পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ত্রয়োদশ ভাগ).pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

/ | |সাহিত্য পরিষৎ-পত্রিকা [ 8ቕ ሻtማI صڑ9مS বাধ্য হয় । পাৰ্ব্বত্য প্রদেশের পক্ষেও এই ব্যবস্থা খাটে ; কারণ এখানকার জীবনকে ও পরিশ্রমের কঠোর শাসনে পরিচালিত করিতে প্রকৃতিই বাধ্য করে। বিভিন্ন ভাষার সংমিশ্রণে আসিলে ভাষাও একটা খিচড়ী না হইয়া যায় না । অধুনা আমরা অনেকগুলি ইংরাজী শব্দ একেবারে খাসদখলে আনিয়া ফেলিয়াছি। এই যে "দখল" শব্দটি প্রয়োগ করিলাম, তাহাও নিজস্ব নহে। এস্থলে তৎপরিবর্তে “অধিকার’ বসাইলে ঠিক উপযুক্ত (idiomatic) প্রয়োগ হইল না বলিয়া সম্ভবতঃ অনেকেই নাসিক কুঞ্চিত করিবেন। এইরূপে সকল ভাষাই কিছু না কিছু পরিমাণে বিভিন্ন ভাষা দ্বারা পরিপুষ্ট হইয়াছে ও হইতেছে। এতদ্ব্যতীত দেশের জলবায়ু এবং শীতাতপের বিভিন্নতা ও ভাষাবিচ্ছেদ ঘটাইবার পক্ষে সামান্য কারণ নহে। কিঞ্চিৎ অনুসন্ধান করিলেই দেখা যায়, কোন কোন দেশের আবহাওয়ায় জিহবার এত জড়িত জন্মে যে, উচ্চারণে নিতান্ত বিকৃত ঘটে। কোথায় ও বা কেবল অনুনানিক উচ্চারণই ভাষার প্রকাশক । এইরূপ উচ্চারণ বৈষম্যে অবোধা ভাষার সৃষ্টি হইয়া থাকে। চাকমাদিগের মূলভাষা বাঙ্গালা ; তবে ইহা আধুনিক বাঙ্গলার তুলনায় নিতান্ত বিকৃত এবং সংক্ষিপ্তও কম নহে। ইংরাজরাজপুরুষেরা ইহাকে “চাকমা-বাঙ্গালা” ( The language is Chakma Bengali) First eifsf\5 <eft(tart বস্তুতঃ ‘বঙ্গদেশের ক্রমেই পূৰ্ব্বদিকে ভাষা বিকৃত হইয়া আসিয়াছে। এতৎসম্বন্ধে প্ৰধানতঃ দুইটী কারণ অনুমান করা যায়। ( ১ ) এ সকল দেশে পূর্বে মঘের বসতি ছিল। পরে যখন পশ্চিমবঙ্গ হইতে বাঙ্গালিগণ এখানে উপনিবেশ সংস্থাপন করিতে আসে, তখন তাহাদেব সেই প্ৰাচীন অর্থাৎ প্ৰাকৃতিবহুল বাঙ্গলামাত্র সম্বল ছিল । ( দৃষ্টান্তস্বরূপ-চট্টগ্রামে প্রচলিত অনেক কথা “চৈতন্যভাগবত, চৈতন্যমঙ্গল’ ও ‘প্রাচীন পদাবলী’ প্ৰভৃতি হইতে তুলিয়া দেখাইতে পারা যায় তা’ছাড়া এখানে এমতও অনেক কথা আছে, যাহা পশ্চিমবঙ্গ ভিন্ন অপর কোথায়ও ব্যবহার নাই । এ সকল এবং আরও অন্যান্য কারণে বৰ্ত্তমান চট্টগ্রামবাসী অধিকাংশ হিন্দুই যে দক্ষিণ রাঢ়জ,তাহা সুদৃঢ় রূপে প্রমাণিত হয় । ) পরবর্তী যুগে নবদ্বীপ সংস্কৃত আলোচনার কেন্দ্ৰস্থল হওয়াতে তৎপার্শ্ববৰ্ত্তী দেশ সমূহের ভাষায় বহু সংস্কৃত শব্দ প্ৰবেশ লাভ করিয়াছে। তথা হইতে বাঙ্গালার যে অংশ যত অধিক দূরে অবস্থিত, তথাকার বাঙ্গালায় সংস্কৃত শব্দের পসার তত অল্প । ( ২ )। অপর্যতঃ বিভিন্ন ভাষার সংঘর্ষে ও যে কোন ভাষা বিকৃত এবং নিকৃষ্ট হইয়া পড়ে। চাকমা ভাষার মূল বাঙ্গলা হইলেও মগ, ত্রিপুরা এবং মুসলমানী ভাষার সহিত সংমিশ্রণ অতিশয় বিস্তৃত। ফলকথা, ইহারা বিজাতীয় সমাজ হইতে যাহা যাহা অনুকরণ করিয়াছে, ভাষা তন্মধ্যে সাধারণ । মোটামুটি বলা যাইতে পারে, চাকমাগণ হিন্দুদের হইতে ভাষা ও দেবদেবী ; মঘাদিগের ধৰ্ম্ম, ব্যবহার, ভাষা, এমন কি অক্ষরগুলি পৰ্য্যন্ত ; ত্রিপুরাদের ভাষা, পূজাপদ্ধতি ও আচার ব্যবহার ; এবং মুসলমানদিগেব ভাষা ও খ্যা প্রভৃতি উপাধি ইত্যাদি পার্শ্ববৰ্ত্তী প্রায় সমুদয় " Witle-Appendix Wii; Part of A চাকমাঘাঙ্গলা (Bengal code of cencus procedure)