পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ত্রয়োদশ ভাগ).pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So o সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ 6थ ग११Iा । দিয়াছেন। এই তালিকায় বৰ্দ্ধমান, মেদিনীপুর, মুরশিদাবাদ, বীরভূম এবং হুগলী জেলায় বিস্তুর গ্রামের নাম দেখা যায়। সে তালিকা অতি দীর্ঘ, সেজন্য এস্থলে উদ্ধত করিলাম না। কাগামোগা নামক স্থানে ওলন্দাজের কুঠি ছিল, তাহাও লুটিয়া লইয়াছিল। শেষে বরগিরা জেমোকান্দী ডাহাপাড়া পোড়াইয়া হাজিগঞ্জের ঘাটে পার হইয়া, বরগির মুরশিদাবাদে ঢুকিয়া জগৎশেঠের বাড়ী লুটিল। হাজি আহম্মদ ও নোয়াজিস মহম্মদ কেবল মাত্র কোন ক্ৰমে নবাবের কেল্লা রক্ষা করিতে সক্ষম হইলেন,- “হাজি আয় ছোট নবাব উপরে ছিল। বরগির নাম সুইনা কিল্লাএ সাধাইল ॥৮ DDD BBODB BDDEE S DDBDBD BD BDB DDD DBB BD DDBBD DBBBB নবাবের আগমন জানিতে পারিয়া ভাস্কর সরিয়া পড়িল । জগৎশেঠের বাড়ী লুঠিয়া ভাস্কর বড় কৌশলে নগর ত্যাগ করেন। কবি গঙ্গারাম বলিতেছেন,- “তবে বরগি পার হইল হাজিগঞ্জের ঘাটে। শীঘ্ৰগতি আইলা জগৎসেঠের বাড়ী লুটে । আড়কটি টাকা জত ঘরে ছিল। ঘোড়ার খুৱচি ভরি সব টাকা নিল। তবে সও দুই তিন টাকা ছিটাইঞা । শীঘ্ৰগতি গেলা ঘরগি গঙ্গাপার হইয়া ॥ তবে ফকির ফকিরা গিরস্ত জত ছিল। সেই সব টাকা তারা লুঠতে লাগিল ৷” এইরূপে নগরের লোককে অন্যমনস্ক রাখিয়া নিজামত কেল্লার আক্রমণ হইতে বাঁচিবার জন্য ভাস্কর গঙ্গা পার হইয়া গেল। এক জগৎশেঠের কুঠি লুটিয়া আড়াই কোটি টাকা পাওয়ায় আর অতি লোভে র্ত্যাতি নষ্ট হইবার সম্ভাবনা বুঝিয়া ভাস্কর এই কৌশলে পলাইল। নবাব কাটােঞা ছাড়িয়া আসিবার পর ভাস্কর সদলে কাটােঞায় গিয়া জমিল এবং कांहBigl, डां9निश्श्ब्र 6वद्ध 's দাঁইহাট জুড়িয়া ছাউনি করিয়া বসিল। তখন বর্ষা আসিয়া পড়িয়ছে, আর লুটপাট চলে না, কাজেই ভাস্কর তখন চারিদিকে খাজনা আদায় করিতে লাগিল। জমীদারেরা আসিয়া মিলি এৰং “গ্রামে গ্রামে চর তাগিদায় গেল। তারা সব জাইয়া খাজানা সাদিতে লাগিল ॥” ইহার পূৰ্ব্বে মীর হবিব বৰ্দ্ধমানের যুদ্ধে বরগির হস্তে বন্দী হন। তিনিই এখন ভাস্করের বন্ধু ও প্রধান মন্ত্রী। তঁহার পরামর্শে গঙ্গীয় নৌকার পুল বান্ধিয়া সৈন্য পরের ব্যবস্থা হইল। দাঁইহাটের ঘাট পৰ্য্যন্ত পুল বাধা হই। ইহা আখিন মাসের পূজার সময়ের কথা। বাঙ্গালায় ঘরে ঘরে তখন দুর্গোৎসবের ধূম দেখিয়া ভাস্কর পণ্ডিতও দুর্গোৎসবের আয়োজন করিল। জমীদারদিগকে ডাকিয়া সমস্ত ব্যবস্থা| করিয়া মহা ধুমধামে পূজার আয়োজন আরম্ভ হইল। একদিন রাত্ৰিতে বরাগিয়া সেই পুল বাহিয়া এপারে ফুটসকো নামক স্থানে আসিল, নবাব সে কথা শুনিলেন। তিনি আর স্থির থাকিতে না পারিয়া “ষাটহাজার ঘোড়া আর ডেড় লাখ বহুনিয়া। তারকপুর আইলা নবাব এত ফৌজ লইয়া।” এই সকল ফৌজের সঙ্গে যে সকল ফৌজদার আসিয়াছিলেন, তন্মধ্যে ঠাকুর সিংহ নামে একজন হিন্দু সেনাপতির নাম আছে। এত বৃহৎ নবাবী সেনা তারকপুরে আসায়ী ভাস্কর সদলে