পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नन १७०२ ] अiभूनिक दत्रनश्डिा ७ वौघ्र नाश्डिoब्रियन 1 ७८ গেলেন। যে রোহিণী প্ৰতিবেশিনীর নিকট হইতে বারাণসী শাটী ও গিলটির গহনা চাহিয়া লাইয়া ভ্রমরকে দেখাইয়া বলিয়াছিল, এ সকল ও তিন হাজার টাকা গোবিন্দলাল তাহাকে দিয়াছেন, সে রোহিণী যে ভ্রমরের বিরূদ্ধে কত কথা। আপনি ইষ্টসিদ্ধির জন্য বলিয়াছিল, তাহা বোধ হয়, কাহারও বুঝিতে বাকী নাই। এই ভয়ানক অবস্থায় পড়িয়া গোবিন্দলাল ভ্ৰমরের উপর আরও ক্রুদ্ধ ও তৎসঙ্গে রোহিণীর রূপে মুগ্ধ হইলেন । কিন্তু তখনও যদি ভ্রমরকে পাইতেন এবং “এ সময় যদি দুই জন একত্ৰ থাকিতেন, তাহা হইলেও বিপদ ঘটিত না। বাচনিক বিবাদে আসল কথা প্ৰকাশ পাইত, উভয়ের এ সৰ্ব্বনাশ ঘটত না।” এই ক্ষণ গোবিন্দলাল সহায়শূন্য, যে মনোমোহিনী ভ্রমরচিত্র হৃদয়ে অঙ্কিত ছিল, তাহা দিন দিন মলিন হইতেছে, নিকটবৰ্ত্তী রোহিণীর মূৰ্ত্তি উজ্জ্বল প্ৰভা ধারণ করিতেছে। গোবিন্দলাল তখন ভাবিলেন, কেবল রূপে মুগ্ধ হইয়াছি বৈ তা নয়, তাহাতে দোষ কি ? কে কার রূপে মুগ্ধ না হয়, আমি তো রোহিণীকে ভাল বাসিতেছি না। ইচ্ছা করিলেই তাহাকে ত্যাগ করিৰি । পাপের পথ যে বড় পঙ্কিল, সেটা ভাবিবার অবসর পাইলেন না, তঁহার পদস্থলিন হইল। ঐ সময় আর এক ভয়ানক অবস্থা তাহার প্রতিকূল হইল। কৃষ্ণকান্ত মানবলীলা সংবরণ করিলেন। কৃষ্ণকান্ত পীড়িত অবস্থায় রোহিণী ও গ্লোবিন্দলাল সম্বন্ধীয় কথা কিছু কিছু শুনিয়াছিলেন ; মনে করিয়াছিলেন, গোবিন্দলালকে অনুযোগ করিবেন, কিন্তু তাহা ঘটিল না, হঠাৎ তাহার পীড়া বৃদ্ধি হইল। তখন গোবিন্দলালকে সুপথে আনিবার অভিপ্ৰায়ে তিনি উইল পরিবর্তন করিয়া ভ্ৰমরের নামে করিলেন । গোবিন্দলাল নিবারণ করিবার কোন চেষ্টা করিলেন না, প্ৰত্যুত আপনি উপযাচক হইয়া উইলিখানি লইয়া তাহাতে সাক্ষী স্বরূপ স্বাক্ষর করিলেন, সুতরাং স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে, এ পৰ্যন্ত গোবিন্দলাল এককালে অধঃপাতে যান নাই। কিন্তু এই ঘটনায় গোবিন্দলালের ভ্রমরের প্রতি বিদ্বেষ জন্মিল। যে প্ৰাণাধিক ভ্ৰমরের জন্য তিনি এত সহিয়াছেন, অথচ সেই ভ্ৰমর বিনা দোষে দেশের লোকের নিকট তাহার মিথ্যা অপবাদ প্রচার করিয়া ও তঁহাকে অবজ্ঞা করিয়া, গৰ্ব্বভরে পিত্ৰালয় গেল, সেই ভ্ৰমরের এইক্ষণ বিষয় হইল, তাহার অধীন হইয়া থাকিতে হইবে, এটা গোবিন্দলালের অসহ্য হইল। ভাবিলেন, ভ্রমর তঁহাকে আর আপনার ভাবে না ; সেই দিন হইতে তিনিও ভ্রমরকে পর ভাবিলেন। কৃষ্ণকান্তের মৃত্যুর পর ভ্রমর গৃহে আসিলেন। সে শোকের সময় পরস্পরের সহিত দেখা মাত্ৰ হইল, বিশেষ কথা কিছুই হইল না। পরে শ্ৰাদ্ধান্তে গোবিন্দলাল ভ্রমরকে উইলের কথা শুনাইলে ভ্ৰমর বলিলেন, “বিষয় তোমারই, আমি তোমার নামে দানপত্র লিখিয়া দিব।” গোবিন্দলাল স্ত্রীর দান গ্ৰহণ করিতে চাহিলেন না, ভ্রমর অপরাধ স্বীকার করিয়া ক্ষমা চাহিলেন, কিন্তু তখন আর সে গোবিন্দলাল নাই, একেত তখন রোহিণী তাহার হৃদয় অধিকার করিয়াছে, তাহার উপর তিনি আপনাকে বড়ই অপমানিত মনে করিয়াছেন। DD DBB BDBDDB D BDDBDBDD DS S DBBDB DD DBD BDB DtBBDBiBD DDD