পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\oo S সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা, । मशि । 게TF সুবতার, 57 অনিবার, পবনে না পায় লাগ ৷ বাল্যাণ্ডা বালিয়া, যে ছিল চলিয়া, আইল পাইঘাটী আর । মেদনমলে, বাঘেরা সকলে, সাজিয়া চলিল আগে । বরিাদহাটী ময়দা, তাহাতে জেয়দা, दिङ ख्र ङझ व्ां८% ॥ ८वश्व्ा भf९४द्रा বলবান বাঘেরা, গিয়াছে রায়ের কাছে। গাজীর অল্পে, অল্পে অল্পে, আইসে যে যে আছে ৷ এই কবিতার লিখিত বাল্যাণ্ডা, বালিয়া, পাইঘাটী, মেদনমল, ময়দা, বরিাদহাটী, মাগুরা প্রভৃতি স্থানগুলি সুন্দরবনের উপকণ্ঠস্থ গ্রামের নাম । ঐ গুলি এখনও ঐ নামেই সাধারণের নিকট পরিচিত। বেহালা মাগুরা পরগণার অন্তর্গত বড়িশার নিকটবৰ্ত্তী বৰ্দ্ধিষ্ণু গ্ৰাম। কবি বাঙ্গালা শব্দে ফারসীর বহুবচন যোগ করিয়া গিয়াছেন,-“নালনান বাঘারান।” ( বাঙ্গালায় বাঘান হওয়া উচিত, কিন্তু চাকরাণ জমাদারান প্ৰভৃতি শব্দের সাহায্য দেশে এরূপ হইয়াছে বোধ হয় । ) এতদ্ভিন্ন, কসুর, গোলাম, জওয়াব প্রভৃতি শব্দের दश्य वादशद्ध अछि । কবি কৃষ্ণরাম যে কেবল পীর গাজীর মুখেই ভাঙ্গা, ভাঙ্গা উর্দু, কবিতা ব্যবহার করাইয়াছেন তাহা নহে ; তুরঙ্গ-সহরের ঘাটােয়াল ও কোটালের মুখেও ঐ ভাষা প্ৰয়োগ করিয়া গিয়াছেন, ইহাতে আমরা বলিতে পারি যে বিভিন্নভাষা ব্যবহারে কাব্যের শ্ৰীবৃদ্ধি হয় এ বিশ্বাসও কবির ছিল এবং কবিও নিজে সংস্কৃত ও ফারসী জানিতেন তাহা প্রমাণিত হয়। সংস্কৃত জ্ঞানের প্রমাণ স্বরূপ ইহাতে কতকগুলি অপ্রচলিত শব্দ মাত্র পাওয়া যায়। যেমন অনডুহ। পুথি খানিতে একটি বিশেষত্ব দেখা যায়। লিপিকারের “ফ” বর্ণাটীৱ উপর কিছু বীতরাগ। ইহাতে যেখানে “ফেলা” ক্ৰীয়ার কোন পদ ( ফেলিল, ফেলৈ, ফেলাইল লিখিত হইয়াছে, সেই খানেই “ফু” র পরিবর্তে “পা” লিখিত হইয়াছে, কিন্তু “ফণি”, “ফণা” প্রভৃতি শব্দ লিখিতে “ফ” ই ব্যবহৃত হইয়াছে, “প” নহে! রায়মঙ্গল সম্বন্ধে এই পৰ্য্যন্ত । কিন্তু প্ৰচলিত আর একটী মাত্ৰ কথা বলিয়া অদ্য প্ৰবন্ধ উপসংহায় করিব। কবি কৃষ্ণরামের *কালিকামঙ্গল” নামে আর একখানি কাব্য পাওয়া গিয়াছে। সে কাব্যের গল্প শংই বিদ্যাসুন্দরের গল্প। পণ্ডিত হরপ্ৰসাদ শাস্ত্রী সাহিত্যপত্রিকায় কবিকৃষ্ণরাম সম্বন্ধে যে প্রবন্ধ লেখেন, তাহতে তিনি প্রমাণ করিয়া দেখাইয়া”