পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

na seov ) बांडल क्रू९ 8 उद्दिष्छ । S8 y বেতালা ; বেসুরবিশিষ্ট বেসুর ; জলময় জল ; নুন বিশিষ্ট নোনা (লবণাক্ত ) ; আলোকিত আলী ; রোগযুক্ত রোগা ; মলযুক্ত ময়লা ; চালাযুক্ত চালা ( ঘর) ; মাটিযুক্ত মাটিয়া ( মেটে) ; বালিযুক্ত বালিয়া ( বেলে) ; দাড়ি যুক্ত দাড়িয়া ( দেড়ে )। বৃহৎ অর্থে আ প্ৰত্যয় ; যথা, হঁাড়া ( ক্ষুদ্র, হাঁড়ি ) ; নোড়া ( লোষ্ট হইতে ; ক্ষুদ্র, इgि ) । 啤 আন প্ৰত্যয়। আন প্ৰত্যয়ের দৃষ্টান্ত। যোগান, চাপান, চালান, জানান, হেলান, ঠেসান মানান। এগুলি ছাড়া একপ্রকার বিশেষ পদবিন্যাসে এই আন প্ৰত্যয়ের ব্যবহার দেখা যায়। ঠাকা হইতে ঠকান শব্দ বাঙলায় সচরাচর দেখা যায় না, কিন্তু আমরা বলি, ভারিঠকান ঠকেছি, অথবা, কি ঠকানটাই ঠকিয়েছে। সেইরূপ, “কি পিটােনটাই পিিটয়েছে,” “কি ঢলানটাই ঢলিয়েছে।” এরূপ বিস্ময়সূচক পদবিন্যাসের বাহিরে “পিটািন” “ঢলান” ব্যবহার হয় না। উপরের দৃষ্টান্তগুলি ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য। পদার্থবাচকের দৃষ্টান্তও আছে ; যথা, বানান, উঠান, উনান, উজান (উৰ্দ্ধ= উঝ + আনা), ঢালান (জলের ), মাচান (মঞ্চ )। ख्ञांन्+ऊञ ©ङठाश्च । আন প্ৰত্যয়ের উত্তর পুনশ্চ অ প্ৰত্যয় করিয়া বাংলায় অনেকগুলি ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বিশেষণের সৃষ্টি হয় । পূৰ্ব্বে দেখান গিয়াছে, একমাত্রিক ধাতুর উত্তর আ প্ৰত্যয় করিয়া ক্রিয়াবাচক দুই অক্ষরের বিশেষ্য বিশেষণ সিদ্ধ হয় ; যেমন ধরা মারা ইত্যাদি । rবহুমাত্রিকে আ প্ৰত্যয় না হইয়া আন ও তদুত্তরে অ প্ৰত্যয় হয়। যেমন চুলকান ( छेष्क्रांद्व१ চুলকানো ), কামড়ান ( কামড়ানো ), ছট ফটান ( ছটফটানো ) ইত্যাদি। কিন্তু সাধারণত নৈমিত্তিক ক্রিয়াকেই ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বিশেষণে পরিণত করিতে আন + আ প্ৰত্যয়ের ব্যাবহৃত হয় । যেমন, করা শব্দ হইতে নৈমিত্তিক অর্থে করান, বলা হইতে নৈমিত্তিক অর্থে বলান । ইহাই সাধারণ নিয়ম, কিন্তু কয়েকটি ব্যতিক্রমও দেখা যায়। যেমন, পড়া হইতে নৈমিত্তিক পাড়া ; চলা হইতে চালা ; গলা হইতে গালা ; নড়া হইতে নাড়া ; জ্বলা হইতে জালা ; মারা হইতে মারা ; বহা হইতে বাহা ; জর হইতে জ্বারা । কিন্তু পড়া হইতে পড়ান, নড়া হইতে নড়ান, চলা হইতে চালান, ইহাও হয়। এমন কি, নৈমিত্তিক ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য শব্দ চালা, নাড়া, পাড়া প্রভৃতির উত্তর পুনশ্চ আন+অ যোগ করিয়া চালান, পাড়ান, নাড়ান হইয়া থাকে । কিন্তু তাকান, গড়ান (বিছানায় ), আঁচনি প্রভৃতি অনৈমিত্তিক শব্দ সম্বন্ধে কি বুঝতে হইবে ? তাকা, গড়া, আঁচা হইল না কেন ? ? ? তাহার কারণ, এইগুলির মূল ধাতু একমাত্রিক নহে। “দেখ একমাত্রিক ধাতু, তাহা