পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্দ্দশ ভাগ).pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩১৪ ] যশোহরের ফৌজদার নূরউল্যা খাঁ ও মিৰ্জানগর SS) রাজধানীর এত নিকটে দেখিয়া ধন, প্রাণ ও মান ভয়ে আনন্তোপায় হইয়া মনোহর সীতারামের শরণাপন্ন হইলেন। বন্ধুবৎসল মনোহর সম্ভবতঃ ফৌজদার সাহেবের জন্যও সীতারামকে অনুনয় বিনয় করিতে ত্রুটি করেন নাই। এখানে সীতারামের সহিত মনোহর ও নূরউল্যার এক সন্ধি হইল -কিন্তু সন্ধি হইলে কি হইবে হঁহারা সৰ্ব্বদাই সীতারামের পতনের জন্ত আগ্রহের সহিত অপেক্ষা করিতে লাগলেন । ফৌজদার নূরউল্যা কতদিন জীবিত ছিলেন বহু অনুসন্ধানেওঁ আমরা তাহা নির্ণয় করিতে সমর্থ হই নাই। তবে তিনি যে বহুদিন ধরিয়া ফৌজদারী শাসনদণ্ড পরিচালনা করিবার 'অধিকারী হইয়াছিলেন, জন প্ৰবাদ ও বহুসংখ্যক ধ্বংসাবশেষ অবিসংবাদেই তাহা.প্রমাণ করিতেছে । নূরউল্যার পর তঁহার পুত্ৰ মােরখলিল যশোহরে ফৌজদার হইলেন। দায়েমাউণ্য ও কায়েমউল্যা নামক দুই পুত্র রাখিয়া ফৌজদার মীর খলিল উপযুক্ত সনয়ে মানবলীলা মাংবরণ করেন। BBB DDD DDD DSBBDDD D BBDDBDB uDuBDkBDB BKKDDBD BB BBD JDSBBB রাজবিধানানুযায়ী তাহারা কেহই ফৌজদারী গাদী পাইবার অধিকারী হয়েন নাই । ভ্ৰা সাবালক হইলে অস্থাবর সম্পত্তি বিভাগ লইয়া তাহানের মধ্যে বিবাদ আরম্ভ হয়। এই বিবাদের ফলে ভ্রাতৃসুগল পরস্পর পরস্পরের হস্তে নিহত হন। দায়েম উল্যা হিদায়তউল্যা ও কায়েম উল্যা রহমৎউল্যা নামক এক একটি পুত্র রাখিয়া’যান। পিতার মৃত্যুর পর দিল্লীর সম্রাটের আদেশমুসারে ভ্রাতৃমুগল বঙ্গের রাজধানী মুর্শিদাবাদে আস্থত হইয়াছিলেন। বঙ্গের তদানীন্তন সুলতান সুজা খাঁ তাহদের সম্বন্ধে কোন উপযুক্ত বন্দোবস্ত না করায় বা সম্যক মনোযোগ না দে ওয়ায় ভগ্নীমনোরথ হইয়া কপদকশূন্য অবস্থায় ভ্ৰাতৃঘুগল মির্জানগরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। তঁহাদের পৈতৃক সম্পত্তি যাহা কিছু ছিল, তাহা বিক্রয় করিয়া ভঁহারা কিছু দিন সংসার চালাইয়াছিলেন। পরে তঁহাদের দুরবস্থার কথা অবগত হইয়া চাচড়ার রাজগণ ও অনেকদিন তাহা, দিগের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করিয়াছিলেন, কিন্তু নানা কারণে চাঁচড়ার রাজপরিবারের অবস্থা হীন হওয়ায় তাহারা আর পূর্বের ন্যায় নিয়মমত ভ্ৰাতৃঘুগলের খরচ চালাইতে অক্ষম হইয়া পড়েন। এই সময়ে তঁহাদের অবস্থা বড়ই শোচনীয় হইয়া উঠে। অবশেষে ১৭৯৮ খৃষ্টাব্দে নিতান্তী নিরুপায় হইয়া আপনাদের অবস্থা জানাইয়া পেনসনের প্রার্থনা করিয়া ভ্ৰাতৃসুগল যশোহরের তদানীন্তন কালেক্টর সাহেবের নিকট এক দরখাস্ত করিয়াছিলেন । সহৃদয় কালেক্টর সাহেবের অনুরোধে ও চেষ্টায় গভৰ্ণমেণ্ট ভ্ৰাতৃষুগলের প্রত্যেককে মাসিক ܢܘ ܘ ܬ টাকা পেনসন দিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন,-কিন্তু দুঃখের বিষয় পেনসন মঞ্জুর হইয়া আসিতে না আসিতে হতভাগ্য হিদায়তউল্যা মানবলীলা সংবরণ করেন ; তঁহার অদৃষ্ট আর পেনসন ভোগ হইল না। রহমৎউল্যা জীবনের শেষ চারি বৎসর মাত্র পেনসন ভোগ করিয়া কতকটা শাস্তিতে থাকিতে BBD SDDBBD DSD DDDBBDBBD BDD DDD DDD DB DS মির্জানগর । নূরনগরের জল বায়ু দূষিত হইলে ফৌজদার নূরউল্যা মির্জানগরে তঁহার সদর বাসস্থান SOV ||१||