পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R రిeరి মাইকেল মধুসূদন দত্ত । Գ@ প্ৰচলিত ভাষায় তঁহার যথোচিত অধিকার ছিল । তিনি দার্শনিকভাবে সমস্ত বিষয় পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেন ; দার্শনিক ভাবে তৎসমুদয়ের আলোচনা করিতেন এবং দার্শনিক তত্বের সহিত দুরবগাহ রাজনীতির পরিচয় দিয়া, লোকের হৃদয় চমকিত করিয়া তুলিতেন। এইরূপ সভ্যতার অবস্থায়, সভ্যযুগের অনুমোদিত এইরূপ সুশিক্ষায় এবং রাজনীতি ও দাশনিক ভাবের এইরূপ জটিলতায় মিণ্টনের প্রতিভা সস্কুচিত হয় নাই। মিণ্টন যে মহাকাব্যের স্বষ্টি করিয়াছেন, তাহ সমগ্ৰ কাব্যজগতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হইয়া রহিয়াছে। পক্ষান্তরে মধুসুদন যে সময়ে আবির্ভূত হয়েন, সে সময়ে সভ্যতালোক যেরূপ উদ্দীপিত, দর্শন, বিজ্ঞান প্রভৃতিও সেইরূপ উন্নতদশ প্রাপ্ত হইয়াছিল। এদিকে মধুসুদন নানা ভাষায় বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন ; নানা স্থানে পরিভ্রমণ করিয়া এবং নানা বিষয় দেখিয়া, বহুদৰ্শী হইয়া উঠিয়াছিলেন। এইরূপ সভ্যতার অবস্থায় তাহার রসময়ী লেখনী হইতে যে কাব্য বিনিৰ্গত হইয়াছে, তাহা বঙ্গীয় সাহিত্যসংসারে অপ্রতিদ্বন্দ্বিভাবে প্রাধান্য রক্ষা করিতেছে। মিণ্টন কেবল মহাকাব্য প্রণয়ন পুর্বক চির প্রসিদ্ধি লাভ করেন নাই। সাহিত্য-ক্ষেত্রের পঙ্কিলভাব দুর করিয়াও তিনি অবিনশ্বর কীৰ্ত্তিস্তম্ভ স্থাপন করিয়াছেন। যখন তঁাহার আবির্ভাব হয়, তখন ইংলণ্ডে তাদৃশ সামাজিক শৃঙ্খলা ছিল না । দুনিবাৰ্য্য পাপস্রোত ঐ শৃঙ্খলার মূলদেশ ক্ৰমে ক্ষয় করিয়া তুলিতেছিল। রাজা ভোগাভিলাষী হইয়া অপকাৰ্য্যের প্রশ্ৰয় দিতেছিলেন। পারিষদগণ বিলাসমুখে প্ৰমত্ত হইয়া অবৈধ কাৰ্য্যের অনুষ্ঠানে ব্যাপৃত ছিলেন। বিলাসিনী ললনাদিগের মধ্যে সুনীতিবন্ধন শিথিল হইয়া পড়িতেছিল। এইরূপ ভোগাভিলাষের বৃদ্ধির জন্য, এইরূপে উচ্ছঙ্খল সমাজের সন্তোষসম্পাদন এবং এইরূপ বিলাসীদিগীের তৃপ্তিসাধনের নিমিত্ত যে সকল গ্রন্থ প্রণীত ও প্রচারিত হইত, তৎসমুদয়ের সহিত বিশুদ্ধ ভাবের সংশ্ৰব থাকিত না । গ্ৰন্থকারদিগের লেখনী হইতে অমৃতের বিনিময়ে গরলধারা নিৰ্গত হইত। নাট্টশালায়, সঙ্গীতে, কবিতায়, সর্বত্রই এই তীব্র হলাহলস্রোত সমভাবে প্রবাহিত হইত। পিউরিটন সম্প্রদায় সুনীতির সন্মানরক্ষার জন্য এই স্রোতের গতি নিরুদ্ধ করিতে উদ্যত হয়েনি। ঐ সম্প্রদায়ের পরিপোষক মিণ্টন উক্ত কুন্নীতির বিরুদ্ধে দণ্ডায় DD BDBD KDDDBBDBDS DDD DDD BD BBBBDDS LKB BDBDBS DBBD BBBBB KD0 গৌরবান্বিত করিয়া তুলে। তাহার প্রতিভায় সাহিত্যের পঙ্কিলভােব দূরীভূত হয়। ভাবগাম্ভীৰ্য্য, রচনাচাতুৰ্য্যে ও সুনীতিগৌরবে মিণ্টনের কাব্য ইংরেজী সাহিত্যে প্রধান স্থান অধিকার করে। এদিকে মধুসূদনের সময়ে বাঙ্গাল কবিতায় তাদৃশ গাম্ভীৰ্য্য ছিল না। অনেক DDD DBB BDBDBD DBDDBDD DBDSS DDDBBBYS D BBBDBDBDB BBBB DDDB সাহিত্যে নিরতিশয় অপকৃষ্ট ঘটনার মধ্যেই পরিগণিত রহিয়াছে। এই সকল কবিতা এরূপ পঙ্কিল ভাবে পরিপূর্ণ যে, উহাতে নয়নাবৰ্ত্তন করিলেও ঘূণায় মুখ বিকৃত করিতে হয়। এই পঙ্কিল ভাব কেবল ঈশ্বরচন্দ্র ও গৌরীশঙ্করেই আবদ্ধ থাকে নাই। ইহাদের অনুকরণকারী লেখকগণ গুণাংশের অনুকরণে সমর্থ ছিলেন না। তঁহারা নিম্নতিশয় অপকৃষ্ট বিষয়েরই