পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামরাম বসু ও রামমোহন রায় স্বামরাম বস্ত্র ও রামমোহন রায়ের নাম একত্র যুক্ত হইয়া কতকগুলি কথা চলিয়া আসিযাছে । ইহাদের একটি এই যে, রামরাম বসু রামমোহনের স্বারা ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্রের পাণ্ডুলিপি সংশোধিত করাইয়া লইয়াছিলেন । এই উক্তি প্রথমে নিপিলনীপ রায মহাশয কপ্লেন ও শ্রমাণ-হিসাবে “শ্রীরামপুর মিশনে রক্ষিত কেরীর অপ্রকাশিত কাগজপত্রের” উল্লেখ করেন । পরবর্ত্তী কোন কোন লেখক নিজেদের গ্রন্থে নির্বিচারে উহার পুনরাবৃত্তি করিয়াছেন । আর একটি ধারণাও চলিয়া আসিতেছে যে, রামমোহন রাসুষ্ট না-কি রামরাম বস্থকে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইতে দেন নাই । এই দুইটি বিষযেরক্ট একটু আলোচনা প্রয়োজন । শ্রীরামপুর মিশনে বৰ্বমানে কেীর অপ্রকাশিত কাগজপত্র কিছু মাই ! কোন দিন ছিল কি না, সে-বিষয়েও সন্দেহ আছে । এই তথা-কথিত কাগজপত্রের বলে ধে উল্লি কপা হইয়াছে, তাহাব একটি যে নির্ভরযোগ্য নয়, তাহ আমবা ইতিপূৰ্ব্বে দেখিষাছি । সুতরাং এই কাগজপত্র সম্বন্ধে ভাল করিয৷ অনুসন্ধান না-হওয়া পৰ্য্যস্ত অন্য প্রমাণের সাহায্যেই প্রশ্নগুলির মীমাংসা করা উচিত । প্রথমেই আমরা দেখি, রামরাম বস্থ ১৭৮৭ খ্ৰীষ্টাব্দের মার্চ মাসে জন টমাসের বাংলা মুনশী নিযুক্ত হন । তখন যে বাংলা ও ফাসাঁতে রামরাম বস্থর যথেষ্ট জ্ঞান ছিল এবং কাজ চালাইবার মত ইংরেজীর জ্ঞানও ছিল, তাহার প্রমাণ ইতিপূৰ্ব্বে দেওয়া হইয়াছে। ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র প্রকাশিত হইবার পূৰ্ব্বে রামরাম বস্থর আরও ছুইখানি পুস্তিকা স্ত্রীরামপুর হইতে প্রকাশিত হইয়াছিল। উহাদের তারিখ যথাক্রমে ইং ১৮০০ ও ১৮৯১ । তাহা ছাড়া তিনি কেরীর