পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Q o সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ थांव । ফলও হাতে হাতে ফলিতেছে। আমাদের অকৃতজ্ঞার, আমাদের দুৰ্ব্ববুদ্ধিতার ফল আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ভোগ করিতেছি। অকৃতজ্ঞতা অপেক্ষা পাপ বুঝি আর জগতে নাই। যতদিন আমরা মাতার কৃতজ্ঞ সন্তান ছিলাম, ততদিন আমাদের মন বিশাল, উন্নত ও প্রশস্ত ছিল। সেই উদার, বিশাল হৃদয়ে তখন যেন আনন্দ ধরিত না, উছলিয়া পড়িত। প্ৰতি কাৰ্য্যে, প্ৰতি কথায়, ੭.੧ মাতৃ-আজ্ঞা বহন করিয়া আমরা কৈবল যে ধন্য হইতাম, পবিত্ৰ হইতাম, পরকালের কাৰ্য্য করিতাম, তাহা নহে, আমাদের মন তখন সৰ্ব্বদাই তেজে S uBDBBD uDBB KBBSS BB BuuSBDDu uDuDBB BuBB DBDB DBBS SBDD0 BD BB BDBDBDBDBDO আছে ? মাতৃভক্তের সকল কাৰ্য্যেই অদম্য উৎসাহ, বিপুল তেজ, অমিত ভরসা। আর মাতৃভক্ত মাতৃনাম স্মরণ করিয়া প্ৰতিকাৰ্য্যেই সফল-মনোরথ হন । সে এক দিন ছিল ! কিন্তু এখন ? এখন মাতার প্রতি যতই আমাদের অবজ্ঞা বাড়িতেছে, যতই তাহাকে আমরা কোন কাৰ্য্যে, কোন পরামর্শে ডাকি না, তঁহাকে জানাইয়া কোন কাৰ্য্য করিতে ঘুণ বোধ করি, যেন তিনি আমাদের শত্ৰু, তঁহার দ্বারা যেন কতই অনিষ্ট হইবে এবং সকল কাৰ্য্য পণ্ড হইয়। যাইবে, এই ভাবিয়া ভঁহিকে যতই অবজ্ঞা করি ও সীমান্য পালনীয়ার মধ্যে গণ্য করিয়া রাখি, তােতই আমাদের দুর্দশার পরিসীমা থাকে না। প্ৰত্যেক কাৰ্য্যে এক টাকার স্থলে দশ টাকা ব্যয় হয়, এক দিনের কাৰ্য্য দশ দিনে হয় না ; সকল কাৰ্য্যে বাধা, বিয়, বিপত্তি, উপস্থিত হয়। এখন কোথায় বা কাৰ্য্যের শৃঙ্খলা, কোথায় বা কাজের বঁাধুনী। কেবল তাহাঁই নহে, আমাদের মনও দিন দিন সঙ্কীর্ণ ও নীচ হইয়া যাইতেছে ; সদাই মনে অশাস্তি ও অসুখ বিরাজ করিতেছে চিত্তের সে ड्री। আনন্দই বা 'কোথায়, সে আত্মপ্রসাদই বা কই! কোন কাৰ্য্যে আর তেমন উৎসাহ নাই, তেজ নাই, সাহস নাই। কাৰ্য্যানুষ্ঠানের পূর্বেই সন্দেহ, সঙ্কোচ, ভয় ও নৈরাশ্য মনকে ; অভিভূত করিয়া ফেলে। যেখানে ভক্তি নাই, সেখানে ভরসাও নাই, সাহসও নাই। যেখানে সাহস নাই, সেখানে উৎসাহ ও তেজ থাকিবে কিরূপে ? সেই খানে যে ভয় ও নৈরাশ্য স্বতঃ আসিয়া স্বীয় রাজ্য বিস্তার করে। কিন্তু কেন আমাদের এ দুৰ্ব্ববুদ্ধি ঘটিল, কেন আমরা হাতের লক্ষ্মীকে পায়ে ঠেলিলাম! ইহার কয়েকটী কারণ আমাদের অন্তরে উদয় হইয়াছে। ১ম, আমরা অধঃপতিত,লক্ষ্মীছাড়া হইতেছি বলিয়াই লক্ষ্মী-শ্ৰীর প্রধান নিদর্শন মাতৃভক্তি ক্ৰমে ক্ৰমে আমাদের অন্তর হইতে বিলুপ্ত হইতেছে। ২য়, আমাদের সমাজের অধঃপতনের সহিত সমাজের অঙ্গ যে মাতা তাহারও অধঃপতন ঘটিয়াছে। মাতার সে নিঃস্বাৰ্থ ভাব, সে বিপুল উদারতা, মনের সে সমুদ্রসদৃশ প্রশস্ততা তেমন আর নাই ; আদর্শ হিন্দুর রমণীর মহান ধৰ্ম্মভাব হইতে তিনি কিয়ৎ পরিমাণে বিচু্যত। তাহার মনে ঈর্ষা, দ্বেষ, হিংসা ও সঙ্কীর্ণতা প্ৰবেশ করিয়াছে। পুত্রবধু প্ৰভৃতি সংসারের পরিজনবর্গের প্রতি তাহার গ্ৰীতি, স্নেহ ও দয়ার পরিবর্কে অপরি মিত প্ৰভুত্ব, দুৰ্জয় শাসন ও বিষম কঠোরতা লক্ষিত হইতেছে। r