রচনাবলী ३ * লিতাস্ত দৃঢ়ভক্তি রাখিয়াছিলেন ইহাদিগের মধ্যে কাছার২. নিজ ভাষার প্রতি এতাদৃশ অকুরাগ ছিল ষে তাহারা তম্ভাষার সম্যক প্রচার করিবার নিমিত্ত অন্যান্য ভাষার সমূলোৎপাটনেও চেষ্টা করিয়াছেন এবং ইংলতীয় পণ্ডিতেরা যত দূর পর্য্যস্ত ক্ষমতা স্বদেশীয় ভাষা প্রতি অনুরাগ রাখিয়া ইহার দৃষ্টান্ত পথে দণ্ডায়মান আছেন, কিন্তু এতদ্দেশের দৌর্ভাগ্যপ্রযুক্ত এতদ্ধেশীয় লোকেরা প্রায় অনেকেই দেশীয় ভাষার প্রতি দ্বেষ করেন, বিদ্যালয়ে বাঙ্গল বিষ্ঠা শিক্ষণ ছাত্রদিগের অভিলাষাকুসারেই চলিয়া থাকে, অর্থাৎ যে দিবস ইংরাঞ্জী শিক্ষা করিয়া অবসর সময় থাকে ও আলস্য দোষ উপস্থিত মা হয় সেই দিনই একবার দেশীয় ভাষার পুস্তক অনাস্থ ৰুদ্ধিতে গৃহীত হয়, নতুবা হয় না, ইহাতে ষে কেবল ঐ সকল ছাত্র গণেরই দোষ এমত নহে, তাহাদিগের মাত পিতাও তস্বিষয়ে দোষাজ্ঞাত হুইতেছেন, যেহেতু ইহঁর স্বস্ব সস্তান দিগের স্বদেশীয় ভাষা শিক্ষা হইতেছে কি মা ইহা একবারও দেখেন না, বালকের ইংরাজী পাঠাভ্যাস করিলেই প্রশংসা করেন, এবং যদি ঐ বালক ইংরাজী কোন পুস্তক ক্রয় করিবার নিমিত্ত তাহাদিগের নিকটে দশ বা স্বাদশ মুদ্রা প্রার্থনা BBB BB BBBS BBBBBS BBB BB BB BBBS BBB BB করিতে অৰ্দ্ধমূদ্র স্বাচঞ করিলেও কছেন অর্থের বড় অনটন, কিছুদিন যাউক, এক্ষণ হইবে না, ইত্যাদি বিবিধ বাগাড়ম্বর কবিয়া বালকদিগকে দেশ ভাষা শিখিতে অঙ্কুৎসাহ দেন, এই সমক ব্যবহার কি দেশ ভাষা নিৰ্ম্মল করার কারণ নহে ? হায় কি আশ্চৰ্য্য দেশ । ভাষার প্রতি ইহঁাদিগের এত অরুচি কেন ? কেহ বা আপনি দেশান্থস্বাগী ইহ জনাইবার নিমিত্ত মুখে মাত্র কহিয়া থাকেন যে “আমাদিগের দেশ ভাষার উন্নতি করা নিত্যস্ত জাবশ্বক’ কিন্তু তাহা ইইমিগের হৃদয়ঙ্গম মহে ; মদি এমত অভিলষিত হইত তাহা হইলে
