পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bg মাতৃভক্তি ও মাতৃ উপাসনাতেই সন্তানের মুক্তি। সমালোচনাঙ্ক । ) মানব কল্পনায় ভক্তি, গ্ৰীতি, প্ৰেম, স্নেহ ও দয়ার আদর্শ চরিত্র যাদপেক্ষা উচ্চতর, গভীরতর, মহত্তর হইত্বে পারে না, কবি-কল্পনার সেই চরম বিষ্ণুর অবতার, শ্ৰী রামচন্দ্ৰ বিভীষণকে বলিয়াছিলেন, “ইয়ং স্বর্ণপুরী লঙ্কা মিত্ৰাৰ্ম্মভ্যাং ন রোচতে, জননী জন্মভূমিশ্চি স্বৰ্গাদপি গরীয়সী।” ভগবানের মুখনিঃসৃত এই মহাবাক্য যে দেশের নরনারীকুল হাড়ে হাড়ে বুঝে, যে দেশের দেবারাধনায় “মা” অথবা “মাতঃ’ শব্দটী বীজমন্ত্রের স্বরূপ, আজ সে দেশের এতই দুৰ্ভাগ্য, সে দেশের লোক এতই অধঃপতিত, এতই পাপে নিমগ্ন, এমনই মোহান্ধ, এমনই জ্ঞান হারা, যে তাহাদিগকে নানা যুক্তি, নানা উদাহরণ, নানা শাস্ত্রের আদেশ দ্বারা সাতকড়ি বাবুকে বুঝাইয়া দিতে হইয়াছে যে, ‘মাতৃভক্তি এবং মাতৃ উপাসনাতেই সন্তানের মুক্তি।” বিষয়টীি যেমন কোমল ও মধুর, লেখক ও সেইরূপ ললিত মৰ্ম্মস্পর্শী ভাষায় পুস্তকখানি লিখিয়াছেন। তিনি ঠিকই বলিয়াছেন, “মা” শব্দ স্বয়ং উদ্ভূত; ভূমিষ্ট হইয়াই শিশু মা শব্দ উচ্চারণ করিয়া রোদন করে, জিহবার জড়তা প্ৰযুক্ত তখন তাহা সুস্পষ্ট হয় না। বাস্তবিক শিশুকে সব কথা-“বাবা।” দাদা’ ‘দিদি’ প্ৰভৃতি শিখাইতে হয়, কিন্তু “মা” কথাটি তাহাকে শিখাইতে হয় না। কিন্তু সাতকড়ি বাবু যে “মা” শব্দটী সমভাবে সকল ভাষাতেই বিরাজমান বলিয়াছেন, তাহা আমরা স্বীকার করিতে পারিলাম না। বুৎপত্তির অনেক সাদৃশ্য আছে বটে, কিন্তু “মা” র মত এত স্নেহভরা, এত শান্তিপূর্ণ, এমন অভয়প্ৰদ শব্দ ভাষান্তরে দেখা যায় য়া। অন্তরের অন্তরতম প্রদেশ হইতে করুণা-মমতা-দয়া-বিজড়িত ভাবের এমন অভিব্যক্তি কি ইংরাজের Mamma, আরবীয়ের “উমী, পারসীকের ‘নেন, উর্দুভাষীর ‘আন্মা" শব্দগুলিতে হইয়া থাকে ? বুৎপত্তি ধরিলে মাতার গুরুত্ব সকল দেশের সকল ভাষাতেই প্রমাণিত হয় ঘটে, কিন্তু সংস্কৃত ও বাঙ্গালা ভাষা যেমন পুর্ণভাবে উহ প্ৰমাণ করে, অন্য কোন ভাষাতে ততটা করে না। যাহা হউক, যাহার অপেক্ষ নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসিতে পিতাও পারেন না, পতিপ্ৰেমে তন্ময়া সাধবী, পতিব্ৰতা রমণীরও নিঃস্বার্থ ভালবাসা যে স্নেহের নিকট পরাজিত, যাহার কষ্ট, যন্ত্রণা, ধৈৰ্য্য, সহিষ্ণুতা ও চিন্তার ঋণ সমস্ত জীবনেও কিছুতেই পরিশোধ করিতে পারা যায় না, যাহারামত ক্ষমা কেহ করিতে পারেন না, সেই মাতার প্রতি, সেই মহাদেবীর প্রতি আমাদের ভক্তি দিন দিন হ্রাস হইতেছে কেন ? কি জন্য মাতার এত লাঞ্ছনা, মাতার এই দুৰ্দশা, মাতার প্রতি এতাদৃশ অবজ্ঞা বাড়িতেছে ? আমরা দিন দিন পত্নীসৰ্ব্বস্ব ও পত্ন্যৈকমন হইতেছি বলিয়াই কি এই অনর্থ ঘটিতেছে না ? 本 বৰ্তমান নিয়মাবলী স্থির হইবার বহু পূর্বে এই প্ৰবন্ধ পরিষদে প্রেরিত হয়, সেই জন্য বৰ্ত্তমান । নিয়মের বিরুদ্ধ হইলেও প্রকাশিত হইল। সী, প, সী।

  • जैनडक.िcशवाभी अनौड। भूला। छानि अनि। भाज।