পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্দ্দশ ভাগ).pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*न २४°8 ] ধবনি-বিচার Act বিশেষণ পাইয়াছে। "খেউ খেউ’ শব্দবিরক্তিকর ও অশ্রাব্য-অশ্ৰাব্য গানের নাম, "খেউড়"। * খ্যাকখোঁকে” মানুষ সৰ্ব্বদাই বিরক্ত থাকিয়া যেন খে। ক খোক করিতেছে। "কচং” শব্দ জোরে উচ্চারিত হইয়া ‘খচ’ ‘খচখচ’ ‘র্থ্যাচ’, ‘খ্যাচ খ্যাচ প্ৰভৃতিতে পরিণত হয়। ছোট কঁাটা চামড়ায় প্রবেশ করিয়া খচখচ’ “খুচ খুচ’ করে। জোরে টানার শূন্দ “খ্যাচ” ; “খোঁচােন”র অর্থ জোরে, ऐांना'; দাত ‘খেচান’র অর্থ ওষ্ঠ্যাধরের আচ্ছাদন জোরে টানিয়া লইয়া বা খেচিয়া দন্ত বিকাশ। বেত বা বঁাশ চিড়িয়া তন্নিৰ্ম্মিত 'খাঁচা।” “খাচি” “খুঞ্চি” ঐ ঐ স্থিতিস্থাপক পদার্থের ‘খোঁচান" জ্ঞাপক । “খুচ' শব্দে যে কাটা বিধিয়া যায়, তাহার নাম ‘খেচ’ । বল্লমে বেঁধার নাম ‘খোচান’ । ‘কুচো” “কুচি” প্রভৃতি বিশেষণে খণ্ড খণ্ড জিনিষের ছোট টুকরা বুঝায় ; “খুচরা' শব্দেও ঐ २९४ङ5द्र उठद 'ट्याgन् । ধূলা ও বালির কিচকিচি যেমন বিরক্তকর, তেমনি কাজ কৰ্ম্মে ‘খিচখিচি “খিচিবিচি “থিচমিচি’ ঘটিলে উহাও বিরক্তিকর হইয়া উঠে । “খট” “খটখট’ ‘খিটখিট” “খটমট” “খুচুঁখাট” “খুটিমুট, খুটাখুটি প্রভৃতি শব্দ কাঠিন্যের 각 | “কটু” ও “টিক’ এই দুই শব্দের অনুরূপ শব্দ খটু’। ‘খিটখিটে” মানুষের মেজাজ কঠিন বা কৰ্কশ । “খাটি” বা “খাড়ির’ নামের সহিত তাহার কঠিন্যের সম্পর্ক আছে। ‘খাট’ ( খটু ) উহার কঠিন কাষ্ঠময় উপাদান হইতে নামকরণ পাইয়াছে কিনা বিবেচ্য। খাটের 'श्रुष्छु’ उ কঠিন কাষ্ঠময় বটেই। "খড়ম” উহার কাঠময়ত্ত্ব জ্ঞাপন করিতেছে, সন্দেহ করিবার হেতু নাই। চলিতে চলিতে “খৰ্ট” শব্দে চরণদ্বয় কঠিন বাধায় আহত হইলে থামিতে হয় । খটকা” লাগার অর্থও ঐরূপে আহত হইয়া থামিয়া যাওয়া। ‘খাট’ জিনিষের খৰ্ব্বত্বের সহিত কঠিন্তের কোন গুঢ় সম্বন্ধ আছে, কি ? ‘খুট’ জিনিষটাও কঠিন কাঠের উপাদানে নিৰ্ম্মিত ; উহা ছোট হইলে भूcB' श्व ; “খুটো” মোটা হইয়া মুদগরে পরিণত হইলে ‘খোঁটা’ হয়। খুটাখুটি শব্দের মত বিরক্তিকর কৰ্ম্ম “খুটােনি’। ‘খুটনাটি’ কাজ ও তদ্রুপ। খটাং খটাস প্রভৃতি খট' শব্দেবই বিকার। কলঙ্কসুচক “খিটকাল’ মনুষ্য চরিত্রে খািট শব্দে আঘাত দেয় । খটখটর কাঠিন্য কার্কশ্যে পরিণত হইলে ‘খরাখার ‘খুল্লখুর” “খটরখটর’, ‘খুৱখার’ ‘খুটুরখুটুর’ ‘খুটুরখাটুর’ ‘খররখারার’ ‘খুরুর খুরুর’ শব্দে পরিণত হইয়া থাকে। ‘খরখরে জিনিষের অর্থই কর্কশপৃষ্ঠ জিনিষ । ‘কপূর্ণ শব্দের জোরে “খাপা হয়। খপ, খাপখপ, প্রভৃতি শব্দ ক্রিয়ার দ্রুততা ও আকস্মিকতা বুঝায়। খপ্‌ করিয়া আমরা "খাবল দিয়া “খাবিলাই’। অধিকাৰ্থিক ‘খুব’এর সহিত “খাপা এর সম্পর্ক আছে কি ? তাড়াতাড়ি কোন কৰ্ম্ম সমাপ্ত করিবার ঔৎসুক্য “খাপখপানি'। পোড়া মাটির শব্দ “খনখন । হঁড়ি কলসী, মালসা প্ৰভৃতি পোড়ামাটির জিনিষে আঘাতের শব্দই খন খন। ‘খ’য়ের ধ্বনি ঐ সকল জিনিষের বিশেষত্ব । খাপড়া (খর্পর।) থাপরোল, খোলা ( কপাল) খুলি, পোল (বাদ্যযন্ত্র) প্রভৃতি শব্দের আদিস্থিত ‘খ’ কি ঐ সকল