পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘জাহ্নবী’-পরিচালন > * সকলকে নিক্ষেপ করিয়া যামিনী শেষে ত্রিযাম রজনীতে শষ্য। অ্যাগ করিয়া যিনি জগতে প্রেমের বাণিজ্যে তোমার বক্ষে তরণী ভাসাইয়। যাত্র। করিয়াছিলেন– “নদীয়া করিয়া আন্ধিয়ারী” । হয় মা ! তেমন রত্ন আর কি পাওয়া যায় না ? সেই পতিত্তে ক্ষয়ণ, নিষ্ঠুরে করুণ, প্রেমে উন্মাদ, ভাবের সাগর, অনিন্দ স্বন্দর, মূৰ্ত্তিমান মোহন মন্ত্র স্বরূপ ধৰ্ম্মবীর তোমার বিশাল তটভূমিতে এখন কি একেবারেই কুপ্রাপ্য ? পুণ্যসলিলে, দেখিস মা, শুভ পুণ্যাহ বৈশাখে—নববর্ষে তোমার বক্ষে আশা-ভরা তরীখানি লইয়া চলিলাম ; যেন নিরাশ করিস না মা ! জাহ্নবীর উদ্দেশু কি বলিতে হইলে, মোটামুটি সাহিত্যালোচনাই বলিতে হয় । কিন্তু আজিকার দিনে এই নব চক্ষুরুন্মীলিত সুপ্রভাতে সমাজের শিক্ষা দীক্ষ যে নূতন পন্থা অবলম্বনে অগ্রসর, তাহ নূতন করিয়া না বলিলেও চলে। এই গড়িয়া তুলিবার দিনে যে একপ্রাণত, বন্ধন-দৃঢ়তার অবশ্যক, জাহ্নবী তাতারই প্রার্থনী। মুখ্যতঃ নিস্পিষ্ট সমাজের আচার ব্যবহারের সংশোধন ও ধৰ্ম্মালোচনাই জাহ্নবীর জীবন 玄ー এখন বাঙ্গল সাহিত্যের দৈনন্দিন শ্ৰীবৃদ্ধি দেখিয়া সময়ে সময়ে হৃদয়ে সত্যই নিৰ্ম্মল আনন্দের উদযু হয় । আজ সাহস করিয়া কে বলিতে পারে, অামাদের মাতৃভাষা—বঙ্গভাষা দীনা ? মাসিক, সাপ্তাহিক, ত্রৈমাসিক প্রভৃতি যোগ্যতম হস্তে পরিচালিত হইয়া জাতীয় জীবন ও জাতীয় ভাবের উন্নতি সাধন করিতেছে । তাহার মধ্যে ক্ষুদ্র অন্ততম জাহ্নবীর যদি কিছু গৌরব করিবার থাকে বা হয়, তবে তাহ জাহ্নবীর পূর্বসম্পাদকের দ্বারাই হইয়াছে ও হইবে ; আমি উপলক্ষ মাত্র ”