পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

l w সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ ?ሞዘ« ও পরিত্যক্ত হইবে। সেইজন্যই বলি, তর্কযুক্তিময় প্ৰবন্ধ অনিষ্টকর নহে। কিন্তু যাহারা কাব্যনাটকাদিতে ঐ সকল অমীমাংসিত বিষয় মঙ্গলময় ভাবে সুরঞ্জিত করিয়া বর্ণন BDBDDSDDDB BBD BDBBDD DBDDD D DBDDB SS BD D DBDB DBDBDDB BDYY অংশটি মাত্র অধিকতর সুন্দর করিয়া দেখান। অশিক্ষিতগণ যুক্তিপূর্ণ প্ৰবন্ধাদি পাঠ করে না, কেবল নাটক নবেলই তাহারা পড়িয়া থাকে। তাহারা সে সকলের অনিষ্টকর ভাগ দেখিতে পায় না, কাযেই সুন্দর অংশের সেই সৌন্দর্ঘ্যে মুগ্ধ হইয়া, তাহার পক্ষপাতী হয় ও তদনুরূপ আচারপরায়ণ হইতে সযত্ন হইয়া উঠে। এইজন্য দূরদর্শী গ্ৰন্থকারগণ কাব্যনাটকাদিতে জাতীয় ভাবের বিরোধী বিষয়ের বর্ণনা করেন না ; কিন্তু বড়ই আক্ষেপেয় বিষয়, আজি কালি লব্ধপ্রতিষ্ঠ গ্ৰন্থকারগণেরও দৃষ্টি সে দিকে কিছুমাত্র নাই। এই স্থানে আমরা কয়েকজন লব্ধপ্ৰতিষ্ঠ লেখকের লিখিত কাব্য হইতে এই বিষয়ের সমালোচনা করিয়া দেখাইতে ইচ্ছা করি। এই কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইয়া আমরা দেখিতে পাই যে, পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী লেখকগণ অপেক্ষা এক্ষণকার লেখকগণের এ বিষয়ে অধিকতর পদস্থািলন হইয়াছে। কিছুদিন পূর্বে পাশ্চাত্য শিক্ষা এ দেশের শিক্ষিতগণের হাড়ে হাড়ে প্রবেশ করিয়াছিল। তখন শিক্ষিতিগণ এ দেশের সমস্তই মন্দ ও পশ্চিমভূমির সমস্তই ভাল চক্ষে দেখিতেন। কিন্তু সুখের বিষয় এই যে, সেই ঘোর পাশ্চাত্যভাবাপন্নগণের লিখিত কাব্যাদিতে পাশ্চাত্য ভাবের তেমন সুন্দর মূৰ্ত্তি অঙ্কিত দেখা যায় না। এখন পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তৃত হইয়াছে, ছড়ান তণ্ডুল রাশির মধ্য হইতে এক্ষণে কঁকার বাছিয়া লইবার সময় উপস্থিত হইয়াছে ; কিন্তু ক্ষোভের বিষয় এই যে, তাহারা তণ্ডুল পরিত্যাগ করিয়া কঁকরাই লইতেছেন। মজিয়া ঘষিয়া কঁকারগুলিকে সুন্দর করিয়া তণ্ডুল বলিয়া বিতরণ করিতেছেন। অনিষ্টকর পাশ্চাত্য বিষয়গুলিকে মধুময় করিয়া দেখাইয়া লোকের মন মুগ্ধ করিতেছেন। প্ৰখ্যাতনামা রাজা রামমোহন রায়কেই আমাদের নব্য সাহিত্যের প্রথম পথপ্ৰদৰ্শক DBBDB DDD SS D BBBD sBDD DBBBBDDD DDSDD DDD BDBDB BB BDDD দেখিতে পাওয়া যায় না। তাহার পরে সর্বপরিচিত বিদ্যাসাগর মহাশয় বঙ্গসাহিত্যসংসারের নেতৃত্বপদে অধিরোহণ করেন। তিনিও কোন মূল কাব্য লিখেন নাই, যে সকল কাব্য লিখিয়াছেন, তৎসমস্তই গ্রন্থবিশেষের অনুবাদবিশেষ। তাহার পরে মাইকেল মধুসূদন দত্ত পদ্য এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। গদ্য কাব্যের পথপ্রদর্শক। প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে ইহারাই বঙ্গ সাহিত্যকে প্ৰথমে নূতন পথে চালিত করেন। কিছু কিছু মৌলিকতা ইহাদেরই কাব্যে প্ৰথমে দেখিতে পাওয়া যায়। মধুসূদন রামায়ণ মহাভারতাদি অবলম্বন করেন, ইংরাজি গ্রন্থের ছায়া বঙ্কিমের অবলম্বনীয় হয়। মধুসূদনের হৃদয় পাশ্চাত্যভাবে এরূপ পূর্ণ হইয়াছিল যে, তিনি স্বীয় পৈতৃক ধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া খৃষ্টধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন, এবং পূর্ণ পাশ্চাত্যভাবে বিচরণ। করিতেন। তথাপি তঁহার কৃত গ্ৰন্থাবলী মধ্যে আমাদের আচার বিরুদ্ধ বিষয়ের আধিক্য দেখা যায় না। র্তাহার ভাষা, ভাব ও লিপি প্ৰণালী পাশ্চাত্যভাবাপন্ন হইলেও পাশ্চাত্য রীতি