পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । after ܓܘ সহিত সংযোজিত হইয়া, মুসলমানের আধিপত্য ও ক্ষমতার পরিচয় দিতেছে। কিন্তু মুসলমান ভারতের অধিরাজ হইলেও সাহিত্যসম্পত্তিতে তাদৃশ সমৃদ্ধ ছিলেন না। তাহারা ইতিবৃত্তরচনায় যেরূপ পারদর্শিতা দেখাইয়াছেন, ভাবগৰ্ভ প্ৰবন্ধমালা বা বিজ্ঞানপ্ৰভৃতিতে বোধ হয়, সেরূপ ক্ষমতা দেখাইতে পারেন নাই। ধৰ্ম্মগ্রন্থের অনুশীলনের দিকেই তঁহাদের সবিশেষ আগ্রহ ছিল। তঁহারা ধৰ্ম্মপ্ৰাণ জাতি। আপনাদের পবিত্ৰ ধৰ্ম্মগ্রন্থ পাঠ করিতে পরিলেই তাহারা শিক্ষার সার্থকতা হইল বলিয়া মনে করিতেন। সুতরাং মুসলমানের সাহিত্য, বাঙ্গালা সাহিত্যের উপর তাদৃশ প্রভাব বিস্তার করিতে পারে নাই। ইতিহাসে বাঙ্গালা গদ্য মুসলমানের নিকট যেরূপ উপকৃত হইয়াছে অন্যান্য বিষয়ে সেরূপ উপকৃত হয় নাই। কিন্তু মুসলমানের পর অন্য এক জাতির সংস্রবে। বাঙ্গালা সাহিত্যের যুগান্তর ঘটয়াছে। এই জাতি সামান্য ভাবে ভারতের উপকূলে পদার্পণ করেন, সামান্য ভাবে ক্রান্নবিক্রয়ে ক্ষতিলাভের গণনায় মনোযোগী হয়েন, শেষে আপনাদের বুদ্ধিবলে ও ক্ষমতাগৌরবে ভারতের রত্ন-সিংহাসনের অধিকারী হইয়া উঠেন। ইহাদের প্রদশিত যত্নে, ইহাদের প্রদত্ত শিক্ষায়, ইহাদের অবলম্বিত পরিশুদ্ধ রীতিতে বাঙ্গাদা গদ্যের শ্ৰীবৃদ্ধি হয়। ইংরেজ যখন বাঙ্গালায় আধিপত্য স্থাপন করেন, তখন বাঙ্গালী আপনাদের আদিম ও অকলঙ্ক কবিত্বসম্পত্তিতে পরিতৃপ্ত থাকিত। তখন ফুল্লারার বারমান্ত গৃহে গৃহে গীত হইত ; অন্নদার জরতীবেশে বা বিদ্যার তিরস্কারে লোকে আমোদিত হইত ; মনসার ভাসানে বঙ্গের পর্ণকুটীরে লোকারণ্যের আবির্ভাব ঘটিত ; কালীকীৰ্ত্তনের শান্তরসাম্পদ উদাত্ত ভাব দরিদ্র পল্লীবাসীকে অমরলোকের অপূৰ্ব্ব শোভা দেখাইয়া দিত। বঙ্গের সর্বস্বাস্ত ঘটিলেও, বাঙ্গালী অধঃপতনের চরম সীমায় উপনীত হইলেও, আজ পৰ্য্যন্ত এই সকল বিষয় তাহার অমূল্য রত্রের মধ্যে পরিগণিত রহিয়াছে। এখনও চিরদরিদ্র ব্যক্তি বঙ্গের দরিদ্র কবির বর্ণনায় আনন্দাশ্ৰতে বক্ষঃস্থল ভাসাইতেছে ; বিষয়াসক্ত ভোগী ক্ষণকালের জন্য বিষয়বাসনায় বিসর্জন দিয়া, নিস্পন্দভাবে সেই কবিত্বসুধা পান করিতেছে এবং সংসার বিরাগী উদাসীন সেই অপার্থিব ভাবে বিমোহিত হইয়া, স্বৰ্গরাজ্যের সহিত আপনার সম্বন্ধ দৃঢ়তর করিয়া তুলিতেছে। বাঙ্গালা সাহিত্যে পদ্যের এইরূপ উন্নতিভাব থাকিলেও গদ্যের অবস্থা উৎকৃষ্ট ছিল না ! ইংরেজের সমাগমের পূর্বে যে গদ্য গ্রন্থের পবিচয় পাওয়া যায়, তাহার রচনা প্ৰণালী হৃদয়গ্রাহিণী নহে। উহা যেমন উৎকট শব্দে পরিপূর্ণ, সেইরূপ পূৰ্ব্বাপরসম্বন্ধবিরহিত। ইংরেজের সময়ে বাঙ্গালায় গদ্য রচনার উৎকর্ষের সূত্রপাত হয়। ইংরেজ স্বয়ং বাঙ্গালায় গদ্য রচনা করেন। কিরূপে ইতিহাস বিজ্ঞান প্ৰভৃতি লিখিতে হয়, কিরূপে রচনার বিষয়সন্নিবেশ করিতে হয়, কিরূপে গ্ৰন্থাদি মুদ্রিত করিতে হয়, তাহা ইংরেজের শিক্ষায় বাঙ্গালীর হৃদয়ঙ্গম হয়। বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাসে ইংরেজের এই মহীয়সী কীৰ্ত্তি BDBD DBBDBS DBDYYB BDDDBSDDBD KuBuBBDB BD S DBDBK DDBBDBDSD প্রতিভায় সাহিত্যক্ষেত্রে যে বীজ রোপিত হয়, তাহা এখন ফলপুষ্পে শ্ৰীসম্পন্ন মহাবৃক্ষে