পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা। [ कलैिंक। করিয়া তাহাকে “অট্টালিকা’ ( ਬਰੋਜ করা ) নামে অভিহিত করিলেন ; তাহার মনে হইল, যেন দ্বিতল ও ত্রিতল গৃহ সৌধগৌরবে গর্বিত হইয়া কুটীরকে উপহাস করিতেছে। আবার গৃহভিত্তিতে কতকগুলি ছিদ্রের গো-অক্ষির সহিত সাদৃশ্য দেখিয়া উহাদিগকে “গবাক্ষ’ নাম প্ৰদান করিলেন। উপমায় মনের ভাব আঁতি বিশদরূপে প্ৰকাশিত হইয়া থাকে ; উপমায় মনোভাব ব্যক্ত করা মনুষ্যের স্বাভাবিক রুচি ; সেই জন্য অনেক সাধারণ শব্দে ঐ রুচির পরিচয় পাওয়া যায়। যে ব্যক্তি বহু যত্নসহকারে কোন শাস্ত্ৰ আদ্যোপান্ত শিক্ষা করিয়া তাহাতে বুৎপত্তিলাভ করিয়াছেন, তঁহাকে আমরা সেই শাস্ত্ৰে ‘পারদর্শী’ বলিয়া থাকি, অর্থাৎ তিনি সেই শাস্ত্ৰ-জলধির অপর পারে উৰ্ত্তীর্ণ হইতে সমর্থ হইয়াছেন। ইচ্ছা বা বাসনার আর একটী নাম ‘মনোরথ” ; এই মনোরথ শব্দের কি চমৎকার সাদৃশ্যগত উজ্জলভাব সম্বদ্ধ রহিয়াছে! বাসনা মনের রথ ; এই বাসনা-রথে আরোহণ করিয়া মন সৰ্ব্বত্ৰ গমন করে, কখন ঐশ্বৰ্য্যে মত্ত হইয়া রাজসিংহাসনে গিয়া উপবিষ্ট २१, কখনও বা শুদ্ধাচার তপস্বীর ন্যায় বৈরাগ্য অবলম্বন করিয়া বনে বনে বিচরণ করে s ফলতঃ এই বাসনারূপ যানে আরোহণ করিয়া মন সর্বত্রই গমন করিয়া থাকে। উপমাস্থলে “শাখা” শব্দটীর আমরা বহুল ব্যবহার করিয়া থাকি, যথা—“শাখা-নদী’, ‘শাখানগর’ , ‘শাখা-সমিতি’ , ‘শাখাবিদ্যালয়” ইত্যাদি । “রত্ন” একটি শ্রেষ্ঠ পদার্থ ; ইস্থার নাম করিলে আপনা হইতে মনোমধ্যে উৎকৰ্ষসূচক ভাবের আবির্ভাব হয়। সেই জন্যই আমরা শ্রেষ্ঠ কবিকে “কবিরত্ন”, শ্রেষ্ঠ স্ত্রীকে “স্ত্রী-রত্ন” বলিয়া থাকি। বিক্ৰমাদিত্যের “নবরত্ন” এই উৎকৰ্ষার্থের উজ্জল উপমাস্থল। রত্ন শব্দ যেমন উপমাস্থলে কান্তগুণব্যঞ্জক, সিংহ শব্দ সেইরূপ দৈহিক শক্তি, বীৰ্য্য, পরাক্রম প্রভৃতির পরিচায়ক। সেই জন্য সমর-কুশল রাজপুতগণের মধ্যে “সিংহ” উপাধি প্ৰচলিত আছে। খ্যাতনামা গুরু-গোবিন্দ তাহার শিখ শিষ্যদিগকে একত্র করিয়া যুদ্ধকাৰ্য্য ও বীরত্বের পরিচয়সুচক সিংহ উপাধি প্ৰদান করিয়াছিলেন। এই রূপে যুদ্ধবিশারদ বীরগণ সিংহের মহাকবি কািলদাসীক্ষািধূতিভাত হইয়াছিলেন। “এঞ্জো, কথাৰু, ব্যবহার করিয়া থাকি। অরণ্যের সহিত • WTN Np *v MW v স্তথা পরেষাং যুধি চেতি পার্থিবঃ । অর্থ প্ৰকাশ অবেক্ষ্য পাতো গমনার্থমর্থবি- vn বহুলোক - ; फ्रकांद्र नांभl ब्रशूभांभ्रश्नडदभ्॥ । । উপমাগত নামে কবিত্ব থাকিবারই কথা। সূৰ্য্য অন্তাচলে গমন ককি বলিয়া ধরাতলাকে স্পর্শ করে, তখন লোহিত, শ্বেত বা পীতবর্ণের পুনর্জাতি * মণির ন্যায় শোভা পাইয়া থাকে। এই মনোহর দৃশ্য অবহিজে 'মণি আখ্যা প্ৰদান করা হইয়াছে। সন্ধ্য এই মণি ৰে