পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/৭৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন রায় - . سيينما একটির কথা এখানে উল্লেখ করিতেছি । উহা ১৮১৭ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৩এ জুন তাহার ভ্রাতুষ্পপুঞ্জ গোবিন্দপ্রসাদ রায় রুজু করেন এবং উহার শুনানি হয় কলিকাতা স্থপ্রীম কোর্টের ইকুইটি-বিভাগে প্রধান বিচারপতি সার এডওয়ার্ড হাইড ঈস্টের সম্মুখে । এই মকদ্দমা সম্বন্ধে নানারূপ ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে । ডা: কাপেণ্টার লিথিয়া গিয়াছেন যে, রামমোহন জাতি ও ধর্শ্বচ্যুত হইয়াছেন, এই কথা প্রমাণ করিয়া তাহাকে পৈতৃক সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত করিবার জন্য এই মকদ্দমা রুজু করা হয়, কিন্তু রামমোহন র্তাহার প্রগাঢ় শাস্ত্রজ্ঞানের দ্বার। এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন । রামমোহনের বন্ধু পাদরি অ্যাডামের বিবরণও এই মৰ্ম্মেরই । তিনি বলিয়াছেন, রামমোহনকে বিধৰ্ম্মী প্রমাণ করিয়া বিষয় হইতে বঞ্চিত করিবার জন্য র্তাহার মা এই মকদ্দমা করেন, কিন্তু তাহার মনস্কামনা পূর্ণ হয় নাই । কাপেন্টার ও অ্যাডাম দুই জনই ধৰ্ম্ম প্রাণ পাদরি। স্বতরাং তাহাদের পক্ষে এইরূপ উক্তি করিয়া আইন-জ্ঞানহীনতার পরিচয় দেওয়া কিছুমাত্র আশ্চৰ্য্য নয়। এই মকদ্দমার প্রকৃত রূপ সম্পূর্ণ বিভিন্ন । এই মকদ্দমা যখন রুজু হয়, তখন রামমোহন কতকগুলি সম্পত্তি ভোগ করিতেছিলেন। গোবিন্দ প্রসাদ রায় বলেন, এই সম্পত্তিগুলি এক হিন্দু একান্নভুক্ত পরিবারের সম্পত্তি, উহাতে র্তাহার পিতা ও পিতামহেরও স্বত্ব ছিল, সুতরাং পিতার উত্তরাধিকারী হিসাবে এগুলিতে র্তাহারও অংশ আছে । রামমোহন এই দাবী সম্পূর্ণ অগ্রাহ করেন। তিনি বলেন, সম্পত্তিগুলি সম্পূর্ণ র্তাহার নিজের, কারণ ঐ সকল সম্পত্তি ক্রয়কালে তিনি এবং তাহার পিতা ও ভ্রাতা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ছিলেন । কিছু দিন পরে গোবিন্দপ্রসাদ মকদ্বমা মিটাইয়া ফেলিলেন ও পিতৃব্যের নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিয়া নিম্নোঙ্কত পঞ্জখানি লিখিলেন –