পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミレ-8 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । माघ । যদি চন্দ্রের লম্ব অর্থাৎ বিক্ষেপের কোটি ক্রান্তির সমান বা কম হয় এবং দর্শকের বাসস্থানের অক্ষাংশ এবং ক্রান্তি যদি এক জাতীয় অর্থাৎ এক দিকস্থ হয়, তবে অপ্রধান জোয়ার ঘটনা এবং অক্ষাংশ ও ক্রাস্তি যদি ভিন্ন জাতীয় হয়, তবে প্রধান জোয়ার ঘটে নু। 喹 মেরুদ্বয়ে দৈনিক উচ্ছাস হয় না। তথায় কেবল দুইটী মাসিক জোয়ার হয়। চন্দ্ৰ বিষুবমণ্ডলে থাকিলে ভাটা পড়ে। চন্দ্রের অবস্থান ভেদে যেরূপ জোয়ারের ভেদ দৃষ্ট হয়, সুৰ্য্যের অবস্থান ভেদেও সেইরূপ cडल झूठे श् । ৯। জলোচ্ছাসের পক্ষে স্থানীয় ব্যাঘাত। যদি নিখিল ভূমণ্ডল পূর্ণগোলাকার হইত, বিনা ব্যবধানে সুগভীর সমতল সাগর বেষ্টিত হইত, তৰে জলোচ্ছাস সম্বন্ধে যে সকল ব্যাপারের গণিতগত কালাদির উল্লেখ করা গেল, সে সকল ব্যাপার যথাযথারূপে যথাযথাকলে ঘটবার কোন ব্যাঘাত থাকিত না। কিন্তু বস্তুতঃ ভূপৃষ্ঠের দশ আনামাত্র জলপূৰ্ণ এবং তাহারও স্থানে স্থানে গভীরতা একমাইলের অধিক হইবে না। অতএব বেলার বক্রভাব, সাগরতলের বন্ধুরতা, বায়ুর কাৰ্য্য, লোতের বেগ, কুল, তল ও জলের সংঘর্ষণ ইত্যাদি বিবিধ কারণ বশতঃ দৃগৃগত ও গণিতগত জলোচ্ছাসের একতা প্ৰায় সহজে ঘটে না। আটলাণ্টিক মহাসাগরের একদিকে সুমেরু হইতে নিরক্ষাবৃত্ত অতিক্রম করিয়া বহুদূর দক্ষিণাভিমুখে বিস্তৃত আমেরিকা, অপর দিকে যুরোপ আফ্রিকা মহাদেশদ্বয়। আটলাণ্টিক সাগরোভূত উচ্ছাস তরঙ্গের অপ্রতিহতরূপে পৰ্য্যটনের উপায় নাই। উত্তর ভূগোলে আটলাণ্টিকের প্রবাহ প্ৰশান্তমহাসাগরে বিদ্রুত হইবার এক বেরিংপ্ৰণালী ভিন্ন উপায়ান্তর নাই, কিন্তু এই প্ৰণালী ৩৫ মাইলমাত্র চওড়া, সুতরাং উত্তর পথাবলম্বনপুৰ্ব্বক আটলাণ্টিক তরঙ্গের প্রশান্তমহাসাগরে প্রবেশ অসাধ্য। দক্ষিণ আমেরিকার অন্তে হরণ নামক যে অন্তরীপ, তাহা নিরক্ষাপ্রদেশ হইতে ৫৬ মাইল দক্ষিণে, তাহার দক্ষিণে দ্বীপমালা, আরও দক্ষিণে জলমগ্ন মহাদ্বীপের লক্ষণ দৃষ্ট হয়। অতএব সাগরোচ্ছাসের পক্ষে প্রসারিত হইবার জন্য সৰ্ব্বদক্ষিণে একটা সঙ্কীর্ণ পথমাত্ৰ আছে এবং এ পথ দিয়া উচ্ছাসতরঙ্গ পুর্বাভিমুখে প্রবাহিত হয়, সুতরাং আটলাণ্টিকের জল কোনরূপে প্ৰশান্তমহাসাগরে সঞ্চারিত হইতে পারে না। 强 • ১০ । সমসাময়িক উচ্ছাস রেখা। গণিতগত উচ্ছাসের কাল ও উচ্চতা এই দুইএর কোনটাই পূর্বোক্ত অন্তরায়সমূহ সত্ত্বে দৃক সিদ্ধ হওয়া সম্ভব নহে, ক্ষমতএব কোন স্থানে কোন সময়ে কি পরিমাণে জোয়ার ভঁাটা হয়, তাহা ঠিক জানিতে হইলে পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে হয়। পৰ্য্যবেক্ষণের ফল সহজে জানিবার এই এক উত্তম উপায়। ভূমণ্ডলে যে যে স্থানে যুগপৎ জোয়ার হয়, ভূচিত্রে সেই সেই স্থান দিয়া রেখা টানিয়া সেই রেখার উপর সময় লিখিয়া রাখুন। এরূপ রেখা সকলকে সমোচ্ছাস রেখা বলা যায়। ১১। উচ্ছাস তরঙ্গের উৎপত্তি-স্থান । উক্ত রূপ চিত্রদর্শন করিলে উপলব্ধি