পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ θ' গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী গিরীন্দ্রমোহিনী তিন বৎসর (১৩১৪-১৬) ‘জাহ্নবী সম্পাদন করিয়াছিলেন ; তাহার পর আর উহা প্রকাশিত হয় নাই । ইহ একখানি উচ্চাঙ্গের মাসিক পত্রিক ছিল । বৰ্ত্তমান লেখকের সর্বপ্রথম রচনা— “স্বপ্ন-প্রসঙ্গ” এই ‘জাহ্নবীর পৃষ্ঠাতেই (আষাঢ় ১৩১৬) মুদ্রিত হইয়াছিল । গিরীন্দ্রমোহিনী ও বাংলা-সাহিত্য বাংলা কাব্য-সাহিত্যে স্বর্ণকুমারী দেবী, গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী, কামিনী রায় ও মানকুমারী বস্থর অভু্যদয় বিস্ময়ের সৃষ্টি করিয়াছে । পুরুষ-প্রধান সাহিত্যে ইহারা ভাষার এবং ভঙ্গির বিবিধ বৈচিত্র্য সম্পাদন করিয়াছেন । প্রকৃত পক্ষে বাংলা ভাষায় নারী-হৃদয়ের গোপন বাৰ্ত্ত প্রচার করিয়া ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দ্বার ইহারাই উদঘাটন করিয়াছেন । এই চারি জনের মধ্যে গিরীন্দ্রমোহিনীর স্থান আরও বিশিষ্ট; স্বর্ণকুমারী দেবী ও কামিনী রায় আধুনিক শিক্ষার শিক্ষিত খ্যাত পরিবারের কন্যা, বাংল। কাব্য-সাহিত্যের প্রচলিত ধারার সঠিত উভয়েই কিছু কিছু পরিচিত ছিলেন । কিন্তু গিরীন্দ্রমোহিনী নারীমনের সম্পূর্ণ স্বাভাবিক প্রবৃত্তিবশে কবিতা রচনা করিয়াছেন, তাহার আবেগের কেন্দ্র প্রধানতঃ তাহার স্বামী । তাহর পরিবেশ মূলত: গৃহ-সংসার-পরিবেশ । সেই কারণেই তিনি যখন নিতান্ত কিশোর বয়সে সাহিত্যের আসরে অবতীর্ণ হন—তখনই সাহিত্য-রসিক মহলে বিশেষ আলোড়নের স্বষ্টি হয়। বহু মহিলা-কবি-আধুষিত বৰ্ত্তমান বাংলা দেশে সেদিনের সেই বিস্ময়-আলোড়নের পরিমাপ আমরা করিতে পারিব ম৷ স্বামি বিয়োগের পরে রচিত র্তাহার “অশ্রীকণী’ বিশেষ সমাদর লাভ করিয়াছিল। স্বাভাবিকতার দিক দিয়া মানকুমারী বসুও গিরীন্দ্রমোহিনীর সমগোত্রজ। এই গু:ণই গিরীন্দ্রমোহিনীর