পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፥ ሓ♥° DD DDS DBBDBD BBDDBD D BB BDDBB SS SS SS 00 উপযুক্ত দৃষ্টি না রাখিলে আমাদের সাহিত্যশিশুর দশাও ঠিক ঐ রূপ হইবে। যদি বান্তর্কুিট সুশাসন করিলে সাহিত্যচর্চার লোপ হয়, তাহা হইলে জানিতে হইবে, এখন শিশুর বঁটি উপযুক্ত বয়স হয় নাই-সাহিত্য লিখিবার ক্ষমতা আমাদের জাতির মধ্যে এখনও উদিত হয় নাই। তাহা হইলে বলিতে হইবে “দুষ্ট গরু অপেক্ষা শূন্য গোয়াল ভাল”। ব্যবচ্ছেদ করিয়া দেখিলে, আমরা দেখিতে পাই যে, কতকগুলি স্কুলের শিশুদের পাঠ করিবার পুস্তক, কতকগুলি নাটক নবেল ও কতকগুলি কবিতাপুস্তকের সমষ্টিকেই এক্ষণে আমরা বাঙ্গালা সাহিত্য বলিয়া থাকি। বাস্তবিক ঐ তিন শ্রেণীর পুস্তক বাদ দিলে আমাদের ভাষায় পুস্তক আছে বলিয়াই বোধ হয় না। থাকিবার কথাও নয়, কারণ আমা, দের উচ্চ শিক্ষা বাঙ্গালা ভাষা দ্বারা হয় না। পূর্বে সংস্কৃত পুস্তক পড়িয়া পণ্ডিত হইতে হইত, . এইক্ষণ ইংরাজিতেই উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন হয়। দর্শন বিজ্ঞান প্রভৃতি যাহা কিছু স্কুল কলেজে অধীত হয়, তৎসমস্তই ইংরাজী । কেহ ইচ্ছা করিয়া ঐ সকল বিষয়ে বাঙ্গালা পুস্তক প্ৰণয়ন করিলে, কেহই তাহা পড়েন না, গ্ৰন্থকারের শ্রম ও অর্থ বৃথা ব্যয়িত হয়। এজন্য উচ্চ বিষয়ের গ্ৰন্থ কেহই লেখেন না। যদি তাহাই হইল, তবে ছাই ভস্মের রাশি লইয়া আমরা কি করিব ? স্কুলের গ্ৰন্থ প্রায়ই ইংরাজি গ্রন্থের অনুবাদ এবং সে সমস্তই প্রায় এক ধরণের। তাহারও যে কয়েকখানি স্কুলে পাঠ্য রূপে নিৰ্বাচিত হয়, সে কয়েক খানিই কেবল সেই সেই স্কুলের ছাত্রেরা পাঠ করে, আর কেহই স্কুলপাঠ্য গ্ৰন্থ পাঠ করেন না। নাটক নবেল ও পদ্যগ্রন্থগুলি এক্ষণে আমাদের নারীসমাজের একচেটে বলিলেই হয়। নবীনা রমণীরা ঐ সকল পুস্তক পাঠ করিয়া জ্ঞান ও বিদ্যার পার পরিদর্শন করেন। আর ঐ সকল পুস্তক পাঠ করেন শিক্ষাভিমানী যুৱকদল ; যে যুবকদল বাঙ্গালা বিদ্যালয়েই পাঠ সমাপন করিয়াছেন, অথবা কিছু দিন ইংরাজি বিদ্যালয়ে পাঠ করিয়া আপনাদিগকে কৃতবিদ্য মনে করেন, সেই যুবকদল ঐ সকল কাব্য পাঠ করেন। উহা নামে বাঙ্গালা, কিন্তু বাস্তবিক উহা ভাষান্তরিত ইংরাজি । সে সকল রেনল্ড প্রভৃতি গ্রন্থের অবিকল অনুবাদ বা তদনুরূপ গ্ৰন্থ অবলম্বনে লিখিত। ফলতঃ সমস্তই বিলাতী ভাবে পূর্ণ। যুবক যুবতীরা সেই বিলাতী ভাবের কাব্য পাঠ করিয়া, বিলাতী ভাবেই পূর্ণ হইতেছেন। বিলাতের যাহা ভাল, তাহা তাহদের গ্ৰহণ করিবার উপযুক্ত জ্ঞান জন্মে নাই ; যাহা মন্দ, কাব্যাদিতে তাহার সুন্দর চিত্ৰমাত্র দর্শন করিয়া, তাহারই ভক্ত হইতেছেন। ফল হইতেছে, স্বেচ্ছাচার প্রবৃত্তি । কেহই এখন পিতা মাতাকে ভক্তি করেন না, . গুরুজনকে শ্রদ্ধা করেন না, দীন দরিদ্রকে দয়া করেন না, কেবল বেশবিন্যাসের ও বাক্যের । আড়ম্বর। যুবতীগণের গৃহকাৰ্য্যে মন নাই, রন্ধনে প্রবৃত্তি নাই, সন্তানপালনে যত্ন নাই, . কেবল বস্ত্ৰালঙ্কারে সজ্জিত হইয়া চিত্রিত পুত্তলির ন্যায় বসিয়া থাকেন, এবং নাটক নবেলের রসাস্বাদনে মোহিত হয়েন। স্বামীর প্রতি ভক্তি নাই, ভালবাসা নাই, কেবল তাহার উপর প্রভুত্বস্থাপনেই ব্যস্ত; love (প্রেম) নামক বিলাতী কল্পনাসভূত অনৈসর্গিক, অহিতকর ভাব । গ্ৰহণ করিতেই লোলুপ। বাস্তবিক আজি কালি দেশের যে শোচনীয় অবস্থা ঘাঁটিয়াছে, তাহার