পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনও দেশের সাহিত্য ও সমাঞ্জের ইতিহাসে আমরা দেখিতে পাই, নিতান্ত অকারণে আমাদের প্রবহমাণ জীবনধারায় বিপৰ্য্যয় ঘটাইমু, সমুদ্রগর্তে জলোচ্ছ্বাসের মত কচিৎ এক-এক জন লোকের আবির্ভাব হয় ; ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বা ক্রমবিকাশের সহিত র্যহাদের কোন ও প্রত্যক্ষগোচর সম্পর্ক নাই, গ্ৰহ-উপগ্রহ-পরিব্যাপ্ত নিয়মতান্ত্রিক সৌরমণ্ডলে ধূমকেতুর আবির্ভাব-তিরোভাবের সহিত র্যাহাীের অভু্যদয় ও তিরোধানের তুলনা করা চলে । বাংলা-সাহিত্যক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে এইরূপ প্রাকৃতিক বিপৰ্য্যয় বলিয়াই মনে হইতে পারে । 鹦星 কিন্তু ইহা আপাতদৃষ্টির কথা । একটু গভীর ভাবে অনুধাবন কবিয়া দেখিলে আমরা অনুরূপ দেপিব । আমরা বুঝিতে পারিব, বাংলা দেশের সাহিত্য-সমাঙ্গে গুপ্ত-কবির আবির্ভাব অবশুম্ভাবী এবং অমোঘ। বাংলা কাব্য-সাহিত্যের ইতিহাসেও তাহাব স্থান অনগুসাধারণ । নূতন ও পুরাতনের সন্ধিস্থলে দণ্ডায়মান থাকিয়া পুরাতন প্রবাহকে অব্যাহত রাখিয়াই তিনি মৃতনের জন্ত থাত খনন করিয়া তাহাতে নব লব ধারা প্রবাহিত করিয়াছেন । দুর্গম পাৰ্ব্বত্য প্রদেশের চিহ্ন-পরিচয়BB BBBBBB BB BBB BB BBB BBB BBBB BB BBBS বাতাসের রাজ্যে উৎসারিত করিয়াছিলেন বলিয়াই মধুস্থদন-বিহারীলালরবীন্দ্রনাথের সাধনা ও সিদ্ধি সস্তুল হুইয়াছে এবং অন্ত দিকে কবি ও শিল্পী ভারতচঞ্জের কবি-টগ্রা-পাচালি-হাফ আখড়াইয়ের খিড়কি-জ্বারে যে সম্রমহীন গ্রাম্যতায় বাংলা কবিতার অপমৃত্যু হইতে বসিয়াছিল, ঈশ্বরচন্দ্রের চেষ্টায় তাহাই ঐশ্বৰ্য্য-সমারোহে উন্নীত হইয়া সদরের রাজপাটে নবজীবন ও মুক্তি লাভ করিয়াছে । বস্তুতঃ বাংলা