পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩০৫ । ] উপসর্গের অর্থবিচার নামক প্রবন্ধের সমালোচনা। ২৩৭ % । ශුන්‍ධ"{ নিক্ষেপ প্ৰকৃষ্ট নিকৃষ্ট ইত্যাদি। $igid RTG 'ciallaí' it,373 oirí “Breathing forth” Is for litris' airí “[nhaling', ‘অর্থাৎ প্রশ্বাসের অর্থ ভিতরের বায়ু বাহিরে ফেলা ও নিশ্বাসের অর্থ বাহিরের বায়ু গ্ৰহণ করা। ‘প্র’ ও ‘নি'র মধ্যে অর্থগত বিরোধ প্ৰতিপাদন করিবার নিমিত্ত্বই দুই দুইটী শব্দ গৃহীত হইয়াছে। প্রথম শব্দ দুইটী গ্ৰহণ করা যাউক ঃ—প্রশ্বাস ও নিশ্বাস।—“প্রশ্বাস’ শব্দের অর্থ ‘‘শ্বাসত্যাগ” ঘটে। কিন্তু “নিশ্বাস” শব্দের অর্থ “স্বাস গ্ৰহণ” নহে। উহাও প্ৰশ্বাসের সমার্থক অর্থাৎ উহারও অর্থ ভিতরের বায়ু বাহিরে ফেলা, এবিষয়ে প্রমাণ ৪-বাচস্পত্যে ৪১১২ পৃষ্ঠায় : উদ্ধত সুবিখ্যাত কোষকার হেমচন্দ্রের মতে ‘নিশ্বাস’ শব্দে প্ৰাণবায়ুর বহিৰ্গমন রূপ ব্যাপার বুঝায়। প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যেও এই অর্থেই “নিশ্বাস’ শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়। যথা-কুমারসম্ভব ৩য় সৰ্গ -“ব্যলী কনিশ্বাসমিবোৎসসজ” অৰ্থাৎ যেন দুঃখের নিশ্বাস ত্যাগ করিলা মেঘদূত-“নিশ্বাসেনািধরকিশলয়ক্লেশিনা' অর্থাৎ অধরকিশলয়ের ক্লেশদায়ী নিশ্বাস। দুঃখ ও শোকুজ নিশ্বাস উষ্ণ বলিয়া প্রসিদ্ধ, এই জন্যই উহা অধরকিশলয়ের ক্লেশদায়ী । এস্থলে নিশ্বাস শব্দে বাহ বায়ুর গ্ৰহণ হইলে “অধরকিশলয়ের ক্লেশী’ এই বিশেষণটি সংলগ্ন হয় না। মাধবনিদান, রক্তপিত্তাধিকার-২য় শ্লোক ;-‘লৌহগন্ধিশ্চ নিশ্বাসো ভবত্যস্মিন ভবিষ্যতি’ অর্থাৎ এই রোগ হইবার উপক্রমে নিশ্বাস লৌহগন্ধি হয় বা নিশ্বাসে লৌহের গন্ধের ন্যায় গন্ধ অনুভূত হয় ; এস্থলে নিশ্বাস শব্দে বাহ বায়ুর গ্ৰহণ হইতে পারে না । ‘নিশ্বাস” এই শব্দটী কোন কোন স্থলে ‘নিঃশ্বাস” এইরূপ বিসর্গমধ্যও লিখিত হয, কিন্তু উভয় শব্দেরই অর্থ এক । আয়ুৰ্ব্বেদের গ্রন্থে প্ৰাণবায়ুর ত্যাগ ও ব্রাহ্বায়ুর গ্ৰহণ এই বিরোধ প্ৰদৰ্শন স্থলে “শ্বাস প্রশ্বাস, উচ্ছাস প্রশ্বাস” এইরূপ প্রয়োগ দেখিতে পাওয়া যায়। যোগশাস্ত্ৰে প্ৰাণায়ামের কথায় শ্বাস প্রশ্বাস শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে। শ্বাসের অর্থ বাহবায়ু গ্ৰহণ ও প্ৰশ্বাসের অর্থ অন্তর্বায়ুর নিঃসরণ। তবে সাধারণ বাঙ্গালায় যে স্থলে শ্বাসপ্রশ্বাসের মধ্যে কোন ভেদ দেখাইবার প্রয়োজন না হয়, সে স্থলে শ্বাস, নিশ্বাস এই উভয় শব্দই উভয় অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন শ্বাস গ্ৰহণ, শ্বাস ত্যাগ, নিশ্বাস গ্ৰহণ, নিশ্বাস ত্যাগ। তবে “নিশ্বাস ফেলিবার অবসর নাই,’ ‘নিশ্বাস আর পড়ে না।” এইরূপ প্ৰকৃত অর্থে নিশ্বাস শব্দের প্রয়োগও বহুস্থলে লক্ষিত হয়। সুতরাং সাধারণপরিগৃহীত অর্থ লইলে চলিবে না । * প্রমাণিক প্রয়োগ আলোচনা করিয়া দেখা গেল যে, “নিশ্বাস’ শব্দের অর্থ ‘‘শ্বাসত্যাগ”। সুতরাং নিশ্বাস ও প্রশ্বাস এই দুই শব্দই একাৰ্থ। শ্বাসগ্রহণ ও শ্বাসত্যাগ এই দুই ভিন্ন অর্থ বুঝাইতে হইলে "শ্বাস পুশ্বাস’ বা “উচ্ছাস প্রশ্বাস” এইরূপ প্রয়োগই প্রাচীন গ্রন্থাদিতে দেখা যায়। সুতরাং ‘নি'র অর্থ এস্থলে অন্তনিষ্ঠত না হইয়া বরং বহিৰ্নিষ্ঠাই হইল ও ‘প্র” ও “নি'র অর্থগত বিরোধও প্ৰতিপন্ন হইল না। আর যখন প্ৰবন্ধকারের মতে “প্র’র অর্থ সম্মুখপ্রবণতা ও ‘নি'র অর্থ অন্তনিষ্ঠতা তখন উভয়ের মধ্যে বিরোধ আছে, এ কথাইবা কিরূপে সংলগ্ন হয় ?