পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ত্রয়োদশ ভাগ).pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ »भ १ م مالا . মনে হইয়াছে; যে হেতু হরিচন্দ্র রাজার সত্যরক্ষার কথায় অনেকটা অতিরঞ্জিত বীরত্ব আছে, কিন্তু ঘূইতির ভীরুতা, অর্থলোভ, অসত্য বলিবার চেষ্টা সত্বেও অক্ষমতা এই সকলের মধ্যে বাস্তব চিত্রের ছায়া সমধিক লক্ষিত হয়। মাহুদ্বন্তার ভয়ে হরিহর মিথ্য সাক্ষ্য দিতে প্ৰস্তুত হইল ; যখন রাজকৰ্ম্মচারী গুণিয়া কয়েকখানি মোহর হরিহরের হাতে, দিল, তখন ভয় অপেক্ষ লোভ প্ৰবলতর হইয়া উঠিল; কিন্তু হরিহর রাজদ্বারে মিথ্যা সাক্ষ্য দিবে শুনিয়া বাড়ীতে স্ত্রীলোকদিগের মধ্যে কান্নাকাটি পড়িয়া গেল এবং হরিহর কেবলই শুনিতে পাইল যেন তঁহার সপ্ত পুরুষ স্বৰ্গ হইতে নরকে পতিত হইবার আশঙ্কায় উদ্ধ দেশে কঁাদিয়া বেড়াইতেছেন ; তথাপি হরিহর মিথ্য সাক্ষ্য দিতে প্ৰস্তুত হইয়া রাজদ্বারে দাড়াইল, কিন্তু সেই সময়ে তাহার কণ্ঠে মিথ্যা। উচ্চারিত হইল না, সে সহসা সত্য বলিয়া উৎকোচদাতাকে ক্ষুব্ধ এবং স্বগণবৰ্গকে চমৎকৃত করিয়া ফেলিল। পশ্চিম দিক্‌ সুবর্ণীকরণে অনুরঞ্জিত করিয়া জগদবাসীর বিস্ময় ওঁ অপুর্ব ভক্তির উদ্বোধন করিয়া সুৰ্য্যদেব লাউসেনের তপঃ প্ৰভায় কি ভাবে পশ্চিমে উদিত হইয়াছিলেন, সে তাহা জীবনের ভয় ত্যাগ করিয়া অকুষ্টিত চিন্তে বলিয়া ফেলিল । প্ৰজাগণ ভূম্যধিকারীর প্রতি কিরূপ অনুরক্ত ছিল, তাহার দৃষ্টান্ত লক্ষ্ম্য ডুমুনি প্রভৃতির চিত্রে সুস্পষ্ট ; রাজার জন্য প্ৰজারা প্ৰাণ দিতে সর্বদা প্ৰস্তুত থাকিত, কোনরূপ ভয়, উৎপীড়ন বা শাস্তি তাহাদিগের অসামান্য রাজভক্তির কণামাত্ৰও হ্রাস করিতে পারিত না । লক্ষ্ম্যাডুমুনির চরিত্র সম্বন্ধে ১৩১০ সালের পৌষের ভারতী পত্রিকায় আমরা যে প্ৰবন্ধ লিখিয়াছিলাম, তাহা এবং মূল অবলম্বন করিয়া দুই বৎসর হইল শ্ৰীযুক্ত ক্ষীরোদচন্দ্ৰ বিদ্যাবিনোদ মহাশয় তাহার সুনীর রঞ্জাবতী নাটক প্ৰণয়ন করিয়াছিলেন । হরিহর বাইতি সম্বন্ধেও আমরা ১৩১০ সালের চৈত্রের ভারতীতে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করিয়াছিলাম। রাজা হরিচন্দ্রের পুত্ৰদান, রঞ্জার শালে ভর দেওয়া, লাউসেনের হাকাণ্ডে তপস্তা-প্ৰভৃতি উপাখ্যানের মধ্যে বহুল অতিরঞ্জন আছে সত্য, কিন্তু অনেক যুগ ব্যাপিয়া এই সকল গল্প বাঙ্গালী হৃদয়ে ভক্তি ও অনুরাগ জাগ্ৰত রাখিয়াছে-সুতরাং ইহা অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে যে, এই সকল গল্পের মূলে এমন কোন নিত্য সত্য আছে-যাহা বাঙ্গালী চরিত্রের অনুকুল। ভক্তির সাধনায় বাঙ্গালী-চরিত্র অনেকটা আত্মবলিদানের জন্য উপযোগী না হইলে এই সকল গল্প পড়িয়া তাহারা এত প্রীত হইত না এবং এতকাল ধরিয়া ধৰ্ম্মমঙ্গলের পুথি নকল করিবার কষ্ট স্বীকার করিত না । হরিচন্দ্র রাজার উপাখ্যানটি হইতে দাতাকর্ণের আখ্যানটি গৃহীত হইয়াছে কি না, তাহাও বিচাৰ্য্য। ধৰ্ম্মমঙ্গলকে কাব্যসংজ্ঞায় অভিহিত না করিয়া বরং পুরাণ বলিয়া পরিচয় দিলে ভাল হয়। ইহা পাঠ করিয়া কাব্যামোদী ব্যক্তিগণ বিশেষ পরিতৃপ্ত হইবেন বলিয়া ভরসা দেওয়া যায় না। ইহার কতকটা ইতিহাস, কতকটা সাধারণ লোকের কল্পনা এবং অধিকাংশই क्षि দৈব-লীলাপুর্ণ। লাউসেন এই গ্রন্থের প্রধান নায়ক । তিনি যে সকল বীরত্ব SEEiD DDDDBS BD DBDBDDEDS BB BDBB BDD KBDB EBB gD DS