পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S98 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা ৷ ” [ थयां । মাহ্মদ ও মহম্মদ ঘোরীর অত্যাচারে মৰ্ম্মাহত হইয়াছিলেন। তাহারা উভয়েই ১৪৯৪ খৃষ্টাব্দ অর্থাৎ ১৪১৬ শকাব্দের বহু পূৰ্ববৰ্ত্তী । 曲 (৪) এই গ্রন্থে খোজা ও ক্রীতদাসের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। যথা - “এক শত খােজা দিল, সুঙ্গতি করিয়া।” v রাজকৃষ্ণ বাবুর বাঙ্গালী ইতিহাসে লিখিত আছে ;--- “নাসিরুদ্দীনের পুত্ৰ বৰ্ব্বকাস রাজ্য ও রাজপ্ৰাসাদ রক্ষার্থ অনেকগুলি হাবসী। ( আবিসিনীয় ) ক্রীতদাস নিযুক্ত করেন। ইহার ক্রমে এমন পৱাক্ৰান্ত হইয়া উঠে যে, ১৪৮৭ খৃষ্ঠাব্দে স্বীয় প্রভুকে বধ করিয়া উহাদের মধ্যে একজন বাঙ্গালার অধিপতি হন।” ইহা ১৪৯৪ খৃষ্টাব্দের অব্যবহিত পূর্ববৰ্ত্তী সময়ে সঙ্ঘটিত হইয়াছে। বোধ হয় কবি এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি-অবলম্বনেই উল্লিখিত কবিতাটি রচনা করিয়া থাকিবেন। উপরি উদ্ধত চারিটীি ঐতিহাসিক বিবরণ মধ্যে ১ম ও ২য়টি ১৪১৬ শকাব্দের পূর্বে সঙ্ঘটিত হইয়াছিল। ইহা অত্যন্ত বিখ্যাত হইলেও গ্রন্থে ইহাদের বিবরণ কিছুই লিখিত হয় নাই। ৩য় ও ৪র্থটি ১৪১৬ শকাব্দের পূর্ববৰ্ত্তী কালে ঘাঁটিয়াছিল, গ্রন্থে তাহাদিগের ২। উল্লেখ দৃষ্ট হয় ; সুতরাং ১৪১৬ শকাব্দকে গ্ৰন্থ-রচনার কাল বলিয়া নির্দেশ করিলে কোন ঐতিহাসিক ঘটনার সহিত বিরোধ হয় না । গ্ৰন্থ কোন সময়ে সম্পূর্ণ হইয়াছিল, তদ্বিষয়ে কোনও ভাণিতি গ্রন্থের কোথাও দৃষ্ট হয় না। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর । বিজয়গুপ্তের পরিচয় । গ্ৰন্থ কর্তা বিজয়গুপ্ত বৈদ্যাকুলে জন্মিয়াছিলেন। যে স্থানেই তিনি স্বীয় নামের উল্লেখ করায়াছেন, প্রায়শঃ সেই স্থানেই নামের পূর্বভাগে “বৈদ্য” শব্দটীর ব্যবহার করিয়াছেন। যথা :- ১ । “বৈদ্য বিজয়গুপ্তে গায় মনসার গীত ।” ২। “বৈদ্য ৰিজায়গুপ্তে কয়, হৈল ভাবের উদয় ।” ৩ । “বৈদ্য বিজয়গুপ্তে কহে সুরস পাঁচালী ” 嗜 ৪ । “বৈদ্য বিজয়গুপ্তে পুজে মনসার পায়।” ইত্যাদি প্রকারের ভণিতি প্ৰায় প্ৰতি পৃষ্ঠাতেই দৃষ্ট হয়। সুতরাং তিনি যে বৈদ্য ছিলেন, তাহ নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে। 弘 তাহার উপাধি “সেন গুপ্ত” ছিল ; এক স্থানের ভণিতি দেখুন - “মনসার শ্ৰীচরণ, শিরে করি আভরণ বৈদ্য বিজয়গুপ্ত সেনে ভাবে।” বোধ হয় “গুপ্ত” উপাধিটা বৈদ্য সাধারণের ব্যবহাৰ্য বলিয়া উপাধিবোধক শব্দের পূৰ্ব্বেও ১. *সেন” উপাধিটি কৰিয়বিশেষ উপাধি বলিয়া উহা পক্ষাৎ ব্যবহৃত হইয়াছে।