পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गन •७०२ ] বাঙ্গালা গদ্য সাহিত্য । NX) পরিণত হইয়াছে। মৃত্যুঞ্জয় এবং রাজা রামমোহনের গদ্য এখন সংস্কৃত ভাষায় এবং ইংরেজীতে সুশিক্ষিত লেখকদিগের লিপিক্ষমতায় মার্জিত ও পরিশোধিত হইয়া শব্দবৈভবে, ভাবগৌরবে ও রচনালালিত্যে পৃথিবীর সভ্য জনপদের শ্রদ্ধা ও গ্ৰীতি আকর্ষণ করিতেছে। - জাতীয় ভাবমূলক সাহিত্য যেমন সৰ্ব্বকালে সৰ্ব্বাংশে মনোমদ ও প্রতিপ্ৰদ হয়, বিজাতীয় ভাবমূলক সাহিত্য সেরূপ হয় না। বাঙ্গালা গদ্যের উন্নতি ও পরিপুষ্টির বিবরণে এই বিষয়টি স্পষ্টরূপে বুঝিতে পারা যায়। যাহাদের যত্নাতিশয়ে বাঙ্গালা গদ্যের অবস্থা পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছে, তঁাহারা যেমন সংস্কৃতভাষায় সুপণ্ডিত, সেইরূপ ইংরেজীতে সুশিক্ষিত। সংস্কৃত ও ইংরেজী ভাষা, উভয়ই তঁহাদের রচনার সহায় হইয়াছে। কিন্তু তাহারা বিজাতীয় । ভাষার সাহায্য গ্ৰহণ করিলেও, জাতীয় ভাবে বিসর্জন দেন নাই। র্তাহারা বিজাতীয় ভাষা হইতে যাহা কিছু সংগ্ৰহ করিয়াছেন, তাহাই জাতীয় ভাবে ও জাতীয় বেশে সজ্জিত করিয়া জাতীয় ভাষার শ্ৰীবৃদ্ধিসাধনে তৎপর হইয়াছেন। এজন্য র্তাহাদের রচনার উৎকর্ষ DBSSDDDSSDDDBB BBB BBDS BD DBDDBD DBDDDDBS BDDDBD BBDDD করিয়াছেন, অপর দিকে সেইরূপ ভিন্নধৰ্ম্মমূলক বিষয়ের পরিহারে যত্নশীল হইয়াছেন। র্তাহাদের বিশুদ্ধ রূচিতে পূৰ্ব্বতন উৎকট শব্দময়ী গদ্যরচনা প্ৰাঞ্জলভাবে ও ললিতপদ, বলীতে সৌন্দৰ্য্যশালী হইয়াছে। তঁহাদের রচনায় উদ্দীপনা আছে, ওজস্বিতা আছে, মধুর শব্দসমূহের সমাবেশ আছে, কিন্তু বিজাতীয় রীতি বা বিজাতীয় ভাবের আবিলতা নাই। রাম বসু প্ৰভৃতি যাহার আলোচনা করিয়াছেন, মৃত্যুঞ্জয় যাহাকে জীবনী শক্তি দিয়াছেন, রাজা রামমোহন যাহা পরিমার্জিত করিয়াছেন, বিদ্যাসাগর, অক্ষয়কুমার, বঙ্কিমচন্দ্ৰ, কালীপ্ৰসন্ন প্রভৃতির ক্ষমতায় তাহা বিশোধিত হইয়া সদ্যঃপ্রস্ফটিত প্রভাতকুসুমের ন্যায়। লাবণ্যপূর্ণ ठूछ्रेम्नाgछ । বাঙ্গালা গদ্য যেরূপ ক্ৰমোৎকর্ষের পরিচয় দিয়াছে, বাঙ্গালা পদ্য সেরূপ ক্রমোন্নতি দেখাইতে পারে নাই। সৃষ্টিসৌন্দর্ঘ্যে, স্বভাববৰ্ণনার চাতুৰ্য্যে এবং সরলতা ও উদ্ভাবনায়, প্রাচীন বাঙ্গালী কবিতা সাহিত্যক্ষেত্রে নিঃসন্দেহ শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়াছে। মৃত্যুঞ্জয়, বিদ্যাসাগরের নিকট পরাজিত হইয়াছেন; কিন্তু মধুসুদন, মুকুন্দরামের প্রতিভায় হীনপ্ৰভ হইয়া রহিয়াছেন। আধুনিক গদ্য পূৰ্ব্বতন গদ্য অপেক্ষা উদ্দীপনাময়, প্রাঞ্জল ও মধুর হইয়াছে, কিন্তু আধুনিক পদ্য পূৰ্ব্বতন পদ্য অপেক্ষা দুৰ্ব্বোধ, অস্বাভাবিকভাবময় এবং বিজাতীয় ভাবে শ্ৰীহীন হইয়া পড়িয়াছে। আধুনিক গদ্যে সরলভাবের বিকাশ হইতেছে, আধুনিক পদ্য সরলতায়, বিসর্জন দিয়াছে। সংক্ষেপে, আধুনিক গদ্য স্বাভাবিক সৌন্দর্ঘ্যে মনোরম হইয়াছে। আধুনিক পদ্য কৃত্রিম সৌন্দৰ্য্যে অগ্ৰীতিকর হইয়া উঠিতেছে। বিজাতীয় ভাবের আবির্ভাবে, বিজাতীয় রীতির সমাবেশে, আধুনিক কবিতার এইরূপ অবস্থা ঘাঁটিয়াছে। পক্ষান্তরে যাহারা গদ্যরচনার সংস্কার করিয়াছেন, তঁাহারা জাতীয় ভাবের অনুবৰ্ত্তন করাতেই তঁহাদের প্ৰয়াস সফল হইয়াছে। জ্ঞানবিস্তারের সঙ্গে যখন নানাবিষয় লিখিবার ও বুঝাইবার