পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*भ s७० & ! } | বৈষ্ণব-কবি জগদানন্দ ; २१> এইমাত্ৰ প্ৰমাণ পাইয়াছি । রঘুনন্দনের জন্ম। যদি ১৪৪০ শকাব্দ ধরা যায়, তাহা হইলে বর্তমান, ১৮২০ শকাব্দের ৩৮০ বর্ষ পূৰ্বে রঘুনন্দনের জন্মকাল নির্ণীত হয়। বৰ্ত্তমান কালে তদ্বংশীয় ঠাকুর সন্তানগণ রঘুনন্দন হইতে দশম পুরুষ এবং জগদানন্দ হইতৃে পঞ্চম, পুরুষ, সুতরাং পূর্বোক্ত ৩৮০ বর্ষের অৰ্দ্ধেক ধরিয়া লইলে ১৯০ বর্ষ পুর্বে জগদানন্দের জন্মকাল হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা । ইহা দ্বারা প্ৰমাণিত হয় যে, ১৬৩০ শকাব্দের পর তিনি জীবিত ছিলেন। “মালিহাটীনিবাসী রাধামোহন ঠাকুব পদাযুত-সমুদ্র নামক একখানি পদের সংগ্ৰহ গ্ৰন্থ সঙ্কলন করেন, সেই গ্রন্থে তিনি বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, গোবিন্দদাস ও জ্ঞানদাস প্রভৃতি কুবিগণের পদসংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, কিন্তু জগদানন্দ ঠাকুরের পঢ়াবলী তখনও প্রচারিত হয় নাই বলিয়া ঐ গ্রন্থে জগদানন্দের একটি পদও সংগৃহীত হয় নাই। পদাযুত-সমুদ্রের অব্যবহিত পরেই বৈষ্ণবদাস ( নামান্তর গোকুলানন্দ সেন ) পদকল্পতরু সংগ্রহ করেন । তাহাতৈ দেখা যায়, তিনি জগদানন্দ্রৈর চারিটািমাত্র পদ সংগ্ৰহ কুরিয়াছেন। অতএব রাধামােহন ও গোকুলানন্দের সময নিরূপিত হইলে ও জগদানদের সময় নিরূপিত হইবে । রাধাত্মোহন ঠাকুর মহারাজ নন্দ কুমারের গুরু ছিলেন। তিনি একবার শাস্ত্রার্থ বিচারে জয়লাভ করিয়া মীরজাফরের মোহরাঙ্কিত একখানি জয়পত্র লাভ করেন, তাহাতে বাঙ্গালা ১১২৫ সালের উল্লেখ আছে এবং রাধামোহনেব জন্মস্থান মালিহাটীতে গমন করিয়া, আমরা শুনিলাম রাধামোহন মহারাজ নন্দকুমারের ফঁাসির পরে ও ২৩ বৎসর জীবিত ছিলেন । ১১২৫ সালে ( ১৬৪০ শকে ) রাধামোহন শাস্ত্রার্থ বিচার করিয়া জয়পত্র লাভ করিয়াছিলেন। মহারাজ নন্দকুমারেৰ ফাঁসির কাল ১৭৭৫ খৃষ্টাব্দ বা ১৬৯৭ শকাব্দ । ইহার ২৩ বৎসর পরে যদি তাহার মৃত্যুকাল ধরা যায়, তবে রাধামোহন ১৭০০ শকে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েন। পদকল্পতরুসঙ্কলয়িত গোকুলানন্দ মালিহাটির এক ক্রোশ পূৰ্ব্বে টেএঃ নামক গ্রামে বৈদ্যবংশে জন্মগ্রহণ করেন । ইনি রাধামোহনের সমকালবৰ্ত্তী ছিলেন ; সম্ভবতঃ গোকুলানন্দ রাধামোহন ঠাকুরের সহিত কীৰ্ত্তন, গান করিতেন। পদকল্পতরুব উপসংহারে গোকুলানন্দ লিখিয়াছেন “শ্ৰীআচাৰ্য্য প্ৰভুবংশী শ্ৰী রাধামোহন । কে করিতে পারে তঁর গুণের বর্ণনা যাহার বিগ্ৰহে গৌর প্রেমের বিলাস। যেন শ্ৰী আচাৰ্য্য প্রভুর দ্বিতীয় প্ৰকাশ ॥ " গ্ৰন্থ কৈলা পদামুত-সমুদ্র আখ্যান । জন্মিল আমার লোভ তাহা করি গান ৷ নানা পৰ্যটনে পদ সংগ্ৰহ্, কারিঘা ৷ তঁহার যতেক পদ সব তাহ লৈয়া ৷ সেই মূল গ্ৰন্থ অনুসারে ইহা কৈল । প্ৰাচীন প্ৰাচীন পদ যতেক পাইল । এই গীতকল্পতরু নাম কৈলু সার। -- পূর্ব রাগাদিক্ৰমে চারি শাখা যার ॥” এই সকল প্রমাণ দ্বারা নির্ণীত হইল যে জগদানন্দ গোকুলানন্দের পূর্বে অর্থাৎ ১৬৩০ শকের নিকটবৰ্ত্তী কোন সময়ে বা পরে জীবিত ছিলেন । --- জগদানন্দ পদাবলী ব্যতীত অন্য কোন মূল গ্ৰন্থ লিখি যাছিলেন কি না তাহ জানা যায় না ; VD