পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী সন্ধ্যা করে দিয়ে গেছে, নিয়ে গেছে সন্ধ্যা-তারা তাধার পড়িয়া আছে সুষম হইয়া হারা ফুলটি সে নিয়ে গেছে ফেলে গেছে কঁটি। দুটি, বিরহ কঁাদিয়া সারা নয়ন মেলিয়ে উঠি । গিরীন্দ্রমোহিনী আভাষে স্বীয় সর্থীকে লিখিতেছেন – মিলন মিলন কত বা রক্ট বলি, কই রে মিলন কই ? মিলন চাহিতে বিরহ-সায়রে, ডোব-ডোব তরী সই ! ভাস। ভাস নদী, আশাভর তরী বেয়ে চলি ধীরি ধীর, অনন্তের কুলে মধুর মিলনে, যদি রে মিশিতে পারি । লইয়া বিদায় সবে চলে যায় দেখা ন হইতে শেষ— বুঝি, তাই ভয়ে মরি, যাই সরি সরি করিতে প্রাণে প্রবেশ । লাগে যদি বোঝা ফেলে ধেও সোজা, গিয়াছে ফেলিয়া সবে । এক আসিয়াছি যা ব চলে একা, ভেসে ভেসে ভবাণবে । গিরীন্দ্রমোহিনীর জীবন দুঃখের জীবন । বাণীর কমল-বন, বুঝি, চিরকণ্টকাকীর্ণ। তাহার স্বামী নরেশচন্দ্রের স্বাস্থ্য কখনও ভাল ছিল না। প্রবালে, স্বাস্থ্য-নিবাসেই তাহার জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত হইত। গিরীন্দ্রমোহিনী নরেশচন্দ্রের ছায়াস্বরূপিণী বলিলে,