তকে তোমার এত ভক্তি ও ভালবাসা, তবে তুমি বাঙ্গালা লেখ না কেন ?" আমি বিস্মিত হইলাম ! বলিলাম,—“আমি যে বাঙ্গাল লেখা কিছুই জানি মা ! ইংরাজী বিদ্যালয়ে পণ্ডিতকে ফাকি দেওয়াই রীতি, ভাল করিয়া