পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৮ : সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ বৈশাখ পুনরায় কমলমণিকে পত্র লিখিলেন, কমলমণি আসিয়া সমস্ত বুঝিয়া কুন্দকে কলিকাতায় লইয়া যাওয়া স্থির করিয়া কুন্দকে সম্মত করিলেন। নগেন্দ্ৰ জানিতে পারিয়া সেই দিন সন্ধ্যাকালে কুন্দের নিকট গিয়া বলিলেন, “আমি বহু কষ্টে এত দিন সন্থা করিয়াছি, আর পারি না, আমি তোমাকে ছাড়িয়াদিতে পারিব না, বিধবাবিবাহ চলিত হইতেছে, আমি তোমাকে বিবাহ করিব।” সেই দিন দেবেন্দ্ৰ, বৈষ্ণবী বেশে আসিয়া কুন্দের সহিত গোপনে অনেক কথা বলিতেছিল দেখিয়া, সূৰ্য্যমুখী তাহাকে ছদ্মবেশী পুরুষ সন্দেহ করিয়া হীরা দাসীকে তাহার সন্ধান জানিতে পাঠাইয়াছিলেন। হীরা প্রকৃত বৃত্তান্ত জানিয়া প্ৰকাশ করিলে, সুৰ্য্যমুখী কুন্দকে হশচরিত্র বিবেচনা করিয়া তিরস্কার করিয়া বলিলেন, “এমন স্ত্রীলোককে বাটীতে স্থান দিই না, তুই বাটী হইতে দূর হী।” কুন্দ সেই রাত্রেই বাটী হইতে পলায়ন করিয়া হীরার বাটতে গোপন ভাবে থাকিল। কুন্দের পলায়ন-সংবাদ শুনিয়া নগেন্দ্ৰ তাহার অনুসন্ধানে নানা স্থানে লোক পাঠাইলেন, এবং সুৰ্য্যমুখীর দোষ না জানিয়াও তাহার সঙ্গে আলাপ বন্ধ করিলেন। সুৰ্য্যমুখীও কুন্দের পলায়নসংবাদে অত্যন্ত কাতর হইলেন ও তাহার অনুসন্ধানে চারি দিকে লোক পাঠাইলেন। পরে নগেন্দ্র যখন শুনিলেন, কুন্দনন্দিনী সুৰ্য্যমুখীর অন্যায় তিরস্কার সহ করিতে না পারিয়া পলায়ন করিয়াছে, তখন নগেন্দ্ৰ সুৰ্য্যমুখীর নিকট গিয়া প্রকৃত বৃত্তান্ত জিজ্ঞাসা করিলেন। সূৰ্য্যমুখী দেবেন্দ্ৰ-ঘটিত DBBBD DBBD DBDBBDS iDE DDBDD DBBBBDS BB DDDBDBD DBDBDD DBB DD BB BBBDS ছেন, তাহার অনুসন্ধানের জন্য দেশে দেশে লোক পাঠাইয়াছেন। তখন উভয়ে ঐ সম্বন্ধে অনেক বাকবিতণ্ডা হইল। সূৰ্য্যমুখী অনেক কাদিলেন, অনেক সাধ্য সাধনা করিলেন, কিন্তু নগেন্দ্ৰ জ্ঞািনহারার মত নিজ মুখেই কুন্দের প্রতি আপনার গাঢ় অনুরাগের পরিচয় দিয়া, হৃদয়ের দরুণ ব্যথা জানাইলেন । সূৰ্য্যমুখী শুনিয়া কর্ণে হাত দিয়া বলিলেন, “আমার সম্মুখে আর উহা বলিবেন না, আমার বুকে শেল বিন্ধিতেছে।” নগেন্দ্র সে কথা গ্ৰাহ । করিলেন না, তিনি বলিলেন, “তোমাতে আমার আর সুখ নাই। মনে মনে ভাবিও, তুমি বিধবা হইয়াছ, আমি দেশত্যাগ করিয়া চলিলাম। কুন্দকে সন্ধান করিয়া আমি দেশদেশান্তরে ফিরিব।” ( ভ্ৰমর । একবার তোমার গোবিন্দলালের সহিত নগেন্দ্রনাথের তুলনা করিয়া দেখা) সূৰ্য্যমুখী শুনিয়া কিয়ৎক্ষণ প্রস্তরমূৰ্ত্তিবং রছিলেন। পরে বলিলেন, “এক ভিক্ষা, আমার অনুরোধে আর একমাস অপেক্ষা কর, আর একমাস মধ্যে যদি কুন্দকে না পাওয়া যায়, তখন দেশত্যাগ করিও।” নগেন্দ্রনাথ সম্মত হইলেন, গৃহত্যাগ করিলেন না। পরে কুন্দ গোপনীয় স্থান হইতে নগেন্দ্রনাথের গৃহে আসিলে, সূৰ্য্যমুখী নগেন্দ্রের সহিত তাহার বিবাহ দিলেন। নগেন্দ্র শান্ত হইলেন। তখন সূৰ্য্যমুখী কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য সমাধা করিয়া রজনীযোগে বাটী হইতে নিক্ৰান্ত হইলেন। সূৰ্য্যমুখী চলিয়া গেলে নগেন্দ্রনাথের জ্ঞানসঞ্চারের সূত্রপাত হইল ও ক্রমে পূর্ণ জ্ঞান জন্মিল। তখন অনুতাপসহকারে নিজে দেশে দেশে সূৰ্যমুখীর অনুসন্ধান আরম্ভ করিলেন। এ দিকে সূৰ্য্যমুখী আবার ধৈৰ্য অব