পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NSD obro সাহিত্য-পরিষৎ-পত্ৰিক । ( भाव । মহারাষ্ট্রট ভাষা । এই ভাষাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়, প্রাচীন এবং আধুনিক। প্রাচীন ভাষাটী দুই সহস্ৰ বৎসর পূর্বে প্রচলিন্ত ছিল। গিরিগাত্রে উৎকীর্ণ প্রাচীনতম লিপি হইতে এই ভাষার কতকটা দৃষ্টান্ত পরিলক্ষিত হয়। শালিবাহন রাজার “গাথা সপ্তশতী” প্রথম শকাব্দে, এই প্রাচীন ভাষাতে লিখিত । ইহা সংস্কৃত মূলক এবং ইহাই প্ৰাকৃত ভাষা। এই ভাষার দৃষ্টান্ত কালিদাসাদি কবি-বিরচিত নাটক ও অন্যান্য গ্রন্থে দেখিতে পাওয়া যায় । দৌলতাবাদের যাদববংশীয় রাজাদের রাজত্বকালে, আধুনিক ভাষার অত্যুদয় হইয়াছিল। ১১১৩ হইতে ১৩১৩ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত যাদব বংশীয় রাজগণ রাজত্ব করিয়াছিলেন। ইহাদের মধ্যে জৈত্র পাল এবং রামদেব সাহিত্যের উৎসাহদাতা ছিলেন। জৈত্র পালের রাজত্বকালে ১২০০ খৃষ্টাব্দে, মহারাষ্ট্রের প্রথম কবি মুকুন্দরাজ প্ৰাদুৰ্ভত হইয়াছিলেন। ইনি তিন খানি কাব্য রচনা করিয়াছিলেন। কাব্যগুলির নাম-বিবেকসিন্ধু, পরমামুত এবং মূলস্তম্ভ। প্রথম দুখানি তত্ত্ববিষয়ক। তৃতীয় খানি, মহাদেবের গুণকীৰ্ত্তনে পরিপূর্ণ। ইহার পর, নামদেব এবং জ্ঞানদেব প্রাদুর্ভূত হন। নামদেব ১২৭০ এবং জ্ঞানদেব ১২৭৫ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। নামদেব অভঙ্গ রচনা করিয়া থ্যাতি লাভ করিয়াছিলেন । ইহার রামদেব রাজার রাজত্বকালে বৰ্ত্তমান ছিলেন। ভগবদগীতার ব্যাখ্যা, যাহা জ্ঞানেশ্বরী নামে বিখ্যাত, জ্ঞান দেবের প্রধান গ্ৰন্থ, এতদ্ভিন্ন তিনি অমৃতানুভব (বেদ ও উপনিষদের সার-* ংগ্রহ), পবনবিজয়, যোগবশিষ্ঠের টীকা, পঞ্চীকরণ, হরিপাঠ, শ্ৰীবিঠল। বৰ্ণন এবং আলন্দী মাহাত্ম্য রচনা করিয়াছিলেন। জ্ঞানদেবের ভ্ৰাতা নিবৃত্তি এবং সোপান এবং তঁকুর ভগ্নী মুক্তাবাইও কবিতা লিখিতে পারিতেন। Ot জ্ঞান দেবের পর, বহুকাল কোন কবির প্রাদুর্ভাব হয় নাই । ত্ৰয়োদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে মুসলমানগণ দক্ষিণাপথ আক্রমন করে এবং দৌলতাবাদ অধিকার করিয়া তাহাদের প্ৰভুত্ব স্থাপন করে। রাজার উৎসাহ অভাবে, ভাষার অনুশীলন হইতে পারে নাই, এবং এই জুন্য কোন কবির আবির্ভাব হয় নাই। ১৬শ শতাব্দীতে, মহারাষ্ট্ৰীয়ের স্বাধীনতা লাভ করিলে, কবিগণ দেখা দিতে লাগিলেন । প্রথমে একনাথ মহারাজ প্ৰাদুৰ্ভত হইলেন। ইনি ১৫৪৮ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি মূল সংস্কৃত হইতে মহারাষ্ট্র ভাষায় শ্ৰীমদভাগবত অনুবাদ করিয়াছেন, তাহ একনাখী ভাগবত বলিয়া বিখ্যাত । এতদ্ভিন্ন, একনাথ রুক্মিণীস্বয়ম্বর, ভাবাৰ্থরামায়ণ, আত্মসুখ, হস্তামলক এবং আনন্দ লহরী প্রণয়ন করিয়াছিলেন। কাব্যগ্রন্থ রচনা ব্যতীত ইনি ধৰ্ম্মপ্রচার এবং সমাজ সংস্কার কার্য্য ব্যাপৃত থাকিতেন। ১৬০৯ খীষ্টাব্দে একনাথ ইহলীলা ध० कgने ।