পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गन •००७] মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ” ԳՓ তুলিত। কিন্তু তমোগুণের প্রতিকুলতায় অন্ধকারময় খনির মধ্যস্থ রত্বের ন্যায়, তাহাতে ঐ সকল গুণের ঔজ্জ্বল্য পরিস্ফুট হইত না। এক এক বার যখন অনুতাপানল উদ্দীপিত হইয়া উঠিত, তখনই ঐ সকল গুণের বিকাশ হইত ; এবং তখনই ঐ সকল গুণ র্তাহার মহত্ত্বের পরিচয়স্থল হইয়া উঠিত। তঁহার হৃদয়ক্ষেত্রে যে সদগুণবীজ রোপিত ছিল, তাহার অন্ধুরোদগম হইলেও সেই অন্ধুর যথাকালে পরিবৰ্দ্ধিত ও ফলপুষ্পে শ্ৰীসম্পন্ন হইতে পারে নাই ।। ১ সংসারক্ষেত্রে মধুসুদন এইরূপ সৰ্ব্ববিষয়ে অতৃপ্ত, সকল সময়ে অনুতাপদগ্ধ ও সর্বস্তুলে অশান্তিতে অবসন্ন পুরুষ। কিন্তু কাব্যজগতে তিনি অমৃতময়ী বাগেদবীর পরম স্নেহাস্পদ পুত্ৰ এবং সহৃদয়সমাজে তিনি অসামান্য প্ৰতিভাসম্পন্ন, অসীম ক্ষমতাশালী, মহাকবি । সমাজের আদিম অবস্থায় মানুষ প্রায়ই কল্পনাপ্রিয় হইয়া থাকে। বেগবতী তরঙ্গিণী, সমুন্নত পৰ্ব্বত, সুচ্ছায় বৃক্ষ, অনন্ত নীল আকাশ প্রভৃতি প্ৰাকৃতিক দৃশ্য যেমন এক দিকে তঁহার কল্পনার লীলাস্থল হয়, মহত্তর বা নিকৃষ্টতর মানবচরিত্রও সেইরূপ তাহার রসময়ী কবিতার বিষয়ীভূত হইয়া থাকে। এই অবস্থায় কবিতা প্রায়ই উদ্ভাবনা, উদ্দীপনা প্রভৃতি গুণে উৎকর্ষ লাভ করে। উহা বিমল স্রোতঃস্বতীর ন্যায় যেরূপ প্ৰসাদগুণবিশিষ্ট হয়, সেইরূপ আবেগময় হইয়া থাকে। সভ্যতা বৃদ্ধির সঙ্গে বিজ্ঞান, গণিত প্ৰভৃতি উন্নতি লাভ করে বটে, কিন্তু সভ্যতাবৃদ্ধিতে অনেক সময়ে কাব্যের সৌন্দৰ্য্যবৃদ্ধি, হয় না । সভ্যতার অপূৰ্ণ অবস্থাতেই কবিতার সৌন্দৰ্য্য সাধিত হয়। বাল্মীকি বা হোেমর যাহা দেখেন নাই, কল্পনাবলে যাহা ভাবিতে পারেন নাই, বৈজ্ঞানিক ও গণিতজ্ঞের ক্ষমতায় তাহা লোকের शाश्नश्रम হইতেছে, কিন্তু বাল্মীকি বা হোেমর কাব্যজগতে যে ক্ষমতার পরিচয় দিয়া গিয়াছেন, আজ পৰ্য্যন্ত কেহই সে ক্ষমতার গৌরবম্পন্ধী হইতে পারেন নাই। সভ্যতার আদিম অবস্থা, মানুষকে অধিকতর সরল এবং তাহার ভাষাকে অধিকতর কবিত্বময় করে। কোমলমতি বালক যখন নীতিশিক্ষার জন্য হিতোপদেশে পথিক ও ব্যান্ত্রের কথা পাঠ করে, তখন ব্যান্ত্রের সেই ভয়ঙ্কর ভাব, সেই বলবতী জীবহিংসা প্ৰবৃত্তি তাহার স্মৃতিপটে নিরন্তর জাগরূক থাকে। ব্যান্ত্রি নিরন্তর তাহার কল্পনাকে উদ্দীপিত করিতে থাকে। তাহার বাসগ্রামে ব্যান্ত্র না থাকিলেও, এবং সে উহার ভীষণ মূৰ্ত্তির সহিত পরিচিত না হইলেও, সৰ্ব্বদাই তাহার মনে হয়, ব্যাস্ত্ৰ যেন মুখ ব্যাদান করিয়া তাহাকে আক্রমণ করিতে আসিতেছে। শিশু যেমন কল্পনাতরঙ্গে আন্দোলিত হয়, সভ্যতার আদিম অবস্থায় কোমলতি মানুষও সেইরূপ কল্পনা-স্রোতে ভাসমান হইয়া থাকে। তখন তাহার হৃদয় যেন কাব্যরসের অক্ষয় আধারস্বরূপ হইয়া উঠে। মানুষ সভ্যতার দিকে যতই অগ্রসর হইতে থাকে, ততই তাহার চিন্তাশীলতার সঙ্গে সঙ্গে দার্শনিকভাব বৃদ্ধি হয়, এবং কবিত্বসুলভ পূৰ্ব্বতন কল্পনার উচ্ছস তাহার নিকট ইতে দূরীভূত হইতে থাকে। তখন সে সরল হৃদয় ভাবুক না হইয়া, প্রগাঢ় চিন্তাশীল দাৰ্শ DB DSS DBDL SBBDD BDBtD BDDBDBB KBDBB BBDDDB BDBLBDDD BDD S Yo