পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০১] 岑 কৃত্তিবাস। NoS কি সেই বিশুদ্ধ খাটি রামায়ণ ? যাহারা এ বিষয়ের কিছুমাত্র আলোচনা করিয়াছেন, তাহারা নিঃসঙ্কোচে বলিবেন-কখনই না । প্ৰথম, মুদ্রিত পুস্তকের আলোচনা করা যাক । JJD gD DBDBB BBBB BD DBDB KKBDDBB DBDDD DDDBS DSS g BDBBB LDD অতীব দুর্লভ হইয়াছে। ত্রসিয়াটিক সোসাইটির সংস্কৃত পুস্তক রক্ষক শ্ৰীযুক্ত হরিমোহন বিদ্যাভূষণ আমাকে লিখিয়াছেন, যে সোসাইটির পুস্তকাগারে ঐ সংস্করণের অসম্পূর্ণ গ্ৰন্থ ( শেষ চারি। কাণ্ড ) একখানি মাত্র রক্ষিত আছে। ১২৮৭ সালে গুপ্তপ্রেস হইতে, ১৮০৩ খৃঃ অব্দের উক্ত সংস্করণ অবলম্বনে, এক সচিত্র রামায়ণ প্ৰকাশিত হয় । এই রামায়ণে শ্ৰীরামপুরের রামায়ণের ধৃত পাঠ অবিকল অনুস্থত হইয়াছে, কেবল স্থানে স্থানে বৰ্ণাশুদ্ধির সংশোধন করা হইয়াছে। ১৮০৩ সালের মুদ্রিত পুস্তক অবশ্য সেই সময়ের পুথির আদর্শে প্রকাশিত হইয়াছিল। অতএব ঐ রামায়ণে আমরা তদানীন্তন পুথির অনেকাংশে প্রতিরূপ দেখিতে পাই । শ্ৰীরামপুর প্রেস হইতে রামায়ণ প্রচারের পর বটতলায় রামায়ণ প্ৰকাশ আরম্ভ হয়। বটতলা প্ৰসুতি প্ৰথম সংস্করণের রামায়ণ আমার নেত্রপথে কখন পতিত হয় নাই । যদি কাহারও হইয়া থাকে, আমায় জানাইলে বাধিত হইব। কালক্রমে বটতলার শ্ৰীবৃদ্ধির সহিত মধ্যম, অধম, অধমাধ্যম অনেক সংস্করণ প্ৰকাশিত হইয়া আসিতেছে। কিছুদিন পূৰ্ব্বে ভিন্ন ভিন্ন প্ৰকাশক কর্তৃক প্রচারিত চারিখানি বটতলার রামায়ণ মিল করিয়া দেখি । দেখিলাম, সকল গুলিই এক আদর্শের অনুযায়ী। সে আদর্শ ১৮০৩ সালে মুদ্রিত রামায়ণের আদর্শ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক এবং সংস্কৃতের প্রলেপময় ও আধুনিকতার আবরণে সমাচ্ছন্ন। কোন আদর্শ কৃত্তিবাসী খাঁটি রামায়ণের অনুযায়ী ? সুখের বিষয়, এখনও অনুসন্ধান করিলে রামায়ণের হস্তলিখিত পুথি পাওয়া যায়। শ্ৰীযুক্ত প্ৰফুল্লচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরূপ কয়েক খানি সম্পূর্ণ ও অসম্পূর্ণ পুথি একত্র করিয়াছেন । শ্ৰীযুক্ত দীনেশচন্দ্ৰ সেন দুই খানি সম্পূর্ণ ও এক খানি অসম্পূর্ণ পুথি সংগ্ৰহ করিয়াছেন। আমার কাছে এরূপ তিন খানি পুথি সংগৃহীত হইয়াছে, আরও হইবার আশা আছে। বিশ্বাস্ত সুত্ৰে শুনিয়াছি, ভক্ত প্ৰবর শ্ৰীযুক্ত হারাধন দত্ত মহাশয়ের নিকট একখানি অতি জীর্ণ কৃত্তিবাসী পুথি আছে ; উহার বয়ঃক্রম প্ৰায় চারি শত বৎসর। এ পুথির কত মূল্য, তাহা কেবল সাহিত্যানুরাগীই অনুভব করিতে পারেন। প্রাচীন পুথি এবং শ্ৰীরামপুরের রামায়ণের সহিত বটতলার রামায়ণ মিলাইলে দেখা যায় যে, অপ্রচলিত ও গ্ৰাম্যশব্দবহুল কৃত্তিবাসী ভাষা বটতলায় নবীন আবরণে আচ্ছন্ন এবং সংস্কৃতের প্রলেপময় হইয়াছে । আর প্রাচীনকাব্যসুলভ অন্ত্য স্বরের অমিল, অক্ষরের নুনাধিক্য প্রভৃতি অন্তহিঁত হইয়া আধুনিক একটানা সুমিল চৌদ্দ অক্ষর পয়ারে পরিণত হইয়াছে। ইহার উপর অপপাঠের সংস্পৰ্শ, অঙ্গবৈকল্য এবং অবয়বহানির যে কত বাহুল্য, তাহার নিৰ্দেশ করা যায় না। শ্ৰীযুক্ত প্রফুল্লচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক