পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ه لو ] ' , (৩) অতঃপর শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্ৰ বিদ্যাভূষণ মহাশয় “ভবভূতি”বিষয়ক প্ৰবন্ধপাঠ করিলেন ( পাঠান্তে শ্ৰীযুক্ত মহেন্দ্রনাথ বিদ্যানিধি মহাশয় বেলিলেন, সতীশচন্দ্র বাবু, “ভবভূতি” সম্বন্ধে স্বদেশীয় ও বিদেশীয় গ্ৰন্থকারগণের প্রবন্ধাবলী পাঠ করিয়াছেন, দেখিয়া তিনি হর্ষ প্ৰকাশ করিতেছেন। ‘ দৃষ্টান্ত স্থলে বিদ্যানিধি মহাশয়, অধুনা স্বৰ্গগত আনন্দরাম বড়ুয়ার "Bhavabhuti and his place in the history of Sanskrit Literature", frtitis মহাশয়ের সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক প্ৰস্তাব, বঙ্গদর্শনে প্ৰকাশিত বঙ্কিমচন্দ্ৰ বাবুর ভাবভূতি প্ৰবন্ধ, “নব্য ভারত” “ভারতী” “পুরোহিত ও অনুশীলনে”র ভবভূতিবিষয়ক প্রস্তাব এবং তৈল্যাঙের সন্দর্ভ ইত্যাদি এতদ্দেশীয় ও ইয়ুরোপীয় নানা সুধীগণের লিপির প্রবন্ধ উল্লেখ করিয়া বলিলেন যে, আমাদের বিদ্যাভূষণ মহাশয়, স্ব প্রবন্ধে উল্লিখিত প্ৰবন্ধাবলীর অবতারণা করায় তিনি সন্তুষ্ট হইয়াছেন। বিদ্যানিধি মহাশয় সংক্ষেপে ইহাও বলিলেন যে, প্রবন্ধোক্ত সকল মতামতের সহিত র্তাহার মতৈক্য নাই। যদি প্ৰবন্ধটী বৰ্তমান আকারে বা মার্জিত হইয়া মুদ্রিত হয়, তাহা হইলে মতামত ব্যক্তি করা সুবিধাজনক হইবে। পুরাতত্ত্ব এ প্রবন্ধে যথেষ্ট আছে, সাহিত্যবিষয়ক তত্ত্বও না আছে, এমন নয়। এই কারণেও তিনি আমাদের ধন্যবাদাহঁ। শ্ৰীযুক্ত হরিদেব শাস্ত্রী মহাশয় বলিলেন যে, প্ৰবন্ধলেখক মহাশয় বহু পরিশ্রম করিয়া প্ৰবন্ধ রচনা করিয়াছেন। তবে স্থান নির্দেশ সম্বন্ধে আরও অধিক বিবরণ সংগৃহীত হইলে ভাল হইত। প্ৰবন্ধ প্ৰকাশ কালে গ্ৰন্থসমূহের কাল নির্দেশ করিলে ভাল হয়। র্তাহার বিবেচনায় প্ৰবন্ধ উৎকৃষ্ট হইয়াছে, সেজন্য তিনি প্ৰবন্ধলেখককে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ দিতেছেন । শ্ৰীযুক্ত পঞ্চানন বন্দ্যোপাধ্যায় বলিলেন যে, কবিবার ভবভূতি সদৰ্পে আশা করিয়াছিলেন যে, এক সময়ে তাহার কবিতা অমর হইবে। তাহার সে আশাপূর্ণ হইতেছে। সাহিত্য-পরিষদের ন্যায় নানাস্থানে তঁাহার আদর বাড়িতেছে, ইহাই আনন্দের কথা । ভবভূতি সহস্ৰ বৎসর পূৰ্বে আবিভূতি হইয়াছিলেন। কত পরিবর্তন হইয়া গেল, কিন্তু কবির আদর কমে নাই, ইহাই আনন্দের বিষয় । শ্ৰীযুক্ত মনোমোহন বসু মহাশয় বলিলেন যে, প্ৰবন্ধকার ধন্যবাদের যোগ্য। প্ৰবন্ধকার প্রারম্ভেই বলিয়াছেন, ভবভূতি, বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রাদুর্ভাবকালে বৈদিকধৰ্ম্মের পুনভু্যদয়ের চেষ্টা করিয়াছেন। তিনি কি প্রণালীতে নাটক রচনা করিয়াছেন, পণ্ডিতগণ সে বিষয়ে কি উত্তর করেন, ইহাই তেঁাহার জিজ্ঞাস্ত । শ্ৰীযুক্ত শৰ্মাচ্চন্দ্ৰ শাস্ত্রী মহাশয় বলিলেন, মনোমোহন বাবু যে কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছেন, তৰ্ভুক্তয়ে বক্তব্য এই যে, অন্যান্য সমালোচকগণের তিনি পরোক্ষভাবে আৰ্য ও বৌদ্ধচিত্র অঙ্কিত করিয়া জনগণকে সংক্ষেপে উৎকৃষ্ট পথ প্রদর্শন করিয়াছেন। শ্ৰীযুক্ত রায় যতীন্দ্ৰনাথ চৌধুরী মহাশয় বলিলেন যে, প্ৰবন্ধকার অদ্যকার প্রবন্ধে যেরূপ পাণ্ডিত্য ও গবেষণার পরিচয় দিয়াছেন, তাহাতে র্তাহার প্রতি শ্ৰষ্কার,উন্নয় হইয়াছে। তব- “