পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

째 জিকার বাঙালী পাঠকের মনে স্বতই প্রশ্ন উঠিতে পারে, বৰ্ত্তমানে বিস্তৃত এই স্মরণীয় ব্যক্তিটি কে ছিলেন, বাংলাসাহিত্যের সহিত হতার সম্পর্কই বা কি ছিল এবং অধুনাই বা তাহার স্থান কোথায় । আমরা আত্মবিস্তুভ অনৈতিহাসিক জাতি বলিয়। এ প্রশ্ন উঠা অস্বাভাবিক নয় এবং এই বিস্মৃতির জন্য এ যুগের বাঙালীকে দোষও দেওয়া যায় না । কারণ, আজ প্রায় এক শত তেইশ বৎসর হইল, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ইহুধাম হইতে বিদায় লইয়াছেন, কিন্তু ঠাহর গুণমুগ্ধ ভক্তসম্প্রদায় তাহার কীৰ্ত্তিকে চিরস্মরণীয় করিবার সুযোগ পান নাই । ইহার দুইটি কারণ হইতে পারে । এক, ইউরোপের নূতন ভাবধারা আসিয়া বাঙালী সমাঙ্গকে ঠিক এই সময়ে এমন ভাবে আলোড়িত করে যে, ভালমন্দ বিচারের ক্ষমতা সাময়িক ভাবে বিলুপ্ত হইয়াছিল । সমাজ যখন সঙ্গজ অবস্থায় ফিরিয়া আসিল, মৃত্যুঞ্জয় তখন বিস্মৃতপ্রায় । লালনের পূজারী র্যাঙ্গার, তাহারা নিজেদের জ্ঞান ও শিক্ষাদীক্ষা মত প্রথমটা পুরাতনকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করিয়া নূতনকেই সর্বপ্রকার গৌরবের আসনে প্রতিষ্ঠিত করিতে চাহিয়াছিলেন, এমন কি, তাঙ্গরা বাংলা গদ্যপাহিত্যের স্থষ্টি-গৌরবও মৃত্যুঞ্জয় প্রভূতি যাহারা সত্যকার অধিকারী, তাহাদিগকে না দিয়া পরবত্তীয়দের স্কন্ধে চাপাহঁতে চেষ্টা করিয়াছিলেন । ইহাদের প্রচারের ফলে জনসাধারণের শপেও ভুল ধারণার স্মৃষ্টি হইয়াছিল। দ্বিতীয় কারণ, এবং