*न •७१७ ] কবি উদ্ধবানন্দ R>NO “চাতকীরে দয়া করি করাহ গমন । বৈদ্যরাজ-বেশ ধরি দেহ, দরশন ৷” গ্রন্থের নায়িকা শ্ৰীমতী রাধিকা, একে নাবালিকা,-তাহাতে আবার শ্ৰীকৃষ্ণর আদর্শন জন্য র্তাহার সমধিক মনঃকষ্ট । তাই নারদ মুনি “ফি” না লইয়াই, এখনকার সখের সেনারা, যেমন স্বেচ্ছায় রণোন্মাদে উন্মত্ত হয়, সেইরূপ •স্বেচ্ছা-পূর্বক ও কালত-নামা লইয়াছিলেন। মোকদ্দময় জয় লাভ করিয়া শ্ৰী রাধা, তঁহাকে কয় মোহর দিয়াছিলেন, কেবল তাহাই আমাদের অগোচর রহিয়া গিয়াছে। এখানে পুরাতত্ত্ব-বিদগণেরও দৃষ্টি ব্যাহত । ইহার ছন্দোদোষ অশেষ না হউক, কতকটা যে দোষাবাহ, তাহাতে সন্দেহ নাই । অক্ষরের সমতা কোথাও আছে, কোথাও কোথাও বা তাহার বৈলক্ষণ্য। একটা দৃষ্টান্ত দিলাম:- “বৈদ্য বলে বায়ুদোষ ছোকিয়াছে তঁারে। ভাগ্য-বলে আজি আমি আইলাম তোমার ঘরে ৷” এই কবিতার প্রথম চরণে পয়ারের সচরাচর-প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ১৪ চৌদ্দ অক্ষর আছে। শেষ চরণে কিন্তু ১৭ সপ্তদশ অক্ষর। এটী কবির নিজের ত্রুটি, কি লিপিকরের অনবধানতা, তাহা এক বিচাৰ্য্য বিষয়। আমাদের বিবেচনায় ইহা শেষোক্তেরই ত্রুটি-মাত্র। উল্লিখিত কবিতার দ্বিতীয় পাদ হইতে “আমি” শব্দ বিলুপ্ত করিয়া দিলে, ছন্দঃপাত ঘটে না। অধিকন্তু উহাতে না ব্যাকরণ-দোষ, আর না। অর্থ হানি, কিছুই হয় না। এই নিয়মে শব্দ বর্জিত করা সাধীিয়ান কি না, এখানে এই এক প্রশ্ন উঠিতে পারে। সে কথার সিদ্ধান্ত পরে হইবে। তথাপি দেখা যাইতেছে, এক বর্ণের আধিক্য থাকিয়া যাইতেছে। তাহারও ব্যবস্থা করা যাইতে পারে। “তোমার ঘরে” পরিবর্তে “তোমা ঘরে” ধরিয়া লইলে সকল দিক বজায় থাকে। এখানেও এক-মাত্র বর্ণ অর্থাৎ “র” বর্জিত হইলে, আপদের শান্তি হয়। * প্ৰকৃত ব্যাপার গোপন করা মহাপাপ। সদোষকে নির্দোষ বলা, যেমন দূষণীয়,- শ্বেতকে কৃষ্ণ বলিয়া ঘোষণা করাও তেমনই নিন্দনীয়। ক্রটি লুক্কায়িত রাখার চেষ্টার মত, গুরুতর অপরাধ আর নাই । আর এক স্থানেও এই প্ৰকার অক্ষরাধিক্য দোষ রহিয়াছে। সুতরাং-উহা আমাৰ্জনীয়। একটী-মাত্র ত্রুটি ধৰ্ত্তব্য নয়। কেন না, উহা তাদৃশ দোষাবহ নয়। দ্বিতীয় দোষের দৃষ্টান্ত পশ্চাৎ উদ্ধত হইল,- “যাহারে ভাবিছ তুমি, গোলক ছাড়ি আইলাম আমি এক বার দরশন দেও।” - “গোলক ছাড়ি আইলাম আমি” এই অংশে অধিক অক্ষর আছে। ওখানে তিন অক্ষয় বেশী। পুৰ্ব্ব-চরণে ৮ আট অক্ষর, আর পর চরণে ১১ একাদশ অক্ষর। ইহারও কি কোন DBDBD BDBD DSS BB DDDBS D DBDB BB DBD D SDBBBDS uDBD LLrD করিলেও একটীমাত্র বর্ণের নূ্যনত হয়। তথাপি দুই বর্ণের আধিক্য থাকিয়া যাইতেছে। সুতরাং কষ্ট কল্পনার আশ্ৰয়-লইয়া যদি বলা যায়, লিপিকর এলাম’ পরিবর্তে নিজ-বুদ্ধি-দোষে
