পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 রামরাম বন্ধ রামমোহনের বিশেষ সংস্রব ছিল । অন্য প্রমাণ হইতে আরও জানা যায় যে, রামমোহন ইং ১৮৯১ হইতে ১৮০৩ পর্য্যস্ত বেশীর ভাগ সময় কলিকাতায় কাটাইয়াছিলেন । এই সময়ে, অর্থাৎ ১৮০১ খ্ৰীষ্টাব্দের মে মাস হইতে, রামপ্লাম বস্তু ফোর্ট উইলিয়ম কলেঞ্জের বাংলা-বিভাগের এক জন পণ্ডিত ছিলেন। স্বতরাং তাহার সহিত রামমোহনের পরিচয় হওয়া খুবই স্বাভাবিক । মোটের উপর মনে হয়, বfমরাম বস্থ ও রামমোহনেব কাৰ্য্যকলাপের মধ্যে অনেকট সাদৃশু থাকায় পরবর্তী যুগে দুই জনকে লইয়া একটা গণ্ডগোল উপস্থিত হয় ৪ উহার ফলে রামরামের উপর রামমোহনের প্রভাব আরোপিত হয় । নহিলে হিন্দু পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে অন্দোলন সম্বন্ধে রামরাম বস্থ যে রামমোহনের অগ্রণী ছিলেন, সে-বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । এই আন্দোলনে তিনি প্রধানত: মিশনারীদের কথারই প্রতিধ্বনি করিলেও হিন্দু একেশ্বপবাদের সন্ধান একেবারে পান নাই তাহা বলা চলে না। ১৮০২ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রকাশিত র্তাহার রচিত ‘লিপি মালা’ পুস্তকের ভূমিকায় আমরা পাই,— স্বষ্টি স্থিতি প্রলয় কৰ্ত্ত জ্ঞানদ সিদ্ধি দাতা পরম ব্রহ্মের উদ্দিশ্বে নত হইয় প্রণাম ও প্রার্থনা করিয়া নিবেদন করা যাইতেছে। রামমোহনের প্রতিভা এবং পাণ্ডিত্য রামরাম বসুর না থাকিলেও তিনি যে রামমোহনের পূৰ্ব্বেই পৌত্তলিকতা হইতে ব্ৰহ্মোপাসনার দিকে ফিরিয়াছিলেন, তাহা এই ছত্রটি স্পষ্ট প্রমাণ করে ।