পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਸਜ ੨ ] বাঙ্গালা গদ্য সাহিত্য । 8の দ্য প্রভৃতি অধম লোক হইতেও অধম ; কেননা ইহারা স্বস্থানে ত্যাগ করিয়াসুক্রিয়ান্বিত হইলে তাহারদের সুখ্যাতি পুনর্বার হইতে পারে। কিন্তু ইহারদের কখন ভাল হইতে পারে না হিন্দুরা শাস্ত্র ব্যবস্থা কিম্বা মান্য লোকেরা যাদৃচ্ছিক আজ্ঞা লঙ্ঘন করিলেই অপাের দুখ সাগরে পড়ে।” এইরূপ গদ্য যে, নিরতিশয় অপকৃষ্ট, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। যাহা হউক রাজা রামমোহন” রায়ের পরে অনেকে বাঙ্গালা গদ্যগ্রন্থের প্রচারে যত্নশীল হয়েনি। র্যাহারা ইংরেজীতে বুৎপন্ন হইয়াছিলেন, এবং বিবিধ ইংরেজী গ্ৰন্থ পাঠ করিয়া, অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিলেন, তাহারা বাঙ্গালা গদ্য রচনায় ঔদাস্য প্ৰকাশ করেন নাই। গদ্যসাহিত্যক্ষেত্রে এই শ্রেণীর দুই ব্যক্তি সমধিক প্ৰসিদ্ধ। ইহারা বিদেশ হইতে যে জ্ঞান সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, তাহা স্বদেশীয় ভাষায় নিবদ্ধ করিয়া স্বদেশে বিস্তার করিবার জন্য শ্ৰমশীলতা ও কাৰ্য্যতৎপরতার গ সবিশেষ পরিচয় দিয়া গিয়াছেন। ডাক্তার কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যার ১৮৪৬ অব্দে বিদ্যাকল্পদ্রুম অর্থাৎ বিবিধ বিদ্যাবিষয়ক । রচনার প্রচারে উদ্যত হয়েন। বিদ্যাকল্প দ্রুম তাৎকালিক গবর্ণরজেনেরল লর্ড হার্ডিঞ্জের নামে উৎসর্গ করা হয়। গ্ৰন্থকার “মঙ্গলাচরণ” এই শিরোনাম দিয়া যে উৎসর্গপত্র লিখেন, তাহার 鸭 এক স্থল উদ্ধত হইতেছে :- * “বঙ্গভূমির মধ্যে সাধারণের মতিভ্রমনিবারণার্থে গৌড়ীয় ভাষাতে ইউরোপীয় পুরাবৃত্ত ও পদার্থবিদ্যার অনুবাদ এক উত্তম উপায় বোধ হইতেছে কেন না অবিদ্যা ও ভ্ৰান্তির যে দুষ্ট শক্তি দেশ ব্যপিয়া প্ৰবল আছে তাহা হইতে সাধারণের মন এ উপায়ে মুক্তি পাইতে * পরে কিন্তু এই প্রকারে গৌড়ীয় ভাষাতে ইউরোপীয় বিদ্যার অনুবাদ যত বাঞ্ছনীয় རྩ་རྩ সহজ নহে। অতএব অসাধ্য জ্ঞান করিয়া আমি অনেক দিন পৰ্য্যন্ত এ চেষ্টাতে বিরত * ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি বেঙ্গল গবৰ্ণমেণ্ট সমীপে উৎসাহ পাইয়া উক্ত অনুবাদের প্রতিজ্ঞাতে পুনশ্চ প্ৰবৃত্ত হইয়া পরমেশ্বরের প্রসাদে নির্ভর রাখিয়া ইউরোপীয় পুরাবৃত্ত পদার্থবিদ্যা ক্ষেত্ৰ- । পরিমাণ জ্যোতিষাদি সকল শাস্ত্ৰ স্বদেশীয় ভাষাতে বিস্তার পূর্বক পশ্চিম খণ্ডের জ্ঞান পূৰ্ব্ব খণ্ডে স্থাপন করিতে চেষ্টত হইয়াছি। “যে যে গ্ৰন্থ আমি রচনা করিতে প্ৰবৃত্ত আছি তাহা উক্ত বিষয়ক কোন বিশেষ পুস্তক হইতে অনুবাদ না করিয়া বরং নানা মূল হইতে সংগ্ৰহ করিতে কল্পনা করিতেছি এইরূপ সংগ্ৰহ করিলে দুই প্রকারে উপকার হইতে পারে। ইহাতে প্ৰথমতঃ ব্যাখ্যাকারক যথার্থ অনুবাদের শৃঙ্খল হইতে মুক্ত হইয়া পাঠকের দুঃশ্রাব্য ও অসাধু শব্দ প্রয়োগের ভয় হইতে । উদ্ধার পাইবেন, এই উদ্ধারকে ব্যতিরেক ভাবে হিতকারি কহিতে হইবে, দ্বিতীয়তঃ । এইরূপ সংগ্রহের বিধানে গৌড়ীয় পাঠকের বিশেষ ব্যবহারার্থে স্বদেশীয় ধারাতে কতিপয় গ্ৰন্থ প্রস্তুত হইতে পারে, ইহাকে অন্বয় মুখে শ্ৰেয়ঃ কহিতে হইবে কেননা গ্ৰন্থকারক যে ভাষাতে লিখিতেছেন তাহাতে যদি আপনি মনের কল্পনা করিতে পারেন। তবে মহা