পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S) b~ সাহিত্য-পরিষৎ-প ত্রিকা । मांव । যাহারা সৰুল বিষয়ে ইংলেণ্ডের সহিত এতদ্দেশের তুলনা করিতে চাহেন, তাহারা সদযুক্তির সন্মান কতদূর রক্ষা করেন, বলিতে পারা যায় না। ইংলণ্ডের সাহিত্য পরকীয় শক্তিতে পরিচালিত না হইয়াও দ্রুতবেগে উন্নতি পথে অগ্রসর হইয়াছে। ইংলেণ্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সময়ে ইংরেজীর সুসন না থাকিলেও ইংরেজী সাহিত্যের আলোচনায় কোনরূপ ব্যাঘাত জন্মে নাই। এই দৃষ্টান্ত দেখাইয়া কেহ কেহ বলেন যে, বাঙ্গালা সাহিত্যকে সঞ্জীবিত ও সম্প্রসারিত করিবার জন্য পরকীয় শক্তির প্রয়োজন নাই। বাঙ্গালী সাহিত্য স্বতঃসস্থত শক্তিতেই উন্নত ও শ্ৰীসম্পন্ন হইবে। এই যুক্তি স্বাধীনদেশের পক্ষে প্রয়োগ করা যাইতে পারে। কিন্তু পরকীয় শাসনে পরিচালিত-পরকীয় ভাবে আত্মবিস্মৃতি দেশের পক্ষে উহা চলিবে না। ইংলণ্ড নৰ্ম্মানদিগের অধিকৃত হইলে নৰ্ম্মান ভাষা ইংলণ্ডে প্রচলিত হয়। শেষে এই ভাষার পরিবর্তে ইংরেজী চালাইবার জন্য রাজকীয় শক্তি আবশ্যক হইয়াছিল। পরাধীনতার সময়ে ইংলণ্ডে যাহা ঘটিয়াছে, এই বঙ্গদেশেই বা তাহা ঘটিবে না। এরূপ নির্দেশ করিয়া নিশ্চিন্ত ভাবে থাকা নিঃসন্দেহ জাড্য দোষের লক্ষণ, বাঙ্গালী যদি অপরের শক্তিতে আকৃষ্ট হইয়া, বাঙ্গালার আলোচনা পরিত্যাগ না করিত, তাহা হইলে বাঙ্গালা সাহিত্যের কোন ভাবনা ছিল না। কিন্তু এখন বাঙ্গালার অবস্থান্তর ঘটিয়াছে। সুতরাং এখন প্রতিকুল শক্তিকে সঙ্কুচিত করিবার জন্য অপর অনুকুল শক্তির আশ্রয় গ্ৰহণ করা আবশ্যক হইয়া खेलैिब्राहछ । 碑 ፱ * * O কর্তৃপক্ষ ও এক সময়ে এইরূপ অনুকুল শক্তিতে বাঙ্গালী দিগকে পরিচালিত कब्रिांছিলেন। বাঙ্গালী ইংরেজী ভাষায় অভিজ্ঞতা লাভ করিয়া, ইংরেজী সাহিত্যের ভাবে বাঙ্গালা সাহিত্যের উন্নতি সাধন করে, ইহা পুৰ্বোক্ত কর্তৃপক্ষের একান্ত ইচ্ছা ছিল। এ জন্য র্তাহারা বাঙ্গালীদিগকে মাতৃভাষার সেবা করাইতে সৰ্ব্বদা উৎসাহাযুক্ত করিতেন। তঁহাদের উদ্দেশ্য যেরূপ মহৎ, তাহদের কাৰ্য্যপ্ৰণালীও সেইরূপ সুশৃঙ্খল ছিল। বাঙ্গালী পরীক্ষার্থীদিগের মধ্যে যিনি উৎকৃষ্ট রচনা লিখিতেন, তাহার সেই রচনা পারিতোষিক বিতরণ সভায় প্লাঠিত হইত এবং এজন্য তিনি বিশেষ পারিতোষিক পাইতেন। মহামতি বীডন সাহেব এই মহৎ কাৰ্য্য সাধনে সৰ্ব্বদা যত্ন প্ৰকাশ করিতেন। বাঙ্গালী ইংরাজীতে পুস্তক লিখিলে তাহার নিরতিশয় বিরক্তি জন্মিত । তিনি কহিতেন, ইংরেজী সাহিত্যের কোন অভাব নাই, কিন্তু বাঙ্গালী সাহিত্যের অনেক অভাব আছে। ইংরেজীতে পুস্তক লিখিলে বাঙ্গালী ইংরেজী সাহিত্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠালাভে সমর্থ হইবে না। কিন্তু মাতৃভাষার উন্নতি সাধন জন্য বাঙ্গালী যদি সেই ক্ষমতার প্রয়োগ করেন, তাহা হইলে বাঙ্গালা সাহিত্যের উপকার হইতে পারে, এবং তিনিও সাহিত্য সংসারে সন্মান লাভ করিতে পারেন। শিক্ষাসমাজের এই উদার প্রকৃতি অধ্যক্ষ মহোদয়ের এইরূপ মহৎ উপদেশ নিৰ্ম্মফল হয় নাই ৷ মাইকেল