পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNR 8 সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা । [ 8र्थ'ज९थाl নের অন্যান্য অংশ সম্বন্ধেও ঠিক সেই সেই কথা প্ৰযোজ্য। বাঙ্গলা ভাষার বাক্যগ্রন্থন প্ৰণালী সংস্কৃত বাক্যগ্রন্থন প্ৰণালীর সহিত সর্বাংশে সমান নহে। কাজেই বাঙ্গলা ব্যাকরণের এই অংশেও সংস্কৃত ব্যাকরণের সহিত পার্থক্য থাকিবেই। সাদৃশ্যও আছে, পার্থক্যও আছে। বাঙ্গলা ব্যাকরণে সাদৃশ্য ও পার্থক্য উভয়েরই বিচার করিতে হইবে। নতুবা ব্যাকরণ সম্পূর্ণ হইবে না । আমাদের বাঙ্গলা ভাষা একটা স্বতন্ত্র ভাষা । সংস্কৃতের সহিত ইহার সম্পর্ক আছে ; কিন্তু ইহ সংস্কৃত ভাষা নহে। বহুকোটি মনুষ্যে বাঙ্গলা ভাষায় কথা কহে ; বহুশত লোকে বাঙ্গলা ভাষায় গ্ৰন্থ রচনা করেন। কিন্তু এই সকল লোকে সংস্কৃত বুঝে না। সংস্কৃত ভাষা ইহাদিগকে চেষ্টা করিয়া শিখিতে হয়। বাঙ্গলা ভাষা ইহারা মাতৃস্তন্য পানের সহকারে শিক্ষকের DDD DBDBD BDBBSS KBD SS BBKS SDBDDBDB BDO uBB BDBDLCD S BDD DBDBBD সেইরূপ নিয়ম আছে। নিয়ম না থাকিলে ইহা মনুষ্যের ভাষা হইত না । মনুষ্যের প্রয়োজনে লাগিত না । কিন্তু সেই সকল নিয়মের এখনও কেহ আলোচনা করেন নাই । বাঙ্গালা ভাষাকে বিশ্লেষণ ও ব্যবচ্ছেদ করিলে যে সকল নিয়ম বাহির হইতে পারে, তাহা আজি পৰ্য্যন্ত অনাবিষ্কৃত । সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকায় এই নিয়মের আবিষ্কারের জন্য সুধীমণ্ডলীকে আহবান করা হইয়াছে মাত্ৰ। মহামহোপাধ্যায় হরপ্ৰসাদ শাস্ত্রী ও শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর সাহিত্যপরিষৎ-সভার মুখপাত্ৰ স্বরূপে পণ্ডিতজনকে এই কাৰ্য্যে অগ্রসর হইবার জন্য আবেদন করিয়াছেন মাত্ৰ । বালকগণের জন্য বাঙ্গালা ব্যাকরণ রচনা তাহদের উদ্দেশ্য নহে! বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ এখনও গঠিত হয় নাই। বাঙ্গালা ভাষার নিয়ম সকল আদ্যাপি অনাবিষ্কৃত । এই সকল নিয়ম যখন আবিষ্কৃত হইবে, তখন ভবিষ্যতের পাণিনি নিজ প্ৰতিভা দ্বারা পূৰ্ব্বাচাৰ্য্যগণের আবিষ্কারসকল সমন্বয় করিয়া বাঙ্গালাভাষার ব্যাকরণ শাস্ত্ৰ গঠন করিবেন। তার পর সেই ব্যাকরণ বালকদিগের জন্য প্ৰচারিত হইবে সেই পাণিনির জন্মে এখন অনেক বিলম্ব । এখনও তাহার জন্মের সময় হয় নাই । আমাদিগকে তাহার আবির্ভাবের জন্য আয়োজন করিতে হইবে । আমরা আপন আপনি ক্ষুদ্র শক্তি প্ৰয়োগে বহুদিনে সোপানাবলি নিৰ্ম্মাণ করিয়া যদি রাখিতে পারি, তাহা হইলে তিনি যখন আবিভূতি হইবেন, তখন সেই সোপানের সাহায্যে আরোহণ করিবেন। অথবা তিনি যে সৌধ নিৰ্ম্মাণ করিবেন, আমাদিগকে তাহার জন্য খড় খুটি চুণ কাঠ ইষ্টক প্ৰস্তর” প্ৰভৃতি উপাদান ংগ্ৰহ করিয়া রাখিতে হইবে। যদি কাহারও সাধ্য থাকে, অট্টালিকার নক্সাটাও তৈয়ার করিয়া রাখিবেন ; কাকারও সাধ্য থাকে, দুই একটা ভিত্তি পত্তন, বা দুই একটা প্রাচীর বা স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিয়া রাখিবেন মাত্ৰ । শ্ৰীযক্ত ইন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় যাহা বলিয়াছিলেন, তাহা এই অর্থে যথার্থ।