পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শন ১৩** 1 ] উপসর্গের অর্থবিচার নামক প্ৰবন্ধের সমালোচনা। * ২৪৩ লইয়াই মনুষ্যত্ব’ বা ‘প্রজ্ঞাই মনুষ্যত্ব”—সুতরাং সে স্থলে প্রজ্ঞা মনুষ্যত্বের নিদানবলিষ্ঠে নিদান৷’’ শব্দটীর যথার্থ ব্যবহার করা হয় না। মনে করুন। আমি বলিলাম ‘ The Vow of একাদশী Consists in abstaining from food on a certain day. It fit f(CR sitti করাই একাদশীব্রত। এস্থলে কিন্তু প্ৰবন্ধকারের মতে ‘দিন বিশেষে উপবাস করাই একাদশীর নিদান” । এইরূপ বলিতে হইবে । মনে করুন। আমি বলিলাম। অতিরিক্ত জলপান করা অঙ্গীর্ণ রোগের निान दा হেতু। এস্থলে প্ৰবন্ধকার Tsência, “Dyspepsia consists in drinking a large quantity of water.” ! fra *tas অর্থ কি তাহা একবার, অভিধানে দেখিলেই বোধ হয় ঐ রূপ প্রয়োগের অসমীচীনুতা উপলব্ধি করিতে পারিতেন। আর পূর্বোক্ত অর্থগ্রাহক * সঙ্কেত স্থাপন করিবার পূর্বে আরও দুই একটী স্থলে ঐ রূপুconsists in বলিলে কিরূপ শুনায়, তাহা পৰ্য্যালোচনা করা উচিত ছিল। অতএব প্ৰমাণ , প্ৰবন্ধকারের দ্বিতীয় উদাহরণদ্বয়ের একটীিও আঁহার মতের পোষক নহে। একটু বিবেচনা করিয়া দেখিলেই প্ৰবন্ধকার বুঝিতে পারিতেন যে “প্ৰখ্যাত, প্ৰক্ষালিত, প্রধ্বংস, প্ৰবিরল, প্ৰতনু, প্ৰকোপ, প্ৰমেহ, প্ৰৈত, প্ৰশংসা, প্ৰবাদ, প্রচার প্রকম্প, প্ৰমত্ত প্ৰভৃতি শত শত স্থলে “প্ৰ’র সম্মুখপ্রবণতা ও নিগদ, (recitation) নিনাদ, নিবন্ধ, নিগলিত, নিপাত, নিগম, নিবরা প্রভৃতি , শত শত স্থলে 'নি'র অন্তৰ্নিষ্ঠতারূপ অৰ্থ একেবারেই সঙ্গত হয় না ও তিনি যে অনুগম করিয়াছেন তাহ কয়েকটী মাত্র উদাহরণ পৰ্যালোচনার ফল ও একেবারেই বৈজ্ঞানিক অনুগম নহে। অতঃপর আমরা আর একটী উদাহরণ পৰ্য্যালোচনা করিব ;-

  • পরিষৎপত্রিকা ৪র্থ ভাগ, ৪র্থ সংখ্যা ২৪৫ পৃষ্ঠার প্রতি শ্ৰোতৃমহাশয়গণ দৃষ্টিপাত কলিবেন,-

• ঐ স্থলে প্ৰক্ষেপ ও নিক্ষেপ শব্দের অর্থগত ভেদ প্ৰদৰ্শন করিবার সময় প্রবৃন্ধকার মহাশয় বলিয়াছেন, নিক্ষেপ অর্থাৎ to throw in অর্থাৎ ভিতরে ফেলা । তঁহার মতে ‘নি’র অর্থ 11n ও f5°t origo of to throw বলিয়া সমস্ত শব্দের অর্থto throw in হইল। কিন্তু “প্ৰক্ষেপ” শব্দেও “ভিতরে ফেলা” রূপ অৰ্থ বুঝায়। যেমন এই শ্লোকগুলি এস্থানে প্ৰক্ষিপ্ত, ‘সুতরাং “প্র” ও “নি” একাৰ্থক হইয়া পড়ে। এই আশঙ্কায় বলিয়াছেন, যে স্থলে নিক্ষিপ্ত পুদার্থের সহিত স্বকীয় আধারের আন্তরিক সম্বন্ধ আছে, সেই স্থলেই ‘নি’ হইবে ও যে স্থলে সেরূপ কোন সম্বন্ধ নাই সে স্থলে প্ৰ’ হইবে । ‘গোলা দুৰ্গে নিক্ষিপ্ত’ হইল, এই স্থলে গোলা প্ৰক্ষিপ্ত না হইয়া নিক্ষিপ্ত হইল, কারণ নিক্ষিপ্ত পদার্থ গোলক স্বকীয় আধার অর্থাৎ দুর্গে নিক্ষিপ্ত হইবার জন্যই উৎপন্ন হইয়াছে, ও দুর্গের সহিত উহার আন্তরিক সম্বন্ধ আছে। কিন্তু “শ্লোক পুস্তকে প্রক্ষিপ্ত হইল।” এইরূপ বলিতে হইবে ও এইরূপই উক্ত হয়, কারণ প্রক্ষিপ্ত শ্লোকের সহিত নিজু আধার অর্থাৎ পুস্তকের কোনরূপ আন্তরিক সম্বন্ধ নাই অর্থাৎ প্রক্ষিপ্ত শ্লোক ত আর পুরের পুস্তকে প্রক্ষিপ্ত হইবার জন্য লিখিত হয় নাই। “প্র’ ও ‘নি'র এইরূপ অৰ্থগত ভেদ কেবল ক্ষিপ্ত বা তদার্থক ধাতুর সহিত যোগ হইলে হয় বা সকল স্থলেই হয় তাহা প্ৰবন্ধকার বলিয়া দেন নাই। কিন্তু সৰ্ব্বত্র হউক বা না হউক অন্ততঃ ক্ষিপ ধাতুর প্রয়োগ স্থলে যে হয় তাহাতে, বোধ হয় কোন