পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম ভাগ ] [ চতুর্থ সংখ্যা । সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । বাঙ্গল ব্যাকরণ । সাহিত্য-পরিষৎ কর্তৃক বাঙ্গলা ব্যাকরণ আলোচনার ফলে সাহিত্যসমাজে অনেকের মনে একটা আতঙ্কের সঞ্চার হইয়াছে। তাহারা আশঙ্কা করেন, বুঝি বা বাঙ্গলা ভাষার বিশুদ্ধিনাশই সম্প্রদায়বিশেষের অভিপ্ৰায় । বাঙ্গলা ব্যাকরণঘটিত কয়েকটি প্ৰবন্ধ পরিষৎসভায় পঠিত বা পরিষৎ-পত্রিকায় প্ৰকাশিত ত ইয়াছে । সাহিত্য-পরিষদের দুইজন সহকারী সভাপতি, মহামহোপাধ্যায় হরপ্ৰসাদ শাস্ত্রী ও শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অগ্ৰণী হইয়া এই আলোচনা আরম্ভ করিয়াছেন। রবিবাবুর লিখিত ও পত্রিকায় প্ৰকাশিত প্ৰবন্ধগুলিতে চলিত বাঙ্গলা শব্দগুলির সংগ্ৰহ ও আলোচনা হইয়াছে । এই শ্রেণীর শব্দের একটি তালিকা, যাহা বিদ্যাসাগর মহাশয় সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, তাহা পত্রিকায় বাহির হইয়াছে । পত্রিকা সম্পাদক ও এই শ্রেণীর শব্দ সংগ্রহের জন্য পাঠকবর্গকে আহবান করিয়াছেন । এই সকল শব্দের অধিকাংশই চলিত ভাষায় অর্থাৎ কথাবাৰ্ত্তার ভাষায় ব্যবহৃত হয় । তাহাদের অধিকাংশেরই সাধুভাষায় অর্থাৎ সাহিত্যের ভাষায় সম্প্রতি স্থান নাই। হয় ত অনেক শব্দ এরূপ ও আছে, যাহা প্ৰকৃতই slang ; অর্থাৎ ভদ্রসমাজে কথাবাৰ্ত্তার সময়ে তাহা বৰ্জনীয়। এই সকল “অসাধু’ শব্দের আলোচনা সকলের প্রতিকর হয় নাই এবং সম্প্রতি পণ্ডিতগণের মধ্যে যে আতঙ্ক উপস্থিত হইয়াছে, তাহার ভিত্তিও বোধ श्रुद्धि छेशठे । সাহিত্য-পরিষদের বর্তমান সম্পাদক ব্যাকরণবিষয়ে অব্যবসায়ী। উপস্থিত বিতণ্ডায় আমার কোন কথা বলিবার ইচ্ছা ছিল না ; কিন্তু যেখানে সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা এই আন্দোলন উপস্থিতির জন্য বিশেষতঃ দায়ী, তখন সম্পাদকেরও আত্মসমর্থন স্বরূপে কিছু বলা আবশ্যক বোধ করিতেছি । পরিষৎ-পত্রিকার দ্বারা যদি ভাষার বিশুদ্ধিহানি বা সৌষ্ঠব ইনি ঘটিবার সম্ভাবনা থাকে, তাহা হইলে পত্রিকার সেই দোষ মার্জনীয় হইবে না ; এবং সাহিত্য-পরিষৎও যদি সাহিত্যের উন্নতিকল্পে প্ৰবৃত্ত হইয়া ভাষার অবনতি ঘটান, তাহা হইলে BBDDDLDDS DBBOuTLL LLtut DuDBB DBDSS KDB S SBBD SB BDB DDD BuBuuBuDu