পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dò o R. সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [কাৰ্ত্তিক মানসপটে সে ভাবে প্ৰতিফলিত হয় নাই। যে জগজয়িনী নগরী, এক সময়ে তিব্বরের তীরে দণ্ডায়মানা হইয়া, আপনার সৌভাগ্যগর্বের পরিচয় দিয়াছিল এবং আপনার অতুলনীয় সৌন্দৰ্য্যগৌরবে বিশ্বসংসারকে চমকিত করিয়া তুলিয়াছিল ; গিবন তাহার অতুল্য সমৃদ্ধি, তাহার অসামান্য প্রাধান্য, শেষে তাহার অভাবনীয় অধঃপতনের বিষয় প্ৰকৃত সাধকের ভাবে, প্ৰকৃত কবির ভাবে দেখিয়াছিলেন। হিউ এনথ সঙ্গ যখন স্বদেশের জ্ঞানবৃদ্ধ শ্ৰমণদিগের পদতলে বসিয়া, ধৰ্ম্মশাস্ত্রের আলোচনা করিয়াছিলেন, তখন বারাণসী ও শ্রাবস্তী, কপিলবস্তু ও বুদ্ধগয়া তঁহার প্রশস্ত হৃদয়ে অতীত গৌরবের উদ্দীপক হইয়াছিল। তুমি হিন্দু; তুমি স্বদেশপ্রেমিক বলিয়া আত্মাভিমান প্ৰকাশ করিয়া থােক, তুমি হিমালয় হইতে কুমারিকা পৰ্য্যন্ত, গুজরাট হইতে ব্ৰহ্ম পৰ্য্যন্ত সমগ্ৰ ভারতবর্ষ BBBDBD DBBBDDS DBLD DDBDD DDBDED BDBD DBDDDDBBD BBDLYS ভারতের কোথায় কোন নগর, কোথায় কোন পৰ্ব্বত, কোথায় কোন নদী ইত্যাদি রহিয়াছে, তুমি মানচিত্ৰ দেখিবামাত্র, তৎসমুদয় নির্দেশ করিয়া দিতে পার। কিন্তু ভারতের অতীত গৌরবের নিদর্শনক্ষেত্রগুলিতে তোমার স্বদেশপ্রেম পরিস্ফুট হয় নাই, তোমার আত্মাভিমান উদ্দীপিত হয় নাই, তোমার স্বজাতিপ্ৰীতি তোমাকে কোন মহৎ কাৰ্য্যে প্ৰবৰ্ত্তিত করে . নাই । যে সিন্ধুসরস্বতীর মনোহর পুলিনে যোগাসনে উপবিষ্ট হইয়া, ত্ৰিকালিদশী তপস্বিগণ বিশ্বপালনী শক্তির উদ্বোধন করিতেন, সেই সিন্ধু সরস্বতীর কথায় তোমার হৃদয়ে হিন্দুধৰ্ম্মের মহান ভাব অঙ্কিত হয় নাই। ভারতে সেই কুরুক্ষেত্র নৈমিষারণ্য রহিয়াছে, সেই হরিদ্বারজালমুখী লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রীকে পবিত্ৰভাবে পরিপূর্ণ করিতেছে, সেই কনখল-কুমরিকা আৰ্য্যধৰ্ম্মের মহীয়সী শক্তির পরিচয় দিতেছে, কিন্তু এগুলি তুমি ভাবুকের চক্ষে-কবির চক্ষে দেখ নাই। হিন্দ শাস্ত্রের মূলতত্ত্বের অনুধ্যানে তোমার প্রবৃত্তি হয় নাই। ভূদেব প্রকৃত কবির ন্যায়। ভারতের তীর্থস্থান গুলির বিষয় ভাবিয়াছেন, এবং প্রকৃত কবির ন্যায় রূপকের ভাবে প্ৰতি তীর্থস্থানে হিন্দী ধৰ্ম্মের তাৎপৰ্য্য বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছেন। তঁহার এই চেষ্টা তদীয় “পুষ্পাঞ্জলি’তে পরিাস্ফটি হইয়াছে। তিনি পিতৃমুখে হিন্দুশাস্ত্রের কথা শুনিয়াছিলেন ; শেষে হিন্দুশাস্ত্ৰসম্বন্ধে আপনার চিন্তাপ্ৰসুত বিষয়গুলি পিতৃপদেই পুষ্পাঞ্জলিস্বরূপ দিয়া গিয়াছেন। র্তাহার “পুষ্পাঞ্জলি” চিরকাল বঙ্গীয় সাহিত্যভাণ্ডারের গৌরব বৃদ্ধি করিবে। পুষ্পাঞ্জলি অনেক সারগর্ভ উপদেশে পরিপূর্ণ। ব্ৰাহ্মণের পরশুরাম-তীর্থে সমবেত হইয়াছেন। একজন বয়োবৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ একটি মহারাষ্ট্রীয় গ্রামে প্ৰবেশ করিয়া দেখিলেন, গ্রামবাসিগণ শীতাতপে ক্লিষ্ট, বিষাদে অবসন্ম ও ভয়ে উদ্বিগ্ন হইয়াছে। কেহ কৰ্ম্ম করিতে অক্ষম, কেহ পথ চলিতে অসমৰ্থ, কেহ বা নৈরাশ্যে মৰ্ম্মাহত হইয়া পড়িয়াছে। এমন সময়ে একজন আগন্তুকের প্রতি তাহদের দৃষ্টিপাত হইল। আগন্তুক অশ্বারোহী ও ত্রিপুণ্ডধারী। তাঁহার কক্ষদেশে একখানি পুস্তক রহিয়াছে। আগন্তুক অশ্বগৃষ্ঠ হইতে