পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8wo সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা । রামগোপাল সেনগুপ্ত মহাশয় বীণাপাণি-সাহিত্য-সমাজদ্বারা অনেকগুলি নুতন লেখককে উৎসাহ দান করেন। তিনি অল্প বয়সে দেহ ত্যাগ করিয়াছেন ; কিন্তু ইহার মধ্যেই আমরা তঁহার প্রতিভার প্রভুত পরিচয় পাইয়াছি। পরিষৎ তাহার জন্য শোক-প্ৰকাশ করিতেছেন। ’ শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু মহাশয়ের প্রস্তাবে ও সর্বসম্মতিক্রমে স্থির হয় যে, এই শোকপ্ৰকাশ সংবাদ মৃত সভ্যদ্বয়ের শোকাৰ্ত্ত পরিজনগণকে জানান হউক । ইহার পর বীণাপাণি-সাহিত্য-সমাজের পক্ষ হইতে একজন সভ্য পরিষৎকে ধন্যবাদ জানাইয়া পরিষৎকে মৃত রামগোপাল সেনের প্রতিকৃতি উপহার দিতে চাহেন। সভাপতি মহাশয় ঐ উপহার সাদরে গ্ৰহণ করিবার অভিপ্ৰায় জ্ঞাপন করেন। তৎপরে সভাপতি মহাশয় মহারাজ মুনীন্দ্ৰচন্দ্ৰ নন্দী বাহাদুরকে ধন্যবাদ প্ৰদান করেন। সভাপতি মহাশয় বলেন, মহারাজ পরিষদের গৃহনিৰ্ম্মাণ-কল্পে ভূমিদান করিয়া পরিষদকে কৃতাৰ্থ করিয়াছেন। তিনি নানা বিষয়ে পরিষদকে সুপরামর্শ দান করিয়া পরিষদের কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন। অদ্য সভায় উপস্থিত হইয়া তিনি পরিষদের যথেষ্ট উৎসাহ-বৰ্দ্ধন। করিয়াছেন। পরিষৎ তাহার নিকট বিশেষরূপে কৃতজ্ঞ । উত্তরে মহারাজবাহাদুর বলেন, আপনার আজ আমাকে যেরূপ অভ্যর্থনা করিয়াছেন, ও ধন্যবাদ দিয়াছেন, আমি তাহার অনুপযুক্ত। বাঙ্গালা ভাষার উন্নতি-বিধানে সচেষ্ট হওয়া বাঙ্গালীমাত্রেরই অবশ্য-কৰ্ত্তব্য। পরিষৎ সেই কল্পে চেষ্টা করিয়া দেশের ধন্যবাদ-ভাজন হইয়াছেন। পরিষদের এই চেষ্টায় আমি অতি প্রীত হইয়াছি। আমার সামান্য সাহায্যে । যদি পরিষদের কোন উপকার হয়, তবে আমি বিশেষ সুখী হইব । ইহার পর সভাপতি মহাশয়কে ধন্যবাদ জানাইয়া সভা ভঙ্গ হয়। শ্ৰী রায় যতীন্দ্ৰনাথ চৌধুরী, শ্ৰীসত্যেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর, সম্পাদক, ৫ই ফান্থন, ১৩০৭ সােল ; ৫ই ফান্তন, ১৩০৭ সাল ।