পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* . . সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা। t পাটক, ফ্রান্সে মারট, ইহারা সকলেই আপনাদের ধৰ্ম্মমত প্রচারার্থ সেই সেই দেশের छषिाब्र आवश् গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। চৈতন্য দেবের আবির্ভাবে বৈষ্ণব কবিদিগের প্রতিडोत्र बांत्रांगांत्र অপূৰ্ব্ব কবিতাগ্রন্থের উৎপত্তি হইয়াছিল। বঙ্গের রামমোহন রায়ও আপDD DBYYuB DDB DDD S BDBLDD sDDDK DLLDB S SBBL BBLBDDD DBLLDY এক স্থলে লিখিয়াছেন ঃ “কেহো কেহো এ শাস্ত্ৰে প্ৰবৃত্তি হইবার উৎসাহের ভঙ্গের নিমিত্ত কহেন যে বেদের বিবরণ ভাষাতে করাতে এবং শুনাতে পাপ আছে এবং শূদ্রের এ ভাষা শুনিলে পাতক হয়। র্তাহাদিগ্যে জিজ্ঞাসা কৰ্ত্তব্য যে যখন তাহারা শ্রুতি স্মৃতি জৈমিনি সূত্র গীতা পুরাণ रेंडाति শাস্ত্র ছাত্রকে পাঠ করান। তখন ভাষাতে তাহার বিবরণ করিয়া থাকেন। কি না। আর ছাত্রেরা সেই বিবরণকে শুনেন কি না। আর মহাভারত যাহাকে পঞ্চম বেদ আর সাক্ষাৎ বেদাৰ্থ কহা যায় তাহার শ্লোক সকল শূদ্রের নিকট পাঠ করেন কি না এবং তাহার অর্থ শুদ্রিকে বুঝান কি না শূদ্রেরাও সেই বেদার্থের অর্থ এবং ইতিহাস পরস্পর আলাপেতে কহিয়া থাকেন। কি না। আর শ্ৰাদ্ধাদিতে শূদ্রনিকটে ঐ সকল উচ্চারণ করেন কি না । যদি এইরূপ সৰ্ব্বদা করিয়া থাকেন তবে বেদান্তের এ অর্থের বিবরণ ভাষাতে করিবাতে দােষের উল্লেখ কিরূপে করিতে পারেন। সুবোধ লোক সত্য শাস্ত্ৰ আর কাল্পনিক পথ ইহার বিবেচনা অবশ্য করিতে পরিবেন। কেহ কেহ কহেন ব্ৰহ্মপ্রাপ্তি যেমন রাজপ্রাপ্তি হয়। সেই রাজপ্ৰাপ্তি তাহার দ্বারীর উপাসনা বাতিরেকে হইতে পারে না সেইরূপ রূপগুণবিশিষ্টের উপাসনা বিনা ব্ৰহ্মপ্রাপ্তি হইবেক না। যদ্যপিও এ বাক্য উত্তর জনক নহে তত্ৰাপি লোকের সন্দেহ দূর করিবার নিমিত্ত লিখিতেছি। যে ব্যক্তি রাজপ্রাপ্তির নিমিত্ত দ্বারীর উপাসনা করে সে দ্বারীকে সাক্ষাৎ রাজা কহে না এখানে তাহার বিপরীত দেখিতেছি যে রূপগুণবিশিষ্টকে সাক্ষাৎ ব্ৰহ্ম কহিয়া উপাসনা করেন। দ্বিতীয়ত রাজা হইতে রাজার দ্বারী সুসাধ্য এবং নিকটস্থ সুতরাং তাহার দ্বারা রাজপ্রাপ্তি হয় এখানে তাহার অন্যথা দেখি। ব্ৰহ্ম সৰ্ব্বব্যাপী আর যাহাকে তাহার দ্বারা কহ তেঁহাে মনের অথবা হন্তের কৃত্রিম হয়েন কখন তাহার স্থিতি হয় কথন স্থিতি না হয়। কখন নিকটস্থ তখন দুরন্থ অতএব কিরূপে এমত বস্তুকে অন্তৰ্যামী সৰ্ব্বব্যাপী পরমাত্মা হইতে নিকটস্থ স্বীকার করিয়া ব্ৰহ্ম প্রাপ্তির সাধন কহা যায়। তৃতীয়ত চৈতন্যাদি রহিত বস্তু কিরূপে এই মত মহৎ সহায়তার ক্ষমতাপন্ন হইতে পারেন।” দুজ্ঞেয় বেদান্ত গ্রন্থের ব্যাখ্যা ব্যতীত মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় আরও অনেক বিষয় লিখিয়া গিয়াছেন। তঁহার সংবাদকৌমুদীতে বিবিধ বিষয়িণী রচনা আছে। কেহ কেহ সংবাদকৌমুদীকে সংবাদপত্র বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। তঁহাদের মতে উহা ১৮২০ অব্দ প্রচারিত হইয়াছিল। সংবাদকৌমুদীতে রাজা রামমোহনের গদ্যরচনা এইরূপ :- “তাবৎ দেশের গল্পে লিখিত আছে যে লোকেরা আকাশপথে গমন করিয়াছেন, কিন্তু এই অসম্ভব বিষয় যে সত্য হইবে সে কেবল এই কালের কারণ। পূৰ্ব্বকালে যে বিষয় অদ্ভুত