পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ত্রয়োদশ ভাগ).pdf/২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ ১ম সংখ্যা পণ্ডিতটির “ধর্মের পাদুকা দুটা বাধা আছে গলে।” ; কবির নিকট "তাঁহার কথা শুনিয়া পণ্ডিতটি বলিলেন, “তুমি চিনিতে পার নাই, এই রাজধর বিভাপতি আর কেহ নন, ইনি 'স্বয়ং ধৰ্ম্মঠাকুর, তুমি পুষ্করিণী হইতে পদ্ম আনিয়া তাহার পাছক পূজা কর।” সবিস্ময়ে কবি পদ্ম তুলিয়া আনিলেন, কিন্তু সহসা সেই সরসী, সেই পণ্ডিত ও পাদুকা কোথায় অন্তর্কিত হইয়া গেল! এই রহস্তে বিভোর কবি সন্ধ্যাকালে স্বীয় পল্লীতে উপস্থিত হইলেন ; মধ্যে একটি দিন বিশ্রাম করিয়া কবি তৃতীয় দিবসে রাজাপুরাভিমুখে যাত্ৰা করিলেন, হাজিপুর অতিক্ৰম করিয়া তারামণি নদীর তীরে উপনীত হইয়া কবি দেখিলেন, সেই “রাজধর বিদ্যাপতি” নামধেয় বুদ্ধ ব্ৰাহ্মণ পথে দাড়াইয়া আছেন, তঁহার হাতে সে “আশাবাড়ি”খানি নাই, কিন্তু তৎপরিবর্তে একটি ভীষণ যষ্টি ধারণপূর্বক যমসদৃশবেশে ব্ৰাহ্মণ তঁহাকে মারিতে অগ্রসর হইতেছেন, যেন আশঙ্কায় কবির মুখ শুষ্ক হইয়া গেল, তিনি অনেক অনুনয় করিয়া বলিলেন, “আপনি ব্ৰাহ্মণ, দাসু্যবৃত্তি আপনাতে শোভা পায় না ।” অট্টহাস্ত করিয়া বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ বলিলেন, “স্বয়ং বাল্মীকি এই ভাবে জীবিকা অর্জন করিতেন, তাহার তুল্য ভাল ব্ৰাহ্মণ আর কে আছে ?” তখন কবির দুইটি চক্ষু হইতে বিন্দু বিন্দু অশ্র পতিত হইতে লাগিল এবং তিনি বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণের নিকট কাতর ভাবে বলিতে লাগিলেন, “আপনার নিকট পাঠ লইবার জন্য আমি আসিয়াছি, আমার প্রতি নিৰ্ম্মম হইবেন না।” তখন বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ মৃদুহাস্তের সহিত বলিলেন, “আমি হাজিপুর যাইতেছি, বিশেষ কাৰ্য্য আছে, তুমি রঞ্জাপুরে যাইয়া আমার জন্য প্ৰতীক্ষা কর।” এই কথায় • আশ্বস্ত হইয়া কবি রঞ্জাপুরে গমন করেন, তথায় অনুসন্ধান করিয়া জানিতে পারিলেন, “রাজধর বিদ্যাপতি” নামক কোন ব্যক্তি সে গ্রামের অধিবাসী নন-সমস্তই মিথ্যা। উৎকট মানসিক দুশ্চিন্তায় তাহার জর হইল, তিনি বাড়ীতে ফিরিয়া রোগের শয্যায় পড়িয়া রহিলেন, তথায় ধৰ্ম্ম সেই বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণের বেশে তাহার শয্যাপার্শ্বে আসিয়া তঁহাকে ধৰ্ম্মমঙ্গল রচনা করিতে আদেশ করেন ; তিনি কবিকে নিজহস্তে বীজমন্ত্র নকল করিয়া দিলেন এবং তাহা দেখিয়া বার পালা গান রচনা করিতে উপদেশ দিয়া গেলেন। মাণিকরাম স্বীকৃত ধৰ্ম্মমঙ্গল গানের জন্য একদল গায়কের সৃষ্টি করেন, তাহার চতুর্থ সহোদর ছকুরাম গাঙ্গুলী সেই দলের প্ৰধান গায়ক ছিলেন । ধৰ্ম্মপালের ক্ষেত্ৰজ পুত্র গৌড়ের রাজপদে প্ৰতিষ্ঠিত ছিলেন, જીન્નાશને નિજી घ्छेना ऊँiछान्न রাজত্বকালে ঘটে। এই কাব্যে তিনি গৌড়েশ্বর নামেই পরিচিত, তাহার স্বতন্ত্র নাম প্রদত্ত হয় নাই ; এই গৌড়াধিপের আশ্ৰিত সেবক সোমঘোষ রাঢ়স্থ অজয়নদের তীরবর্তী ঢেকুর নামক স্থানে বিদ্রোহী হইয়া গৌড়ে কর প্রেরণ করিতে অস্বীকৃত হন। সোমঘোষ প্রথমতঃ স্বয়ং গৌড়েশ্বরের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণা করিতে সাহসী ছিলেন না, কিন্তু তাহার প্রবল প্রতাপান্বিত পুত্র ইছাই ঘোষ প্ৰকাশ্যভাবে গৌড়েশ্বরের প্রেরিত प्रूडाक अवमानना করিয়া ঢেকুর স্বাধীন বলিয়া ঘোষণা করেন। ইছাই ঘোষের বিরুদ্ধে বিপুল সৈন্যদল প্রেরিত 啸积开诏1