পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০২ ] আধুনিক বঙ্গসাহিত্য ও বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদ।। ৬৭ গোবিন্দলালের অধঃপতনের যে কারণ পরম্পরা ঘটিয়াছিল, নগেন্দ্ৰনাথের পক্ষে সেরূপ কিছুই ঘটে নাই। সত্য বটে, কুন্দনন্দিনীকে তিনি একাকী নৌকাযোগে কিয়ৎক্ষণ YY uDDBBSDD DDB DBD DBBDBS DDBB DDD DBBD DBB BDS SBDDY নাই। তাহার পরে যখন কুন্দ নগেন্দ্রের বাটীতে আসিল, তখনও সে বালিকা ; তাহার পরেই তারাচরণের সহিত কুন্দের বিবাহ হইল-পরাস্ত্রী হইয়া সে গৃহান্তরে চলিয়া গেল। তাহার পরে কুন্দনন্দিনী বিধবা হইয়া যখন তাহার বাটীতে আসিল, সেই সময়ে নগেন্দ্ৰ তাহার প্ৰতি আসক্ত হইলেন, আপনার আশ্রিতা পরস্ত্রীর প্রতি কেবল রূপের মোহে ভুলিয়া গেলেন। এরূপ অবস্থার সংযোগ সকলেরই ঘটয়া থাকে, অনেক গৃহস্থেরই বাটীতে সুন্দরী যুবতী। কোনরূপ আত্মীয়তা বা দারিদ্র্যবশতঃ বাস করিয়া থাকে, অতি পামর ভিন্ন, প্ৰেমময়ী যুবতী স্ত্রী ঘরে থাকিতে এবংবিধ আশ্রিত যুবতীর প্রতি কেহই আসক্ত হয় না। ভ্রমর যে দোষে গোবিন্দলালকে ত্যাগ করিয়াছিল, এ দোষ তাহার তুলনায় শতগুণ অধিক। তথাপি সুৰ্য্যমুখী ভ্ৰমরের পথে না গিয়া কমলমণিকে এক পত্র লিখিলেন, তাহাতে নগেন্দ্রের কুন্দনন্দিনীর প্রতি অনুরাগের যে সমস্ত লক্ষণ দেখিয়াছিলেন, সমস্ত লিখিলেন, এবং তাহার সদুপায় করিবার জন্য কমলমণিকে আসিতে লিখিলেন। কিন্তু সে পত্রে নগেন্দ্রের প্রতি রাগ বা ঘূণা, কিছু প্ৰকাশ করিলেন না, বরং তঁহার প্রশংসা করিলেন। লিখিলেন “তোমার সহোদরকে মন্দ বলিও না, তিনি ধৰ্ম্মাত্মা, শক্রতেও তঁহার চরিত্রের কলঙ্ক এখনও করিতে পারে না। আমি প্ৰত্যহ দেখিতে পাই, তিনি প্ৰাণপণে আপনার চিত্তকে বশ করিতেছেন।” কমলমণি সেবার পত্রের উত্তরে লিখিলেন, স্বামীর প্রতি যাহার বিশ্বাস রহিল না, তাহার মরাই মঙ্গল। ইহার দিন কয় মধ্যে নগেন্দ্রের সকল চরিত্র পরিবৰ্ত্তিত হইল। কিন্তু সূৰ্য্যমুখী কমলমণির লেখা মত নগেন্দ্রের চরিত্রে অবিশ্বাসভব না দেখাইয়া, কোনও রোগ হইয়াছে প্ৰকাশ করিয়া, ডাক্তার দ্বারা ঔষধ আনাইয়া নগেন্দ্ৰকে খাইতে দিলেন। নগেন্দ্ৰ ঔষধের শিশি দূরে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিলেন। তখন সুৰ্য্যমুখী বলিলেন “ঔষধ না খাও, তোমার কি অসুখ হইয়াছে বল।” নগেন্দ্র বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “কি অসুখ!” তখন সূৰ্য্যমুখী দৰ্পণ আনিয়া তঁহার শরীর কি হইয়াছে, দেখিতে বলিলেন, নগেন্দ্রনাথ দৰ্পণ লইয়া দূরে নিক্ষেপ করিলেন, দর্পণ চুৰ্ণ হইয়া গেল। সূৰ্য্যমুখীর চক্ষে জল পড়িল। নগেন্দ্রনাথ তাহা দেখিয়া চক্ষু রক্তবর্ণ কারিয়া উঠিয়া গেলেন। সেই রাগে বহির্বাটিতে গিয়া একজন ভৃত্যকে প্ৰহার করিলেন। ক্ৰমে নগেন্দ্র মদ্যপান ধরিলেন। প্রতিদিন মদ চলিতে লাগিল। সূৰ্য্যমুখী নগেন্দ্রের চরণে হাত দিয়া অনেক অনুরোধ করিয়া বলিলেন, “কেবল আমার অনুরোধে ইহা ত্যাগ কর।” নগেন্দ্র দুই এক কথার উত্তর প্রত্যুত্তরের পরে বলিলেন, “সূৰ্য্যমুখী, আমি মাতাল, মাতালকে শ্রদ্ধা হয়, আমাকে গ্ৰহণ করিও, নচেৎ আবশ্যক নাই।” ক্রমে নগেন্দ্রের অত্যাচার DD DBBS DBDB D BBD DDB DD DBD BDB S D BDDBD BBB DBDBD K অবলম্বন করিলেন না, তবুও তঁহাকে সুপথে আনিবার জন্য নানা চেষ্টা করিতে লাগিলেন ।