পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A S8 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ কাৰ্ত্তিক । “আইলাম” লিখিয়াছে;-এতাদৃশ অনুমান করা বৃথা । কৃত্তিবাস ও কাশীদাস, পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার মহাশয়ের হস্তে যেরূপে বিচারিত হইয়াছিলেন, আমরাও যদি তর্কালঙ্কার মহাশয়ের ন্যায় নিজেকে তৎস্থানীয় ভাবিয়া লইতাম, তাহা হইলে “গোলোক হাড়ি আইলাম আমি” এই অংশের পরিবর্তে ‘গোলোকের হরি আমি এইরূপ করিয়া দিয়া ছন্দোরক্ষায় উদ্যোগী হইতাম। র্যাহারা ছন্দঃপাত-দোষে দোষী, অনেক আলঙ্কারিকেই তাহাদিগকে অভিশাপ দিয়া অধঃপতিত করেন। এই কঠোর দণ্ডাজ্ঞায় আমরা সায় দিতে অসমর্থ। তাহা না করিয়া আমরা বলি, ওরূপ ছন্দঃপতন থাকাতেই বোধ হইতেছে, এই কবির গ্ৰন্থ, যথাবৎ রহিয়াছে। অদ্যাবধি কাহারও হস্তম্পর্শে উহা কলঙ্কিত হয় নাই। উহা আকরিক হীরক-সদৃশ স্বাভাবিক অবস্থাতেই আছে। এমন স্থলে কাহারও কর-স্পৰ্শ ঘটিলে, মূল বস্তু সংস্কৃত বা মার্জিত হয় না ; কিন্তু দূষিত ও বিষাক্ত হয়। বৃকভানু রাজার বৈদ্য-নিকটে অঙ্গীকার এইরূপ :- “রাজা বলে কন্যা যদি পায় চক্ষুদান। সেই কন্যা তোমারে করিব সম্প্রদান ৷” । বর্ণনার পরিপাটীও, এই ক্ষুদ্র কাব্যের এক মহাগুণ । যেমন “একলা আছয়ে গৃহে গৰ্ভবতী নারী। ना खानि कि ऐश्ल नि6ांद्रिष्ठ नांब्रि ।” নারী অর্থে স্ত্রীলোক, পত্নী। এখানকার প্রথম নারী, বনিতা-অর্থে ব্যবহৃত । শেষ “নারি” পদ্যেই প্রযুক্ত হয়। উহার অর্থ ‘পারি না”। “শিরমন্ত্ৰ” (৫) শব্দের অর্থগ্রহ, আমাদের বুদ্ধির অনধিগম্য। নানাস্থানে শব্দার্থ এবং পদবিন্যাসাদির অবধারণে আমাদিগকে অতিশয় ক্লেশ পাইতে হইয়াছে। প্ৰথমেই লিপিকরপ্ৰমাদে বিলক্ষণ দায়ে ঠেকিতে হইয়াছিল। ইহার দুইটী দৃষ্টান্ত দিতেছি। (১) “গণিত কাঞ্চন জিনি, রাত্র বরণ খানি।” (২) “শ্ৰীরাধিকার জন্ম-কথা শুন সাবধানে। “শ্ৰীগুরুরষ্টব পদ ভজ একমনে ৷” “গণিত কাঞ্চন জিনি রাত্রাবরণ খানি” এই অংশের পরিবর্তে “কষিত কাঞ্চন জিনি গৗত্রাবরণ খানি” এই পাঠ, আমরা স্থির করিয়াছি। জানি না, উহাতে কোন দোষ ঘটিয়াছে কি না। প্রথমতঃ আমরা “শ্ৰীগুরুর” ও “ষ্টব৷” এইরূপ পদ-বিশ্লেষণ করি। তাহাতে অর্থগ্ৰহ হইল না। পরে ‘শ্ৰীগুরু” ও “রষ্টব” দ্বিধা বিভক্ত করিয়া লইলাম। তাহারও · (৫) নারদ আয়ি ডাকে, শিরমন্ত্র হইয়া থাকে, । চিত্ৰ-পটে আকার না নড়ে । অঙ্গ হৈল পুলকিত, দেহে নাহি সন্বিত । হাতে হৈতে বীণা খসি পড়ে ; , , ,