পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ما أنه لا দাস মহাজন, রায় কালীপ্রসন্ন ঘোষ বাহাদুর, শ্ৰীযুক্ত হীরেন্দ্রনাথ দত্ত এম এ বি এল, শ্ৰীধুক্ত অক্ষয়চন্দ্র সরকার, শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু, জীযুক্ত শরচ্চন্দ্ৰ চৌধুরী বি এ, শ্ৰীযুক্ত রসিক মোহন চক্ৰবৰ্ত্তী, শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্ৰ শাস্ত্রী, শ্ৰীযুক্ত মৃণালকান্তি ঘোষ ( সম্পাদক ) । ৪ । (ক) অতঃপর শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ বসু মহাশয় শ্ৰীযুক্ত রজনীকান্ত গুপ্ত মহাশয়ের “ইতিহাস-রচনার প্রণালী” বিষয়ক প্ৰবন্ধ পাঠ করিলেন। পাঠান্তে শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্ৰ শাস্ত্রী মহাশয় বলিলেন যে, প্ৰবন্ধ উৎকৃষ্ট হইয়াছে। ইতিহাসরচনা সম্প্রতি আরম্ভ হইয়াছে, ইহা ঠিক নহে। প্ৰাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে ইতিহাসের অভাব নাই। পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত ইত্যাদি ইতিহাস-স্থানীয়। রাজতরঙ্গিণী প্ৰকৃত ইতিহাস। ইতিহাস-রচনার প্রণালী অতি পুরাকাল হইতে ; এদেশে প্ৰচলিত আছে। তবে অবশ্য বৰ্ত্তান পাশ্চাত্য প্ৰণালীতে উহা লিখিত হইত না । ভবিষ্য-পুরাণে ভিন্ন দেশীয় মেচ্ছ।রাজগণের উল্লেখ দেখা যায় । আদম ও হ'ব্যবতীরও উল্লেখ আছে । সভাপতি মহাশয় বলিলেন যে, পঠিত প্ৰস্তাব উৎকৃষ্ট হইয়াছে। পূর্বকার প্রণালীর কোন কোন অংশে ক্রটি ছিল। বৰ্ত্তমান প্ৰণালীতে ঐ রূপ ইতিহাস রচনায় ঘটনাস্তুপের মধ্যে যোগসূত্র থাকা চাই। প্রতিভাবলে প্রাচীন ঐতিহাসিকগণ চব্বিত্রের গুরুত্ব ও মনুষ্যত্বের যাহা উপকরণ মহত্ব বীরত্ব তাহ সংগৃহীত করিয়াছেন। বর্তমান ইতিহাস-রচনায় বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীর বিনিয়োগ দেখা যায়। আমাদের দেশে প্ৰাচীন কালে ইতিহাস-স্থানীয় গ্ৰন্থ পদ্যে রচিত হইত। চাপিত্রে বা আদর্শ সমাজের রীতি নীতি ঐ সকল গ্রন্থে চিত্রিত হইত। বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীর ইতিহাস পূৰ্ব্বে ছিল না। যুরোপে ইহা নূতন জিনিষ। পূৰ্ব্বতন ঐতিহাসিকেরা নিজ মনোমত আদর্শ জনসাধারণের সম্মুখে উপস্থিত করিতেন। আধুনিক ঐতিহাসিকেরা বিজ্ঞানসম্মত প্ৰণালী মতে ঐতিহাসিক সত্য সকল আবিষ্কার করেন। তঁহারা পাঠককে আপনি আদর্শ খুজিয়া লইতে বলেন । রজনী বাৰু বিশদভাবে পূৰ্ব্বতন ও অধুনাতন ইতিহাস-রচনা-প্ৰণালীর ভেদ দেখাইয়াছেন। প্ৰস্তাবটী বেশ সুন্দর হইয়াছে। প্ৰবন্ধ-লেখক আমাদের ধন্যবাদভাজন। তঁহার প্রস্তাবে স্থির হইল যে, পত্রিকায় প্ৰবন্ধ প্ৰকাশিত হইবে। (খ) অতঃপর শ্ৰীযুক্ত রজনীকান্ত চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয়ের অদ্ভুতচাৰ্য্যের রামায়ণ প্ৰবন্ধটা শ্ৰীযুক্ত চারুচন্দ্ৰ ঘোষ মহাশয় পাঠ করিলেন। পাঠান্তে শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্ৰ শাস্ত্রী মহাশয় বলিলেন যে, তিনপ্রস্থ অদ্ভুত রামায়ণ র্তাহার নিকট আছে--তন্মধ্যে একখানি ১৫৫ বৎসরের প্রাচীন। কবি মূলের সহিত অনেকটা সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়াছেন ; গ্রন্থে বিশেষ কবিত্ব লক্ষিত হয় না। রত্নাকর দাসু্যর উপাখ্যান কৃত্তিবাস বা অদ্ভুতাচাৰ্য্য-কল্পিত বলা যায় না। শ্ৰীযুক্ত চারুচন্দ্র ঘোষ মহাশয় বলিলেন যে, অদ্ভুতাচাৰ্য্যের গ্রন্থের কাব্যাংশে কোন মূল্যই নাই। এরূপ গ্রন্থের আলোচনার কোন প্রয়োজন নাই। এরূপ ছাই, পাশ