পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

安总 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা। ይ ነዛ ጓ‹ቒ ! V করে, সেইরূপ সমাজনীতি ও রাজনীতি সম্বন্ধেও আমাদিগকে নানা উপদেশ দিয়া থাকে। সুতরাং ইতিহাস কথা-গ্ৰন্থ নহে। ইহাতে কল্পনাচাতুরী বা অতিবর্ণনার উচ্ছ,াস দেখাইতে DD BD gB BDDBDBBBD BD DBDBDBBD DBBD BD DDD S DBDB DS *ांठौर्थहे देशांद्र @क्षांन स्रलक्षांद्र । ' ঐতিহাসিককে সৰ্ব্বাগ্ৰে বৰ্ণনীয় বিষয়গুলির মধ্যে শৃঙ্খলা রাখিতে হয়, অর্থাৎ ঐতিহাসিক যে বিষয়ে ইতিহাস লিখিবেন, তাহা যেন অসমৃদ্ধঘটনায় পরস্পর পৃথক হইয়া না পড়ে। ইতিহাসে কোন বিশেষ প্ৰণালী অনুসারে সমস্ত ঘটনাগুলি একসূত্রে গ্রথিত হইবে। ইতিহাসিবর্ণিত বিষয় যেন সমগ্রভাবে পাঠকের মানসপটে অঙ্কিত হয়। একখানি সুচিত্রিত আলেখ্য সমগ্রভাবে দর্শকের দৃষ্টিপাথবন্তী হইলে তঁহার যেমন তৃপ্তিলাভ হয়, একসূত্রে গ্রথিত, পরস্পর সুশৃঙ্খলভাবে সম্বন্ধ বিষয়েও পাঠকের সম্মুখে সমগ্রভাবে উপস্থিত হইলে তাহার জ্ঞানপিপাসার সেইরূপ পরিতৃপ্তি হইয়া থাকে। উপদেশসংগ্রহ বা আনন্দলাভ, পাঠকের ইতিহাসপাঠের যাহাঁই উদ্দেশ্য হউক না কেন, ঘটনাবলীর একটী সুশৃঙ্খলা ও সম্পূর্ণ ভাব মনোমধ্যে উদিত না হইলে কোন উদ্দেশ্যই সিদ্ধ হয না। যে সকল ইতিহাসে সমগ্ৰ জাতি বা সমগ্ৰ সাম্রাজ্যের বিবরণ বর্ণনীয় হয়, সেই সকল ইতিহাসে, বিভিন্ন সময়ের ঘটনাপরম্পরার মধ্যে এইরূপ শৃঙ্খলা বা একতা রাখা দুঃসাধ্য হইয়া থাকে। কিন্তু সুনিপুণ ঐতিহাসিক এই দুঃসাধ্য বিষয়েও কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন। বিভিন্ন প্রকৃতির ঘটনাগুলি একত্ৰ করিতে যদিও গোলযোগ উপস্থিত হয়, তথাপি ঐ সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনা যে সকল প্ৰধান ঘটনার মধ্যে বিস্তুত হইয়াছে, তৎসমুদ্ৰায়ের মধ্যে একতা রাখা যাইতে পারে। রাজবংশের ইতিহাসে প্ৰত্যেক রাজার রাজত্বেই পরস্পর সম্বন্ধ ঘটনা থাকে। বিশেষ লক্ষ্যানুসারে উহার আদিতে, মধ্যে ও অন্তে একটী শৃঙ্খলা দেখা যায়। পূৰ্ববৰ্ত্তী ঘটনাসূত্র হইতে কিরূপে ঐ ঘটনার উদ্ভব হইয়াছে, এবং পরবর্তী ঘটনার সহিত কিৰূপে উহার সন্নিবেশ হইবে, তৎসমুদয়ের বিচার করিলে আমরা সমগ্ৰ বিষয়ের মধ্যে একটী ধারাবাহিক শৃঙ্খলা রাখিতে পারি। ভারতবর্ষের পরস্পরবিচ্ছিন্ন খণ্ড রাজ্যগুলি অধিকারপূর্বক একটী বিশাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করা এবং স্বপ্রধান হইয়া, সেই সাম্রাজ্যের উপর কর্তৃত্ব করা সম্রাট আকবরের লক্ষ্য ছিল। বিভিন্ন জনপদজয়েই হউক, রাজপুতদিগের সহিত বৈবাহিক সম্বন্ধস্থাপনেই হউক, ধৰ্ম্মমত প্রচায়েই হউক, বা ভিন্ন ভিন্ন জাতির প্রতি সমদৰ্শিতা প্রকাশেই হউক, সমগ্ৰ ঘটনার মধ্যেই তাহার এই অসীম আত্মপ্রাধান্তের ভাব । নিহিত মুহিয়াছে। পূৰ্ববৰ্ত্তী ঘটনাসূত্র হইতে কি ৰূপে এই আত্মপ্রাধান্ত ভাবমূলক ঘটনার উৎপত্তি হইয়াছে, পরবর্তী ঘটনাস্রোতে এই বিষয়ের কিরূপ অবস্থা ঘাঁটিয়াছে, তাহার আঁলোচনা করিলে আমরা মোগলরাজত্বের ইতিহাসে, ধারাবাহিক শৃঙ্খলা দেখিতে পাই। ক্ৰমে ক্রমে স্বাধিকার সম্প্রসারিত করা এবং একটী বিশ্বফুল সাম্রাজ্য অক্ষুন্ন রাখা রোমকদিয়ে উদ্দেশ্য ছিল। এই উদ্দেশ্যসিদ্ধির জন্ত রোমকেয়ী অবিচ্ছিন্ন ভাবে যে শক্তির পরিচয়